ঢাকা ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

‘আনন্দ মেলা’য় গান গাইলেন রুনা লায়লা

‘আনন্দ মেলা’য় গান গাইলেন রুনা লায়লা

বাংলাদেশের গানের গর্ব, উপমহাদেশের প্রখ্যাত সঙ্গীতশিল্পী ও সুরকার রুনা লায়লা তার দীর্ঘদিনের সঙ্গীত জীবনের পথচলায় এবারই প্রথম বাংলাদেশ টেলিভিশনের ঈদ বিশেষ ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ‘আনন্দ মেলা’য় গান গাইলেন। পুরোনো নয়, একেবারে নতুন একটি মৌলিক গান গেয়েছেন তিনি। বাংলাদেশ শিশু একাডেমির মহাপরিচালক আনজীর লিটনের লেখা ও আশরাফ বাবুর সুর সঙ্গীতে ‘নতুন পৃথিবী’ শিরোনামের একটি গান গেয়েছেন রুনা লায়লা শুধুমাত্র ‘আনন্দ মেলা’র জন্যই। আর এতে রুনা লায়লার সঙ্গে সুরে সুরে গানে গানে কণ্ঠ মিলিয়েছেন কণা, সাব্বির, ইমরান ও ঝিলিক।

মনিরুল ইসলাম ও ইয়াসির আরাফাতের প্রযোজনায় নির্মিত ‘আনন্দ মেলা’ ঈদের দিন রাত ১০টার ইংরেজি সংবাদের পর বিটিভিতে প্রচার হবে। আর এতেই রুনা লায়লা’র গাওয়া গানটি দর্শক উপভোগ করতে পারবেন। ‘আনন্দ মেলা’য় গান গাওয়া প্রসঙ্গে রুনা লায়লা বলেন, ‘এর আগে আমাকে আনন্দ মেলা’য় গান গাওয়ার কথা বিশেষভাবে বলেনি। বললে হয়তো গাওয়া হয়ে যেত। যাইহোক দীর্ঘদিন পর হলেও আনন্দ মেলার জন্য গান গাইতে পেরে ভালো লাগছে। আনজীর লিটন এই গানটিও খুউব চমৎকার লিখেছে- সুর সঙ্গীতও আশরাফ বাবু ভালো করেছে। আমার সঙ্গে এই প্রজন্মের শিল্পীরাও বেশ আন্তরিকতা নিয়ে গানটি গেয়েছে। বিটিভি কর্তৃপক্ষের প্রতি আন্তরিক ধন্যবাদ। এমন কী আনন্দ মেলা’র শুটিংয়ের সময় যে মানুষটি আমার জন্য বার বার চেয়ারটি এনে দিয়েছে তাকেও বিশেষ ধন্যবাদ।’ কণা বলেন, ‘এটা এখনো আমার কাছে স্বপ্নের মতো মনে হয় যে আমাদের পরম শ্রদ্ধার ভালোবাসার রুনা ম্যাম আমার পাশে দাঁড়িয়ে গান গাইছেন, তার সঙ্গে আমি আমরা গাইছি। জীবনে এমন দিন আসবে ভাবিনি কখনো। আল্লাহর প্রতি অসীম কৃতজ্ঞতা। ধন্যবাদ রুনা ম্যাম’কে এই সুযোগ করে দেয়ার জন্য।’ সাব্বির বলেন, ‘রুনা ম্যামের পাশে দাঁড়িয়ে একই গান গাইব, এমনটা কল্পনাও করিনি কখনো। কিন্তু এমন একটা কিছু হয়ে গেছে; বিশ্বাসই হচ্ছে না। তিনি এত বড় একজন শিল্পী, কিন্তু একজন অতি সাধারণ মানুষের মতো আমাদের সঙ্গে মিশেন, আদর করেন।’ ইমরান বলেন, ‘এর আগেও শ্রদ্ধেয় রুনা ম্যামের সঙ্গে গান গাইবার সঙ্গে সুযোগ হয়েছে। কিন্তু বিটিভির সিগনেচার অনুষ্ঠান আনন্দ মেলা’য় ম্যামের সঙ্গে গাইতে পেরেছি- এটা স্মরণীয় হয়ে থাকবে।’ ঝিলিক বলেন, ‘সেরা কণ্ঠের সেই বিজয় মুকুট ম্যামের হাতে থেকে মাথায় পড়ার পর থেকে তার আশীর্বাদ নিয়ে এগিয়ে চলেছি। তিনি আমার কণ্ঠের প্রশংসা করেন সব সময়, এটাই আমার ভালোলাগা। আনন্দ মেলায় তার সঙ্গে গাইতে পেরে খুব ভালো লেগেছে।’

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত