ঈদুল ফিতর উপলক্ষ্যে এবার সারা দেশের প্রেক্ষাগৃহগুলোতে মুক্তি পেয়েছে প্রায় ডজন খানেক সিনেমা। মুক্তি পাওয়া সিনেমাগুলোর মাঝে দর্শকদের চাহিদা ও দর্শকপ্রিয়তার শীর্ষে আছে নির্মাতা হিমেল আশরাফ পরিচালিত ও শাকিব খান অভিনীত ‘রাজকুমার’।
ঈদের দিন থেকেই সিনেমাটি নিয়ে দর্শকদের মাঝে বাড়তি আগ্রহ দেখা যাচ্ছে। সিঙ্গেল স্ক্রিন ও মাল্টিপ্লেক্সে ঈদের দিন থেকেই হাউজফুল যাচ্ছে সিনেমাটি। অনেক সিনেমাপ্রেমীই টিকিট না পেয়ে ফিরে গেছেন। দর্শকদের চাপে অনেক হলেও বেড়েছে শো সংখ্যা। এদিকে স্টার সিনেপ্লেক্স থেকে ঈদে মুক্তি পাওয়া সিনেমা ‘গ্রিন কার্ড’ ও ‘আহারে জীবন’ এর দর্শক চাহিদা না থাকায় প্রেক্ষাগৃহ থেকে নামিয়ে ফেলা হয়েছে। আর ওই দুই সিনেমা নামিয়ে বাড়িয়ে দেয়া হয়েছে ‘রাজকুমারে’র শোর সংখ্যা। স্টার সিনেপ্লেক্সের সিনিয়র মার্কেটিং অফিসার মেজবাহ উদ্দিন বলেন, সিনেপ্লেক্সে রাজকুমারের চাহিদা লক্ষ্যণীয়। আশা করছি, এর শো আরও বাড়বে। অন্যদিকে স্টার সিনেপ্লেক্সের সাতটি শাখা, ব্লকবাস্টার, লায়ন এবং চারটি থিয়েটারে মুক্তি পেয়েছিল ‘দেয়ালের দেশ’। কিন্তু মুক্তির দুই দিনের মধ্যে ছবিটি সিনেপ্লেক্সের রাজশাহীর শেখ মুজিব হাইটেক পার্ক শাখা থেকে নামিয়ে দেওয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে সিনেপ্লেক্স কোনো মন্তব্য দেয়নি, তবে ওয়েব সাইটে দেখা যাচ্ছে প্রদর্শিত হওয়ার সিনেমার তালিকায় আগে দেয়ালের দেশ থাকলেও বর্তমানে নেই। সেখানে বরং আগের তুলনায় বেশি শো পেয়েছে শাকিবের ‘রাজকুমার’। ‘রাজকুমারে’র দিয়ে এমন সাড়া পাওয়ায় বেশ উচ্ছ্বসিত ছবির প্রযোজক আরশাদ আদনান। তিনি বলেন, দেখুন আমরা কত হল পাব এসব ভেবে সিনেমা বানাইনি। আমরা আন্তর্জাতিকভাবে মুক্তির লক্ষ্যে সিনেমা নির্মাণ করেছি। শাকিব খানকে দিয়ে বিশ্ববাজার ধরতে চেয়েছি আমরা। বাংলা সিনেমা আর পিছিয়ে নেই, এটি প্রমাণ করতে চাই। দেশের মতো বিদেশেও বাণিজ্যিক সফলতা পাবে রাজকুমার। আমি শতভাগ আত্মবিশ্বাসী। দেশের ১২৫টির মতো সিনেমা হলে চলছে ‘রাজকুমার’। জানা যায়, ২১২টি সিনেমা হলের মধ্যে এই ছবি রেকর্ড পরিমাণ রেন্টালে চারভাগের তিন ভাগ হল পেয়েছে। এতে করে রেকর্ড কয়েক কোটি টাকা বুকিং মানি (টেবিল কালেকশন) তুলেছে সিনেমাটি। পারিবারিক সম্পর্ক এবং একজন স্বপ্নবাজ তরুণের বাংলাদেশ থেকে আমেরিকায় যাত্রার গল্পকে কেন্দ্র করে নির্মিত হয়েছে রাজকুমার চলচ্চিত্র। এতে শাকিব-কোর্টনি ছাড়াও এই সিনেমার বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন তারিক আনাম খান, মাহিয়া মাহি, আরশ খান, ডা. এজাজ।