মরুর বুকে উত্তাপ ছড়ালেন অধরা খান

প্রকাশ : ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  বিনোদন প্রতিবেদক

একদিকে সূর্যের তপ্ত রোদের উত্তাপে নাভিশ্বাস দেশের মানুষের। অন্যদিকে বিদেশ-বিভুঁইয়ে মরুভূমির তপ্ত বালুকাবেলায় নিজের শরীরি উত্তাপময় ছবি দিয়ে নেট নাগরিকদের হৃদয় পুড়ছেন গ্ল্যামারাস চিত্রনায়িকা অধরা খান। ২৭ এপ্রিল (শনিবার) নিজের সোশ্যাল হ্যান্ডেলে শরীরি আবেদনময়ী কিছু ছবি শেয়ার করেছেন ভ্রমণপ্রিয় এই আলোচিত চিত্রনায়িকা। বর্তমানে তিনি তার মা এবং বড় বোনসহ দুবাইতে অবস্থান করছেন। সেখানকার ডেজার্ট সাফারি করতে গিয়ে অধরা অপ্সরা রূপে ধরা দিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ার মানুষজনের ঘাম ঝরাচ্ছেন। ছবিগুলোতে অধরা খানকে দেখা গেছে এলিগ্যান্ট লুজ কটন লিনেন লং ডিপ নেক ল্যান্টার্ন ফুল স্লিভ ড্রেসে। ম্যাট গোল্ডেন কালারের এই ড্রেসটা তিনি আমেরিকার লাসভেগাস থেকে কিনেছিলেন বলে জানিয়েছেন। উরু থেকে গোড়ালি পর্যন্ত খোলা এই ড্রেসের সঙ্গে অধরা পরেছেন নাইকি ব্র্যান্ডের স্পোর্টস কেডস। দুই চোখের কামিনী চাহনি তিনি ঢেকেছেন জাপানিজ ব্র্যান্ডের ওন মি ব্র্যান্ডের কালো সানগ্লাসে। এবার দুবাই সফরে গিয়ে দুবাই মল থেকে নিজের প্রিয় ব্র্যান্ডের সানগ্লাসটি কিনেছেন। হাতে পরেছেন স্বরোভস্কি ব্র্যান্ডের সোনালী রঙের ঘড়ি। আর গলায় জড়িয়েছেন ওমান থেকে কেনা মালাবার গোল্ড অ্যান্ড ডায়মন্ডের ২২ ক্যারেটের সোনার চেইন। আর তাতে ঝুলানো একই ব্র্যান্ডের ৩.৫ ক্যারেটের ডায়মন্ড লকেট। এসবের সঙ্গে অধরা মরুভূমির বালু থেকে নিজের কালো চুল রক্ষায় মাথায় বেঁধেছেন ওখানকার শেখদের পোশাকের সাথের মাথায় বাঁধার কেফ্ফিয়াহ, যাকে আমরা রুমাল হিসেবেই জানি। সব মিলিয়ে দারুণ উত্তাপময় লুকে ধরা দিয়ে অধরা নেট দুনিয়ায় এখন রীতিমতো ভাইরাল।

দুবাই থেকে অধরা খান এই প্রতিবেদককে জানান, এবার তিনি মাকে নিয়ে দুবাই গেছেন মূলত ঈদের ছুটি কাটাতে। সেখান থেকে সৌদি আরবে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল মায়ের ওমরাহ হজের জন্য। কিন্তু সৌদি সরকার ওমরাহ ভিসানীতি পরিবর্তনের কারণে সেখানে আর যাওয়া হয়নি। এরপর দেশে ফিরে আসতে চেয়েছিলেন। কিন্তু দুবাইতে অতিবৃষ্টির কারণে বিমানবন্দরে জলাবদ্ধতা তৈরি হওয়ায় দেশে ফিরতে পারেননি। তবে ফ্লাইট চালু হওয়ায় ৩০ এপ্রিল মাকে নিয়ে দেশে ফিরছেন অধরা। এবারের দুবাই সফর নিয়ে অধরা খান বলেন, পারিবারিক ব্যবসার কারণে বছরে কয়েকবার আমাকে দুবাই যেতে হয়। কিন্তু এবারের সফরটা ছিল আম্মু, আমি এবং দুবাই প্রবাসী বড় বোন অহনাকে নিয়ে দুবাইয়ের পর্যটন স্পটগুলোতে ঘুরে বেড়ানো। বলতে পারেন, সময়টায় আসলে চেষ্টা করেছি একটা ফ্যামিলি ভ্যাকেশন করার।