বর্তমান ব্যস্ততা কি নিয়ে?
জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত পরিচালক আউয়াল চৌধুরী স্যারের ‘আগুনের পাখি’ সিনেমার কাজ নিয়ে বর্তমানে বেশ ব্যস্ত। সম্প্রতি সিনেমাটির ডাবিং শেষ করলাম। নেশাগ্রস্ত যুবক ‘শ্যামল’ চরিত্রে অভিনয় করেছি এতে। যুবকটি কখনো প্রেমিক পুরুষ, কখনো এলাকার ত্রাস, কখনো ভয়ংকর, কখনো কোমল। এখন পর্যন্ত আমার ক্যারিয়ারের সবচেয়ে বড় অর্জন এমন ভার্সেটাইল চরিত্রে অভিনয় করা। আশা করছি কোরবানি ঈদে সিনেমাটি মুক্তি পাবে প্রেক্ষাগৃহে।
আপনার অভিনীত মুক্তিপ্রাপ্ত সিনেমা কয়টি? মুক্তির অপেক্ষায় কয়টি সিনেমা?
এখন পর্যন্ত সিনেমাহলে আমার অভিনীত সাতটি চলচ্চিত্র মুক্তি পেয়েছে। গেলো বছর ঈদে মুক্তি পাওয়া ‘আদম’ চলচ্চিত্রে জান্নাতুল ফেরদৌস ঐশীর স্বামী ‘মতি’ চরিত্রে অভিনয় করে বেশ সাড়া পেয়েছি। সিনেমাটি নির্মাণ করেছেন আবু তাওহিদ হিরণ। চলতি মাসে তিনি মারা গেছেন। তার আত্মার শান্তি কামনা করছি। এছাড়া মুক্তির মিছিলে রয়েছে আমার অভিনীত ১০টি চলচ্চিত্র। এই ১০টি সিনেমার সম্পূর্ণ কাজ শেষ। আশা করছি ১০টি সিনেমাই চলতি বছরই মুক্তি পাবে। এগুলোর মধ্যে অন্যতমণ্ড জাজ মাল্টিমিডিয়া প্রযোজিত ও মনজুরুল ইসলাম মেঘ পরিচালিত ‘ময়না’।
সিনেমায় অভিনয়ের ক্ষেত্রে কোন বিষয়কে আগে প্রাধান্য দিয়ে থাকেন?
সিনেমায় অভিনয়ের ক্ষেত্রে আমি প্রাধান্য দেই সিনেমার গল্প এবং আমার অভিনীত চরিত্রটি সিনেমার গল্পকে কতটুকু প্রশমিত করছে, হোক চরিত্রটির দৈর্ঘ্য কম কিন্তু চরিত্রটি পাওয়ারফুল কি না, এতে অভিনয় দেখানোর স্কোপ পাওয়া যাবে কি না- সেটাই প্রাধান্য দেই। এক দৃশ্যতেও অভিনয় করে বাজিমাত করা যায়, আবার পুরো সিনেমাজুড়ে থাকলেও কোনো আলোচনার টেবিল দখল করা যায় না। আমি সিনেমায় চরিত্র বাছাইয়ের ক্ষেত্রে অনেক খুঁতখুঁতে।
আপনার প্রথম সিনেমা কোনটি ও অভিজ্ঞতা কেমন ছিল?
আমার প্রথম সিনেমা কোনটা এটার উত্তর দিতে আমি কনফিউজ হয়ে যাই। ২০০৮ সালে মাত্র ২০ বছর বয়সে আমি প্রথম অভিনয় করি কিংবদন্তী চলচ্চিত্র নির্মাতা মোরশেদুল ইসলামের ‘বৃষ্টির দিন’ সিনেমায়। আজিমপুর কোয়ার্টারে আমার মা সেই শুটিংয়ে নিয়ে যান। প্রথম দৃশ্যের সহশিল্পী ছিলেন ছোট পর্দার দুই তারকা শিল্পী জিয়াউল ফারুক অপূর্ব এবং কল্যাণ কোরাইয়া।
কিন্তু সিনেমাটা মাঝপথে বন্ধ হয়ে যায়। এরপর অনার্সে পড়াকালীন ২০১১ সালে আমি অভিনয় করি সরকারি অনুদানের সিনেমা ‘হরিজন’-এ। মির্জা সাখাওয়াৎ হোসেন পরিচালিত সেই সিনেমায় আমি রোকেয়া প্রাচী এবং জয়ন্ত চট্টপাধ্যায়ের ছেলে ‘ভূঁইমালী’ চরিত্রে অভিনয় করি। এরপর অভিনয় করি ২০১২ সালে সরকারি অনুদানের সিনেমা ‘কাকতাড়ুয়া’তে আহমেদ শরীফের ছেলে ‘মতিউর’ চরিত্রে। এরপর একই বছর অভিনয় করি সরকারি অনুদানের আরো একটি সিনেমা ‘নেকাব্বরের মহাপ্রয়াণ’ এ মুক্তিযোদ্ধা ‘তোরাব আলী’ চরিত্রে।
ওটিটি নিয়ে আপনার ভাবনা কি?
সিনেমার পরে ওটিটি মাধ্যমকে আমি খুব গুরুত্ব দেই। গেলো বছর ওয়েব দুনিয়ায় অভিষেক হয়েছে আমার। মোহাম্মদ আলী মুন্না পরিচালিত ‘অপলাপ’ ওয়েব ফিল্মে আমার অভিনীত ‘ড্রাইভার মতিন’ চরিত্রটি বেশ প্রশংসিত হয়েছে। দীপ্ত প্লে ওটিটি প্ল্যাটফর্মে এটি মুক্তি পায়। এছাড়া মাসুদ যাকারিয়া সাবিন পরিচালিত টফি অ্যাপসের ‘হারাধনের দশটি ছেলে’তে আমি অভিনয় করেছি ‘ফরেনসিক ডাক্তার’ চরিত্রে।
নতুন কি কি কাজের খবর দিবেন দর্শকদের?
আমার ভক্ত আমার দর্শক- শুভাকাঙ্ক্ষীদের নতুন কাজের খবর দিতে চাই। তবে এখন নয়, শুধু বলব আমি কচ্ছপের গতিতে এগুতে ভালোবাসি। কোনো তাড়াহুড়ো নেই আমার। দীপংকর দীপন, খিজির হায়াত খান, মিঠু খান, আবু হায়াত মাহমুদণ্ড ওনাদের মতো গুণী নির্মাতাদের সিনেমায় অভিনয় করতে চাই... এখনো কিছু ফাইনাল নয়।