বিশ্বাস ছিল, তবে ঠিক এমনটাই হবে- এটা ভাবেননি। কিন্তু এমনটাই হচ্ছে বিধায় পরম আনন্দে, উচ্ছ্বাসে ভেসে বেড়াচ্ছেন। পরম আনন্দে সপরিবারে কক্সবাজারের সমুদ্রসৈকতে ঘুরে বেড়াচ্ছেন ‘কাজল রেখা’ খ্যাত নায়িকা মন্দিরা চক্রবর্ত্তী। প্রথম সিনেমাতেই বাজিমাত করে দেবেন এটা মন্দিরার আত্মবিশ্বাস ছিল; কিন্তু ঠিক ঠিক তাই হলো বিধায় তার যেন নিজেরও বিশ্বাস হচ্ছিল না। প্রথম সিনেমাতে দর্শক তাকে এভাবে আপন করে নিবে, তার অভিনয়কে ভালোবেসে তাকে নিয়ে আলোচনা করবে। সিনেমা হলে, সিনেমা দেখা শেষে সবাই তার সঙ্গে প্রবল আগ্রহ নিয়ে সেলফি তুলবে- এই বিষয়গুলো ছিল যেন এতদিন স্বপ্নের মতো। কিন্তু এখন সবকিছুই যেন বাস্তবে হচ্ছে। গত ঈদে মন্দিরার জীবনের সবচেয়ে বড় প্রতীক্ষার অবসনের মধ্যদিয়ে মুক্তি পায় গিয়াস উদ্দিন সেলিম পরিচালিত ‘কাজল রেখা’ সিনেমাটি। ৪০০ বছরের পুরোনো গল্প, গানে, লোকেশনে এবং শিল্পীদের সুনিপুণ অভিনয়ে বিশেষত মন্দিরা চক্রবর্ত্তী’র অনবদ্য অভিনয়ে মুগ্ধ হয়েছেন দর্শক। মন্দিরার অপরূপ সৌন্দর্য, চরিত্রানুযায়ী গ্ল্যামারাস উপস্থিতি এবং প্রথম সিনেমা হিসেবে তার অনবদ্য অভিনয় মুগ্ধ করেছে দর্শককে। সিনেমাটি এখনো আগ্রহ নিয়ে দর্শক উপভোগ করছেন এবং মন্দিরার অভিনয়ে মুগ্ধ হচ্ছেন। জীবনের এ যে প্রাপ্তি, দর্শকের এই যে ভালোবাসা, দর্শকের তাকে ঘিরে মুগ্ধতা, উচ্ছ্বাস- কেমন উপভোগ করছেন মন্দিরা? জবাবে মন্দিরা চক্রবর্ত্তী বলেন, ঈশ্বর আমাকে যে জীবন দান করেছেন, তা সত্যিই সুন্দর। ঈশ্বরের কাছে বারবারই কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করি এমন সুন্দর একটি জীবনের জন্য। তবে এ জীবনজুড়ে যে মানুষের এতো এতো ভালোবাসা থাকবে, মানুষ আমার অভিনয়ে মুগ্ধ হবেন, আমাকে নিয়ে আলোচনা করবেন, আমাতে আগ্রহ হয়ে আমার দিকে এগিয়ে এসে পাশে দাঁড়িয়ে কথা বলবেন- এমনটা ভাবিনি।