আজ বিশ্ব ‘মা দিবস’। মা দিবস উপলক্ষ্যে তৃতীয়বারের মতো বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্যদিয়ে পারফেক্ট ইলেকট্রনিক্স নিবেদিত ‘মা পদক ২০২৪’ প্রদান সম্পন্ন হলো। ‘আলী-রূপা ফাউণ্ডেশনে’র সার্বিক তত্ত্বাবধান ও পৃষ্ঠপোষকতায় এবং সাংবাদিক অভি মঈনুদ্দীনের প্রধান উদ্যোগে ‘মা পদক ২০২৪’ প্রধান করা হয়েছে কিংবদন্তী অভিনেত্রী আনোয়ারা বেগম, সংসদ সদস্য ও অভিনেতা ফেরদৌস আহমেদের মাসহ কোরিওগ্রাফার, নৃত্যনির্দেশক-নৃত্যশিল্পী শামীম আরা নিপা, শিক্ষক গোলাম জিলানী, ড. মুক্তা সাহা, শান্তা সরকার, অভিনেত্রী রিচি সোলায়মান, রাফিয়াত রশিদ মিথিলা, কেয়া পায়েল, অভিনেতা ইন্তেখাব দিনার, এফএস নাঈম, কৃষি মন্ত্রণালয়ের উপসচিব শেখ হাফিজুর রহমান, কথা সাহিত্যিক-নাট্যকার জমির উদ্দিন মিলন, নায়ক ইমন, নায়িকা মিম, গায়ক ইউসুফ, গায়িকা লুইপা, উপস্থাপিকা রুহানী লাবণ্য, ভূমি মন্ত্রণালয়ের সহকারী কমিশনার সাইদুল ইসলাম সাঈদ, সাংবাদিক অভি মঈনুদ্দীন ও সাদিয়া ন্যানসির মায়ের হাতে ‘মা পদক ২০২৪’ তুলে দেয়া হয়। শান্তা জাহানের উপস্থাপনায় রাজধানীর নিকুঞ্জতে অবস্থিত হোটেল রিজেন্সীর বলরুমে অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের মাননীয় হুইপ অ্যাডভোকেট সানজিদা খানম এমপি, বিশেষ অতিথি ঢাকা ১০ আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য ও অভিনেতা ফেরদৌস আহমেদ, অনুষ্ঠান সভাপতি ও আলী রূপা ফাউণ্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হক ও পারফেক্ট ইলেকট্রনিক্সের প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও গোলাম শাহরিয়ার কবিরের হাত থেকে প্রত্যেক মা ‘মা পদক ২০২৪’ গ্রহণ করেন। প্রত্যেক মাকে মেডেল পরিয়ে দেবার পাশাপাশি ক্রেস্ট ও সার্টিফিকেট প্রদান, ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে উপহার দেয়া হয়। এর পাশাপাশি আমেরিকান কালার কসমেটিক ব্র্যান্ড ‘হারল্যানে’র পক্ষ থেকেও উপহার প্রদান করা হয়, যার পুরোটার সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন নায়ক ইমন। পুরো আয়োজন সফলভাবে সম্পন্ন করতে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে ‘রয়েল ক্যাফে’ ও ‘প্রিমিয়াম ট্যুরস অ্যান্ড ট্র্যাভেলস’। পদক প্রদান শেষে অনুষ্ঠানে বিদ্যা সিনহা মিমের মায়ের জন্মদিন উপলক্ষ্যে (১০ মে জন্মদিন) ‘হাওর জিন্স’র পক্ষ থেকে আনা স্পেশাল কেক কাটেন সবাই মিলে। যা অনুষ্ঠানকে আরো আলোকিত করে তোলে। প্রধান অতিথি অ্যাডভোকেট সানজিদা খানম এমপি বলেন, ‘সকল গর্বিত সন্তানের মায়েদের হাতে মা পদক তুলে দিতে পেরে ভীষণ ভালো লেগেছে। মায়েদের কষ্টের কারণেই কিন্তু সন্তানরা সফল হয় এবং মায়েরা সম্মানীত হলেন আজ তাদের উজ্জ্বল মুখ দেখতে পাচ্ছি।’ বিশেষ অতিথি ফেরদৌস আহমেদ বলেন, ‘অভি মঈনুদ্দীনের এই উদ্যোগ সত্যিই ভীষণ প্রশংসনীয়। আমার আম্মাও এই আয়োজনে সম্মাননা পেলেন তাও আবার আমার সাফল্যের কারণে, এক জীবনে এর চেয়ে বড় প্রাপ্তি আর কী হতে পারে। শুধু একটাই আশা, আমরা বাংলাদেশে কোনো বৃদ্ধাশ্রম চাই না। সকল মা-বাবা তাদের সন্তানদের সঙ্গে থাকুক, পরিবারের সঙ্গে থাকুক।’ অনুষ্ঠানের শেষ পর্যায়ে সঙ্গীত পরিবেশন করেন রাশেদ, ইউসুফ, লুইপা, লাবণ্য ও মিথিলা।