বাংলাদেশের সিনেমার ‘রূপবান কন্যা’ হিসেবে খ্যাত নায়িকা সুজাতা। বাংলাদেশের সিনেমার জীবন্ত কিংবদন্তি নায়িকা তিনি। এখনো তিনি গল্প ভালো হলে, মনের মতো চরিত্র পেলে সিনেমা ও নাটকে অভিনয় করেন। ‘বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ড’র একজন সম্মানিত সদস্য হিসেবেও সুজাতা নিষ্ঠার সাথে তার দায়িত্ব পালন করছেন। এরইমধ্যে সংসদ সদস্য ও নন্দিত নায়ক ফেরদৌস আহমেদ’র নিমন্ত্রণে রাজধানীর ধানমন্ডিতে অবস্থিত ফেরদৌসের রাজনৈতিক কার্যালয়ে উপস্থিত হয়েছিলেন সুজাতা। সুজাতাকে ফেরদৌস তার অফিসে পেয়ে ভীষণ উচ্ছ্বসিত হয়েছিলেন। কারণ বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের সোনালি অতীত দিনের একজন নায়িকা সুজাতা। বাংলাদেশের চলচ্চিত্রকে সমৃদ্ধ করতে একজন সুজাতারও বেশ ভূমিকা রয়েছে। তাই নিজের রাজনৈতিক কার্যালয়ে সুজাতাকে পেয়ে ভীষণ খুশি হন ফেরদৌস। দুজনে বসে বেশ খানিকটা সময় একসঙ্গে কাটান। তাদের গল্প, আড্ডায় উঠে এসেছিল সোনালি দিনের সিনেমার গল্প, বর্তমান সিনেমার চিত্র এবং বাংলাদেশের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিুবর রহমানের সোনার বাংলাদেশের উন্নয়নের গল্প। সুজাতা আজিম বলেন, ‘ফেরদৌস আমার অত্যন্ত স্নেহভাজন। ফেরেদৗস যেমন শিক্ষিত, ভদ্র, সদালাপী, বিনয় এবং হাস্যোজ্জ্বল, ঠিক তেমনি ভীষণ ভালো মনের একজন মানুষ। জনগণের ভালোবাসায় ফেরদৌস আজ জনগণেরই প্রতিনিধিত্ব করছে। জনগণের ভালোবাসায় ফেরদৌস আরো অনেক দূর এগিয়ে যাবে, এটা আমার বিশ্বাস। আগামী নিয়ে ফেরদৌসের চিন্তাভাবনা এবং পরিকল্পনা আমাকে মুগ্ধ করে। শুধুই রাজনীতি নিয়ে যে তার চিন্তাভাবনা, এমনটি নয়। চলচ্চিত্র নিয়েও তার ভাবনা, পরিকল্পনা আমাকে মুগ্ধ করে।
আমি যতোটুকু সময় তার রাজনৈতিক কার্যালয়ে ছিলাম, আমাকে অনেক অনেক সম্মান দিয়েছে। আমি ভীষণ ভীষণ সন্তুষ্ট। আমি আশীর্বাদ করি ফেরদৌস আগামীতে আরো সাফল্য পাক। মানুষের ভালোবাসায় তার আগামীর চলার পথ আরো সমৃদ্ধ হোক। ফুলের সৌরভ ছড়াক তার চলার পথে।’ ফেরদৌস আহমেদ বলেন, ‘শ্রদ্ধেয় সুজাতা আপা আমাদের চলচ্চিত্রের গর্ব, চলচ্চিত্রের জীবন্ত কিংবদন্তি নায়িকা। যাদের দেখানো পথে আমরা পথ চলেছি, হেঁটেছি, নিজেদের জীবনকে সৃমদ্ধ করেছি, তাদের মধ্যে অন্যতম একজন শ্রদ্ধেয় সুজাতা আপা। তিনি আমার অফিসে এসেছিলেন, এটা আমার জন্য সত্যিই সৌভাগ্যের একটি বিষয়। মানুষের কাছে এখনো তিনি রূপবান কন্যা, এখনো দর্শক তাকে শ্রদ্ধার আসনে রেখেছে। আমাকে তিনি ভীষণ স্নেহ করেন। সুজাতা আপার প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা রইল।’