ঢাকা ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

ফাতিমা কোনো সরল রেখার গল্প নয় : তাসনিয়া ফারিণ

ফাতিমা কোনো সরল রেখার গল্প নয় : তাসনিয়া ফারিণ

দর্শকদের কাছে প্রথমবার ভিন্নরূপে হাজির হলেন নাটকের অভিনেত্রী তাসনিয়া ফারিণ। তার অভিনীত ‘ফাতিমা’ নামে একটি সিনেমা সম্প্রতি দেশের প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে। এটি এরইমধ্যে বেশ কিছু উৎসব থেকেও সম্মাননা এবং প্রশংসা পেয়েছে। সিনেমাটিসহ সমসাময়িক বিভিন্ন প্রসঙ্গে এই অভিনেত্রীর সঙ্গে কথা বলেছেন আলোকিত বাংলাদেশের বিনোদন বিভাগের সঙ্গে।

‘ফাতিমা’র আদ্যোপান্ত কেমন ছিল?

সিনেমাটির নাম ভূমিকায় আমি অভিনয় করেছি। ২০১৭ সালে এর একটা অংশ শুট করা হয়েছে। ২০২৩ সালে এসে আরেকটি অংশ শুটিং করেছি। দুটি সময় মিলে হয়েছে ‘ফাতিমা’। আমি মনে করি সিনেমা যারা বোঝেন, মননশীল যে দর্শক আছেন তাদের অবশ্যই এটি দেখে ভালো লাগবে। এটা কোনো সরল রেখার গল্প নয়। অডিয়েন্সের ভাবনার গল্প আছে। এ সিনেমায় আমাদের মুক্তিযুদ্ধকে অনেক ভিন্নভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে।

সিনেমাটিতে কাজ করতে গিয়ে কোনো চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছিলেন?

কাজ করতে গিয়ে বড় চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছিলাম লুক সেট করতে গিয়ে। ২০১৭ সালের পর ২০২৩ সালে আবার যখন গল্পটা অন্যভাবে সাজানো হয়, তখন বর্তমানের চরিত্রটা আমি আমার মতো করে করেছি।

পুরো জিনিসটাই তখন আমার মাথা থেকে বের হয়ে গিয়েছিল। মানে ২০১৭ সালের লুকে আমাকে ২০২৩ সালেও শুটিং করতে হয়েছে। যে কারণে আমার সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ছিল এ ৫ বছরের ব্যবধানে অভিনয়ে কোনো পরিবর্তন হবে কি না? এ কারণে ইচ্ছা করেই হয়তো কিছুটা খারাপ অভিনয় করতে হয়েছে আগের লুকের সঙ্গে মিল রেখে!

ফাতিমা ও ফারিণের মধ্যে কোনো মিল আছে?

ফাতিমা ও ফারিণের মধ্যে অনেক মিল আছে। দুজনই অনেক স্পষ্টবাদী, আবার প্রতিবাদীও। কোনো অন্যায় সহ্য করতে পারি না, সঙ্গে সঙ্গেই প্রতিবাদ করি। আমি সব সময় সৎ থাকার চেষ্টা করি, কেউ কোনো মিথ্যা অভিযোগ করলে প্রতিবাদ করি।

ফাতিমাও ঠিক আমারই মতো। তবে অমিল আছে একটি জায়গায়, ফাতিমার যে সংগ্রামের অভিজ্ঞতা সেটা আমার নেই। তবে আমার নিজস্ব একটা জীবন-সংগ্রাম আছে, যা প্রত্যেকটা মেয়েরই থাকে।

এ সিনেমা নিয়ে প্রাপ্তির জায়গা থেকে কতটা তুষ্ট আপনি?

প্রাপ্তির আনন্দটা আমি কম উপভোগ করি। তবে প্রত্যাশা থাকে। যখন একটা কাজ দর্শকের ভালো লাগে, তখন অবশ্যই আমার ভালো লাগে। যখন কোনো কাজ করতে থাকি, তখন শুটিংয়ের মধ্যেই মনে হয় যে, এটাই আমার জীবনের লক্ষ্য-উদ্দেশ্য। এ কারণেই হয়তো এ প্রফেশনটা আমি বেছে নিয়েছি। দিন শেষে অবশ্যই কাজের ফলাফলটা গুরুত্বপূর্ণ। আমি যখন যে কাজ করি, মনে করি এ কাজটাই আমার শেষ কাজ। এরপর মানুষ আমাকে আবার প্রথম কাজ হিসাবেই দেখবেন, আগের কাজ মানুষ মনে রাখবে না। তাই প্রাপ্তি নিয়ে তেমন মাথা ঘামাই না।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত