ঢাকা ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

পালা ও লোকগানে মুগ্ধতা ছড়াচ্ছেন মুক্তা সরকার

পালা ও লোকগানে মুগ্ধতা ছড়াচ্ছেন মুক্তা সরকার

বাংলাদেশের আনাচে কানাচে পালা ও লোকগানে বিগত দেড় দশক ধরে যে শিল্পী গান শুনিয়ে মুগ্ধতা ছড়িয়ে আসছেন তিনি মুক্তা সরকার। পালা ও লোকগানে অর্থাৎ শরিয়তী-মারফতি গানে মুক্তা সাহা’র এতটাই চাহিদা যে, গত বছর স্টেজ মৌসুমের মুহূর্তে অক্টোবরের শেষ দিন মুক্তা সাহা তার ফেসবুকে নভেম্বর মাসজুড়ে তার গান করার সিডিউলটা প্রকাশ করেছিলেন। বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলের নাম সেই লিস্ট-এ তারিখসহ উল্লেখ ছিল।মুক্তা সরকারের মিষ্টি দরদি কণ্ঠ একবার যে এলাকার গান পাগল শ্রোতা দর্শক উপভোগ করেছেন, বারবার তারা তাকে নিমন্ত্রণ জানাতে চান তাদের এলাকায়। মুক্তা সরকারের গ্রামের বাড়ি কুমিল্লার মতলবের ষাটনলে। তার বাবা হজরত আলী সরকার গান করতেন। তার মা আরিফ বেগমও টুকটাক গান করতেন। তবে মুক্তার নানান সিদ্দিক ও মুক্তার বাবার আগ্রহেই মূলত মুক্তা সরকারের গানে প্রবল আগ্রহ তৈরি হয়। মতলবে গানের যে উৎসব হতো, সেখানে গিয়েই মূলত গানের প্রতি মুক্তার প্রবল আগ্রহ জন্মায়। মুক্তার শিক্ষা গুরু হলেন আকলিমা বেগম ও আলেয়া বেগম। তরঙ্গ ব্যানার থেকে মনির হোসেনের সংগীতে মুক্তার প্রথম অ্যালবাম ‘জ্বালায় জ্বালায় অঙ্গ জ্বলে’ অ্যালবামটি প্রকাশিত হয়। এরপর দুই শতাধিক গানের অ্যালবাম তার প্রকাশিত হয়েছে। এদিকে গত রোববার সন্ধ্যায় শিল্পকলা একাডেমিতে অনুষ্ঠিত হলো ‘লোক কাব্যের সুরধারা’ অনুষ্ঠান। এই অনুষ্ঠানে মূলত একটি গান গাইবার কথা ছিল মুক্তা সরকারের। তিনি উপস্থিত সকল দর্শকের জন্য প্রথম সাধক রশিকের ‘সুরের মায়ায় হৃদ মোহনায় জাগাইও ঊষার আলো’ গানটি পরিবেশন করার পর উচ্ছ্বসিত শ্রোতা দর্শক আরো একটি গান করার অনুরোধ করেন। এরপর মুক্তা সাধক চাঁন মিয়া বয়াতীর ‘তুমি ডাক দিলে অবলার পানে চাইও’ গানটি পরিবেশন করেন। গানটি পরিবেশনের সময় সকল উপস্থিত শ্রোতা দর্শক ভীষণ মুগ্ধতা নিয়ে মুক্তার গান উপভোগ করেন। বাংলাদেশে মুক্তার অনেক প্রিয় শিল্পী রয়েছে। তবে মায়ের আদর স্নেহে তাকে যিনি আগলে রাখেন তিনি হলেন বাউল সম্রাজ্ঞী মমতাজ। মমতাজ তাকে অনেক স্টেজ শোতে সঙ্গে নিয়েছেন।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত