ঢাকা ০৩ অক্টোবর ২০২৪, ১৯ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

অবশেষে স্টেজ শোতে টুসি

অবশেষে স্টেজ শোতে টুসি

নারায়ণগঞ্জের মেয়ে সাবরিনা নওশীন টুসি সেরাকণ্ঠ ২০২৩-এ আসার আগেই একজন শিল্পী হিসেবে নারায়ণগঞ্জসহ বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকায় একজন শ্রোতাপ্রিয় সঙ্গীতশিল্পী হিসেবে পরিচিত ছিলেন। ‘সেরাকণ্ঠ ২০২৩’-এ বিচারকদের রায় এবং দর্শকের ভোটে তিনি ফাইনালিস্টে আসেন। কিন্তু এখন পর্যন্ত গ্র্যান্ড ফিনালে না হওয়ায় কোনোরকম স্টেজ শো করা থেকে নিজেকে বিরতই রেখেছিলেন তিনি। কিন্তু এরইমধ্যে টুসি স্টেজ শোতে পারফর্ম করা শুরু করেছেন। এরইমধ্যে টুসি কুমিল্লা ও নারায়ণগঞ্জে দুটি ভিন্ন শোতে সঙ্গীত পরিবেশন করেছেন। টুসি জানান, সামনেও কিছু শো আছে তার। টুসি বলেন, ‘সত্যি বলতে কী একজন শিল্পীর ভীষণ ভালোলাগার জায়গাই হলো স্টেজ শো। কারণ সেখানে সরাসরি শ্রোতা দর্শকের কাছ থেকে রেসপন্সটা পাওয়া যায়। শিল্পী হিসেবে আমি এখনো শিক্ষানবিস। প্রতিনিয়তই নিজেকে গানে অধ্যাবসায়ে রাখছি। সেরাকণ্ঠের প্রকল্প প্রধান এবং প্রকল্প পরিচালক ইজাজ খান স্বপন স্যার বলেছেন শিগগিরই গ্র্যা- ফিনালে হবে। তবে তার আগে শো করা যেতে পারে। যে কারণে আমি স্টেজ শো করছি। নিজেরও ভীষণ ভালোলাগছে। তবে আগের সময়ের চেয়ে এই সময়ের মধ্যে পার্থক্য কিছুটা হলেও আছে। কারণ এখন আমাকে সেরাকন্ঠের টুসি হিসেবেও অনেকেই চিনেন জানেন। সেরাকন্ঠ এই দেশের নতুন প্রজন্মের শিল্পীদের জন্য অনেক বড় একটি প্লাটফরম। আমিও এই প্লাটফরমের একজন, এটা ভাবতেই ভীষণ ভালোলাগে। তারচেয়েও বড় কথা আমাদের ভীষণ সৌভাগ্য যে আমরা বিচরক হিসেবে শ্রদ্ধেয় রুনা লায়লা ম্যাম বন্যা ম্যম ও সামিনা ম্যমকে পেয়েছি। শিল্পী হিসেবে আগামী দিনের পথচলায় তাদের কাছ থেকে নেয়া আশীর্বাদ, গান সম্পর্কে নির্দেশনা কাজে লাগিয়ে চলতে পারবো, এটাই অনেক বড় বিষয়।’ উপমহাদেশের প্রখ্যাত সঙ্গীতশিল্পী রুনা লায়লার ‘দেবদাস’ সিনেমাতে গাওয়া ‘পায়েরই নূপুর আমার জাদু জানে’ গানটি গেয়ে সেমি ফাইনালে পরবর্তীতে ফাইনালে ওঠেন। সেরাকণ্ঠ চলাকালীন সময়ে অতিথি বিচারক হয়ে এসেছিলেন নায়ক প্রযোজক আলমগীর। তার সামনে টুসি গান গেয়েছিলেন। তার কণ্ঠের গান শুনে আলমগীর বলেছিলেন যে টুসির কণ্ঠ প্লে-ব্যাক অর্থাৎ সিনেমার জন্য পারফেক্ট একটি কণ্ঠ। টুসি শেখ জসীমের কথা ও সুরে একটি মৌলিক গান করেছিলেন। তবে তা এখনো প্রকাশ পায়নি। বিটিভির ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশিত আছে টুসির কণ্ঠে ‘এ সকাল শীতের সকাল’ গানটি। গানটি লিখেছেন মো. এনাম উল ইসলাম। সুর করেছেন কাজী দেলোয়ার হোসেন।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত