এই প্রজন্মের শ্রোতাপ্রিয় সঙ্গীতশিল্পী কানিজ খাদিজা তিন্নি। স্টেজ শো’র পাশাপাশি তিনি টিভি শো’তেও নিয়মিত সংগীত পরিবেশন করেন। তবে গানকে পেশা হিসেবে বেছে নিয়েও নন্দিত এই গায়িকা নারায়ণগঞ্জে একটি স্কুলে শিক্ষকতাও করেন। যে কারণে বলা যায় বেশ ব্যস্ত সময় পার করতে হয় তাকে। এরইমধ্যে দেশের এই বিপর্যস্ত পরিস্থিতিতে তাকে বৈশাখী টিভিতে সংগীত পরিবেশন করতে হয়। তিন-চারদিন আগেই বৈশাখী টিভির নিয়মিত একটি সংগীতানুষ্ঠনে মূলত তিনি প্রখ্যাত কয়েকজন সংগীতশিল্পীর গান পরিবেশন করেন। গানগুলো হলো ‘বুঝিনি তো আমি’, ‘এই মন জোছনায়’, ‘হারানো দিনের মতো’, ‘আমায় প্রশ্ন করে নীল ধ্রুব তারা’ ও ‘বিমূর্ত এই রাত্রি আমার’। তিন্নির কণ্ঠে এই গানগুলো শ্রোতা দর্শককে মুগ্ধ করে। এর দু’দিন পরই আবার এশিয়ান টিভিতে সরাসরি অনুষ্ঠানেও সংগীত পরিবেশন করেন তিনি। এই চ্যানেলে তিন্নি বাংলাদেশি ও ভারতী সংগীত শিল্পীদের জনপ্রিয় কিছু গান পরিবেশন করেন। তবে তিন্নি জানান আপাতত স্টেজ শো’তে পারফর্ম করা থেকে বিরত আছেন। কারণ দেশের সার্বিক পরিস্থিতি এখনো পুরোপুরি ভালো হয়নি। কারফিউ চলার পাশাপাশি বেশ দীর্ঘ একটা সময় দেশের নানান অঞ্চলে শিথিল সময়ও চলছে। তিন্নি বলেন, ‘বৈশাখী টিভিতে প্রচারিত অনুষ্ঠানের গানগুলো কিছুদিন আগেই রেকর্ড করা ছিল। প্রচারের পর অনেকের কাছ থেকে মুঠোফোনে গানগুলো গাওয়ার জন্য বেশ সাড়া পেয়েছি। আর এশিয়ান টিভিতে প্রচারিত গানের অনুষ্ঠান পুণঃপ্রচার করেছে। তারপরও গানগুলোর জন্য সাড়া পেয়েছি। সত্যি বলতে কী যেহেতু আমি মনে প্রাণে একজন সংগীতশিল্পী, তাই গানের মাঝে থাকতে, গানকে ঘিরে ব্যস্ত থাকতেই বেশি ভালোলাগে।
তবে বিগত কয়েকটা দিন দেশে যে পরিস্থিতি বিরাজমান ছিল তাতে ঘরের মধ্যেই সময় কাটাতে হয়েছে, পরিবারকেই অর্থাৎ বাবা মা আর ভাইকেই সময় দেয়া হয়েছে বেশি। আগামীদিন নিয়ে কিছু পরিকল্পনাও হাতে নিয়েছি। দেখা যাক সেই পরিকল্পনাগুলো ঠিকঠাক মতো বাস্তবায়ন করতে পারি কী না। সবার দোয়া চাই।’ ২০১৭ সালে চ্যানেল আই আয়োজিত ‘সেরাকণ্ঠ’ গানের প্রতিযোগিতামূলক অনুষ্ঠানের মধ্যদিয়ে গানের ভুবনে পেশাগতভাবে তিন্নির যাত্রা শুরু। তার প্রকাশিত বেশকিছু শ্রোতাপ্রিয় গান রয়েছে, যারমধ্যে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য হলো ‘মেঘমালা’, ‘শত শত রাত’,‘ শরৎ আমার স্নিগ্ধতা’, ‘চেয়েছি তোমায়’, ‘অভিমানী পাখি’ ইত্যাদি। এরইমধ্যে গান গেয়ে তিনি ‘চ্যানেল আই মিউজিক অ্যাওয়ার্ড’ ও ‘বিসিআরএ’ সম্মাননায় ভূষিত হয়েছেন।