জিনিয়া জাফরিন লুইপা, এই প্রজন্মের শ্রোতাপ্রিয় নন্দিত সঙ্গীতশিল্পী। তার কণ্ঠের মাধুর্যতা শ্রোতা দর্শককে সঙ্গীতাঙ্গনে তার শুভারম্ভের শুরু থেকেই মুগ্ধ করে আসছে। বগুড়ার মেয়ে লুইপার গানের ভুবনে পেশাদারী যাত্রা শুরু ২০১০ সালে ‘চ্যানেল আই সেরাকণ্ঠ’ প্রতিযোগিতার মধ্যদিয়ে। যদিও বা সেই প্রতিযোগিতা থেকে বলা যায় তিনি বাদই পড়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু সেই মুহূর্তে চাষি নজরুল ইসলাম পরিচালিত ‘দেবদাস’ সিনেমায় উপমহাদেশের প্রখ্যাত সঙ্গীতশিল্পী রুনা লায়লার গাওয়া ‘পায়েরই নূপুর আমার জাদু জানে’ গানটি গেয়ে আবারো প্রতিযোগিতায় নিজের নাম বেশ গৌরবের সঙ্গে যুক্ত করতে সক্ষম হন। পরবর্তীতে তিনি সেরা দশে নিজেকে উন্নীত করতে পেরেছিলেন। ২০১০ সালেই এই বিস্ময়কর কণ্ঠে মুগ্ধ হয়েছিলেন শ্রোতা দর্শক। পেশাগতভাবে গানের ভুবনে যাত্রা শুরুর বেশ কয়েক বছর পর সেই রুনা লায়লাই একদিন তার গান শুনে আবারো মুগ্ধ হন। ২০১৭ সালে বেগম আখতারের গাওয়ায় ‘জোছনা করেছে আঁড়ি’ গানটি কাভার সং হিসেবে প্রকাশ করেছিলেন লুইপা। লুইপার কণ্ঠে এই গান শুনেই আবারো মুগ্ধ হয়েছিলেন রুনা লায়লা। যে কারণে পরবর্তীতে রুনা লায়লারই সুরে ‘এই দেখা শেষ দেখা’ গানটি গাইবার সুযোগ পান লুইপা, যা তার সঙ্গীত জীবনে অনন্য অর্জন হিসেবেই দেখেন লুইপা। তবে গানের ভুবনে পেশাদারী যাত্রা শুরুর আগে লুইপা অভিনয়ও করেছিলেন। নাটকে অভিনয় করে বেশ প্রশংসাও পেয়েছিলেন তিনি। বিশেষত বাংলাদেশের কিংবদন্তী নাট্য পরিচালক আতিকুল হক চৌধুরীর নির্দেশনায় নাটকে কাজ করার সুযোগ পেয়েছিলেন তিনি। সারওয়ার উল ইসলামের রচনায় ও আতিকুল হক চৌধুরীর পরিচালনায় লুইপা ‘বৃষ্টি বালিকা’ নাটকে অভিনয় করেছিলেন। এই নাটকে প্রতিমা চরিত্রে লুইপা চমৎকার অভিনয় করেছিলেন। প্রতিমা চরিত্রে অভিনয় করে প্রশংসিতও হয়েছিলেন। শুধু তাই নয় গিয়াস উদ্দিন সেলিমের ‘পালিয়ে বিয়ে’ নাটকেও অভিনয় করেছিলেন তিনি। যদি অভিনয়েও নিয়মিত থাকতেন লুইপা, তবে হয়তো বাংলাদেশের নাট্যাঙ্গন আরো একজন মেধাবী অভিনেত্রীই পেতো। এদিকে আজ লুইপার জন্মদিন। জন্মদিনে তিনি সবার কাছে দোয়া চেয়েছেন। লুইপা বলেন, ‘আমার পরম সৌভাগ্য হয়েছিল যে আমি বাংলাদেশের প্রতিথযশা কিংবদন্তী পরিচালক আতিকুল হক চৌধুরী স্যারের নির্দেশনায় অভিনয় করেছিলাম। যখন অভিনয় করি তখন আসলে তার সম্পর্কে এতো বিষদ জানার সুযোগও ছিল না আমার। কিন্তু পরবর্তীতে জানতে পেরে বেশ গর্ব অনুভব করেছি। সত্যি বলতে কী অভিনয়টা শখের বশেই করেছিলাম।