ঢাকা ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৩ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

কানাডায় গেলেন ববিতা...

কানাডায় গেলেন ববিতা...

বাংলাদেশের পরিস্থিতি স্বাভাবিক ছিল না বিধায় ইচ্ছে থাকলেও ববিতা ‘ববিতা দিবস’-এ ডালাসে যেতে পারেননি। আবার এরমধ্যে দ্বিতীয়বারের মতো করোনা হওয়ায় তিনি তার এবারের জন্মদিনের (৩০ জুলাই) আগে তিনি তার একমাত্র ছেলে অনিকের কাছেও যেতে পারেননি। তবে এবার বলা যায় পুরোপুরি সুস্থ হয়েই ববিতা কানাডায় চলে গেলেন। গত ৯ আগস্ট দিবাগত রাতে ববিতা কানাডার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়েছেন। যাবার আগে ববিতা বলেন, ‘আল্লাহর অশেষ রহমতে এখন আমি অনেকটাই সুস্থ। ছেলের কাছে যাবার জন্য মনটা অস্থির হয়ে আছে। তাই কানাডার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হলাম। সবার কাছে দোয়া চাই আল্লাহ যেন সুস্থ রাখেন, ভালো রাখেন। দেশে বিরাজমান পরিস্থিতিও দ্রুত স্বাভাবিক হোক, নিরাপত্তার বেস্টনীতে আবার দেশে শান্তি ফিরে আসুক। দেশের মানুষ ভালো থাকুক-এই দোয়া করি। আন্দোলনে যারা শহীদ হয়েছেন তাদের বিদেহী আত্নার শান্তি কামনা করছি। যখন আমি আমার অভিনয় জীবনের শুরুতে দেশের বাইরে বাংলাদেশের পতাকা হাতে নিয়ে বিভিন্ন চলচ্চিত্র উৎসবে হেঁটেছি, তখন একজন বাংলাদেশি হিসেবে আমি গর্ব অনুভব করেছি। এখনো প্রতিটি মুহূর্তে একজন বাংলাদেশি হিসেবে আমি গর্ব অনুভব করি। সেই আমার গর্বের বাংলাদেশ সবসময় ভালো থাকুক, এখানকার মানুষ শান্তিতে থাকুক, এটাই চাই সবসময়।’ ববিতা বাংলাদেশের একজন সফল চলচ্চিত্র অভিনেত্রী এবং প্রযোজক। তিনি বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের ৭০-এর দশকের সেরা অভিনেত্রী ছিলেন। তিনি ১৯৭৩ সালে ২৩তম বার্লিন আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব থেকে গোল্ডেন বীয়ার জয়ী সত্যজিৎ রায়ের অশনি সংকেত চলচ্চিত্রের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র অঙ্গনে প্রশংসিত হন। ববিতা ৩৫০ এর বেশি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। তিনি ১৯৭৫ সালে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার প্রবর্তনের পর টানা তিনবার শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রীর পুরস্কার জেতেন। এছাড়া ১৯৭৬, ১৯৭৭, ১৯৮৫ সালে সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কার পান। ১৯৯৬ সালে শ্রেষ্ঠ প্রযোজক, ২০০২ ও ২০১১ সালে পার্শ্ব চরিত্রে শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে ভূষিত হন। ২০১৬ সালে তাকে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের আজীবন সম্মাননা পুরস্কার প্রদান করা হয়। ববিতা অভিনীত সর্বশেষ সিনেমা ছিল নারগিস আক্তারের ‘পুত্র এখন পয়সাওয়ালা’।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত