একই পরিচালকের দুই নাটকে বৃষ্টি

প্রকাশ : ১৬ আগস্ট ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  বিনোদন প্রতিবেদক

তানিয়া বৃষ্টি, এই প্রজন্মের আলোচিত্র অভিনেত্রীদের মধ্যে অন্যতম একজন। ভিন্ন ধরনের চ্যালেঞ্জিং চরিত্রে একের পর এক অভিনয় করে তানিয়া বৃষ্টি দর্শকের কাছে প্রিয় একজন অভিনেত্রীতে পরিণত হয়েছেন। দর্শক এবং পরিচালকদের অভিমত তার অভিনয় এখন অনেক পরিণত। যে কোনো চরিত্রে তার অভিনয় এতোটাই প্রাণবন্ত হয় যে দর্শকের কাছে তা ভীষণ ভালোলাগায় পরিণত হয়। এরই মধ্যে তানিয়া বৃষ্টি অভিনীত দু’টি নাটক এসেছে বেশ আলোচনায়। একটি ‘ভালো থেকো বউ’ ও অন্যটি ‘জাল’। দু’টি নাটকই রচনা ও পরিচালনা করেছেন প্রীতি দত্ত। ‘ভালো থেকো বউ’ নাটকে নাম ভূমিকায় অভিনয় করেছেন। গোপনে প্রেমিককে বিয়ে করার পর স্বামী কর্তৃক নানানভাবে তাকে মানসিক চাপের মধ্যে থাকতে গিয়ে এক সময় স্বামীর উপর ভীষণ বিরক্ত হয়ে পড়ে বৃষ্টি। শেষমেষ স্বামীর হাতেই খুন হয় বৃষ্টি। এই নাটকে নতুনরূপে দেখা গেছে তানিয়া বৃষ্টিকে। এর আগে তাকে এই ধরনের চরিত্রে অভিনয় করতে দেখা যায়নি। এই নাটকে বৃষ্টির অভিনয় এতোটাই প্রাণবন্ত মনে হয়েছে যে মনে হচ্ছিলো চরিত্রটি বাস্তব একটি চরিত্র। এই চরিত্রে বৃষ্টির অভিনয় দেখলেই অনুভব করা যায় অভিনয় তিনি কতোটা পরিণত হয়েছেন। আর ‘জাল’ নাটকেও বৃষ্টির সহজাত অভিনয় দর্শককে মুগ্ধ করেছে। দুটি নাটকেই বৃষ্টির বিপরীতে চমৎকার অভিনয় করেছেন শাশ্বত দত্ত। এরই মধ্যে তানিয়া বৃষ্টি কাজের উদ্দেশ্যে দেশের বাইরে গেছেন গত সোমবার রাতে। যাবার আগে তানিয়া বৃষ্টি বলেন, ‘প্রীতি দিদির নির্দেশনায় ভালো থেকো বউ এবং জাল নাটকে অভিনয় করে আমি অভূতপূর্ব সাড়া পেয়েছি। বিশেষত ভালো থেকো বউ নাটকে আমার চরিত্রটি খুউব পছন্দের। এই ধরনের চরিত্রে অভিনয় করার যথেষ্ট সুযোগ থাকে। আমি চেষ্টা করেছি চরিত্রটি যথাযথভাবে ফুটিয়ে তুলতে। জাল-নাটকটিরও গল্প চমৎকার। সবমিলিয়ে দুটি নাটক আমার অভিনয় জীবনের ক্যারিয়ারের জন্য বেশ ইতিবাচক দুটি নাটক। আমি আগামীতেও এই ধরনের চ্যালেঞ্জিং গল্পে কাজ করতে চাই। ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা দর্শকের প্রতি। ধন্যবাদ প্রীতি দিদিকেও।’ সাম্প্রতিক সময়ে তানিয়া বৃষ্টি অভিনীত আলোচিত নাটকগুলো হচ্ছে সাগর জাহানের ‘ছোবল’, এস আর মজুমদারের ‘কাকতাল’, মাবরুর রশীদ বান্নাহর ‘কবিতার চার লাইন’, তারেক রেজা রহমান সরকারের ‘মায়ার নীল ডায়েরী’, সকাল আহমেদর ‘ভালো থেকো বিন্দু’, মিতুল খানের ‘নো ওয়ে টু ব্রেকআপ’, ইশতিয়াক আহমেদ’র ‘শেষ পর্যন্ত তোমাকে চাই’।