একুশে পদকপ্রাপ্ত জীবন্ত কিংবদন্তী অভিনেতা এবং বাংলাদেশের সবচেয়ে সিনিয়র অভিনয়শিল্পী মাসুদ আলী খান বেশ কিছুদিন যাবত অসুস্থ। এরই মধ্যে তার চিকিৎসার জন্য পরপর দু’বার হাসপাতালে নেয়া হয়েছিল। এখন রাজধানীর গ্রীনরোডের বাসাতেই বিছানায় শুয়েই তার সময় কাটছে। চলছে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা।
১৯২৯ সালের ৬ অক্টোবর মানিকগঞ্জে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। সেই হিসেবে আগামী ৬ অক্টোবর তিনি ৯৫ বছর পূর্ণ করে ৯৬-এ পা রাখতে যাচ্ছেন। গুনী এই শিল্পীকে দেখতে এবং তারসঙ্গে কিছুটা সময় কাটাতে গত ২৫ সেপ্টেম্বর বিকালে তার বাসায় উপস্থিত হয়েছিলেন চুমকি ও শাহেদ আলী-দীপা খন্দকার। মাসুদ আলী খানের অসুস্থতার খবর শুনে ম মাসুদ আলী খানের বাসায় উপস্থিত হয়েছিলেন তারা। মাসুদ আলী খানের স্ত্রী তাহমিনা খান রুবী (আগে নাম ছিল তাহমিনা আহমেদ) চুমকি, শাহেদ আলী ও দীপা খন্দকারকে স্বাগত জানান। হঠাৎ তাদের দেখে মাসুদ আলী খানের চোখে মুখে যেন এক অন্যরকম আনন্দের উচ্ছ্বাস ছড়িয়ে পড়ে। শিল্পীরা সবাই মাসুদ আলী খানের চারিপাশে বসে তার সঙ্গে তার বিগত দিনের নানান গল্প আড্ডায় মেতে উঠেন। অভিনেতা শাহেদ আলী তার জন্ম, বেড়ে উঠা এবং অভিনয়ের সঙ্গে সম্পৃক্ততার অল্প কথায় বিস্তারিত জানতে চান। উপস্থিত শিল্পীদের মধ্যে দীপা খন্দকার মাসুদ আলী খানের সঙ্গে বহু নাটকে অভিনয় করেছেন এবং প্রতিটি নাটকেই দীপার বাবার চরিত্রে অভিনয় করেছেন মাসুদ আলী খান।
চুমিকও মাসুদ আলীর সঙ্গে বেশকিছু নাটকে অভিনয় করার সুযোগ পেয়েছেন। তবে শাহেদ আলী এমন চার/পাচটি নাটকের পরিচালকের সহকারী হিসেবে কাজ করেছেন যে নাটকে মাসুদ আলী খান ছিলেন। গল্প আড্ডার মাঝেই মাগরিবের সময় হয়ে উঠে। সবাই নামাজ শেষে আবারো চা চক্রে অংশ নিয়ে আবারো গল্পে মেতে উঠেন। মাসুদ আলী খান বলেন, ‘তোমরা এসেছো, তোমাদের দেখে আমার কী যে ভালোলাগছে আমি বুঝাতে পারবো না। বলবো না, সবসময় আসো, সময় পেলে মাঝে মাঝে এসো, আমার ভালোলাগবে।’ শাহেদ আলী বলেন, ‘মাসুদ ভাই আপনিই আমাদের সবচেয়ে সিনিয়র শিল্পী। আপনাকে নিয়ে শততম জন্মদিন উদযাপনের স্বপ্ন দেখি আমরা। ইনশাআল্লাহ এই স্বপ্ন পূরণ হবে।’ চুমকি বলেন, ‘খুব ইচ্ছে ছিল আঙ্কেলকে দেখার। অবশেষে দেখতে পেয়ে ভীষণ ভালোলাগছে।’ দীপা খন্দকার বলেন, ‘বিদায় নিয়ে ফেরার সময় খুউব কান্না পাচ্ছিল। জানি না আর দেখা হবে কী না। তবে দোয়া করি আল্লাহ যেন আঙ্কেল’ কে সুস্থ রাখেন।’