জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত নায়িকা বিদ্যা সিনহা মিম ও নায়ক সিয়াম আহমেদ বেশ কয়েক বছর আগে একটি সিনেমাতে অভিনয় করেছিলেন। কিন্তু সেই সিনেমাটি শেষ পর্যন্ত শেষ হয়নি। এরপর তাদের আর একসঙ্গে জুটি হয়ে কোনো সিনেমাতে কাজ করা হয়নি। দীপংকর দীপন পরিচালিত ‘অন্তর্জাল’ সিনেমাতে তাদের দু’জনকে একসঙ্গে অভিনয়ে দেখা যায়। এরই মধ্যে কয়েকদিন আগে বাংলাদেশের একটি দেশীয় ব্র্য- ( পোশাক)-এর ফটোশ্যুটে অংশ নিয়েছেন মিম ও সিয়াম। এর আগেও একবার তারা দু’জন একই প্রতিষ্ঠানের ফটোশ্যুট-এ অংশ নেন। মিম বলেন, ‘সিয়ামের সঙ্গে সিনেমাতে কাজ শুরু হয়েছিল রায়হান রাফি পরিচালিত ইত্তেফাক সিনেমায়। তবে সিনেমাটির পুরো কাজ শেষ হয়নি। সিনেমাটি আর মুক্তিও পায়নি। এরপর আমাদের দু’জনের অন্তর্জাল মুক্তি পায়। দর্শকের কাছ থেকে বেশ ভালো সাড়া পেয়েছিলাম। আর কয়েকদিন আগে আমরা একসঙ্গে একটি ফটোশ্যুটে অংশ নিলাম। এবারের ফটোশ্যুটটি মূলত আগামী দুর্গাপূজা উপলক্ষ্যে করা। এর আগেও একই প্রতিষ্ঠানের ফটোশ্যুট-এ আমরা অংশ নিয়েছিলাম। এ ছাড়া আপাতত আর কোনো বিশেষত নতুন সিনেমায় কাজ করার পরিকল্পনা নেই। দেশের সার্বিক পরিস্থিতি হয়তো আরো স্বাভাবিক হলে আমাদের চলচ্চিত্র ইণ্ডাষ্ট্রি বেগবান হবে। এখন শুধু যেসব প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আমি কাজ করা নিয়ে চুক্তিবদ্ধ সেসব প্রতিষ্ঠানেরই নিয়মিত কাজ করছি। আমাদের ইণ্ডাষ্ট্রি আবার ঘুরে দাঁড়াবে, এমন প্রত্যাশাতেই আছি।’ গত শুক্রবার বিকালে মিম বসুন্ধরা সিটিতে একটি প্রতিষ্ঠানের গ্র্যা- ওপেনিং-এ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে প্রতিষ্ঠানটির উদ্বোধন করেন। এদিকে মিম এরই মধ্যে শেষ করেছেন ওয়াহিদ তারিকের পরিচালনায় ‘দিগন্তে ফুলের আগুন’। সিনেমাটি প্রযোজনা করেছেন শমী কায়সার। এই সিনেমায় মিম প্রখ্যাত সাংবাদিক, লেখক শহীদ বুদ্ধিজীবি শহীদুল্লাহ কায়সারের স্ত্রী পান্না কায়সারের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন। তবে পান্না কায়সারের চরিত্রে অভিনয় করার আগে মিম’র সঙ্গে পান্না কায়সারের দেখা হবার আগেই পান্না কায়সার গেলো ৪ আগস্ট মৃত্যু বরণ করেন। সেদিনই মূলত পান্না কায়সারের সঙ্গে মিমের দেখা হবার কথা ছিলো। মিম সর্বশেষ তুমুল আলোচনায় আসেন রায়হান রাফি পরিচালিত ‘পরাণ’ সিনেমাতে অভিনয় করে। এই সিনেমায় তার অনবদ্য অভিনয় দর্শককে দারুণভাবে মুগ্ধ করে। তার অভিনয় জীবনের টার্নিং পয়েন্ট হিসেবেও বিবেচিত হয় এই সিনেমাটি। এতে তার বিপরীতে অভিনয় করেন শরীফুল রাজ ও ইয়াশ রোহান। বলা যায় সাম্প্রতিক কালে বাংলাদেশের চলচ্চিত্রাঙ্গন ব্যবসায়িকভাবে নতুন করে চাঙ্গা হয় মিম অভিনীত ‘পরাণ’ সিনেমা নিয়েই। এরপর ‘হাওয়া’, ‘প্রিয়তমা’, ‘সুড়ঙ্গ’, ‘রাজকুমার’, ‘তুফান’ সেই ধারাবাহিকতায় যুক্ত হয়।
