ঢাকা ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৫ পৌষ ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

কুসুমের প্রশ্ন, সব চলছে সিনেমা কেন বন্ধ!

কুসুমের প্রশ্ন, সব চলছে সিনেমা কেন বন্ধ!

বিপ্লবী বিজয় শেষে দেশ আবার স্বাভাবিক জীবনে ফিরেছে। যদিও সিনেমা এখনো আটকে আছে স্তব্ধতায়। ৫ আগস্টের পর উল্লেখযোগ্য কোনো সিনেমা মুক্তি পায়নি প্রেক্ষাগৃহে। অনেকেরই অভিমত, এখন সিনেমা মুক্তির জন্য সঠিক সময় নয়। তবে এমন অভিমত ছাপিয়ে নতুন বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য প্রথম সিনেমা হিসেবে ১১ অক্টোবর প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেতে যাচ্ছে কুসুম সিকদারের ‘শরতের জবা’। শুধু অভিনয় নয়, এই ছবির গল্প, চিত্রনাট্য, নির্মাণ ও প্রযোজনা একাই করেছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারজয়ী এই অভিনেত্রী। যেমন নজির ঢাকাই ইন্ডাস্ট্রিতে সচরাচর মেলেনি। মূলত এসব বিষয় নিয়ে প্রাণবন্ত এক আড্ডা হয়েছে বাংলা ট্রিবিউন-এর সেলিব্রিটি শো ‘মামানামা-আউট অব দ্য বক্স’ সুবাদে। জনি হকের প্রযোজনা ও মাহমুদ মানজুরের সঞ্চালনায় অতিথির আসনে বসে এদিন কুসুম সিকদার জানান তার চলচ্চিত্রযাত্রার নানান গল্প।

কথার ফাঁকে কুসুমের প্রতি মোটাদাগে দুটি প্রশ্ন ছিল। কেন তিনি নির্মাণের মতো কঠিন একটি কাজে পা বাড়ালেন, সঙ্গে অভিনয়-চিত্রনাট্য-প্রযোজনাও। দ্বিতীয় প্রশ্নটি ছিল, কেন এই অসময়ে সিনেমাটি মুক্তি দিতে যাচ্ছেন? কারণ, চারপাশে এখনো অস্থিরতা। শুরুতে দ্বিতীয় প্রশ্নের জবাব শোনা যাক কুসুমের কণ্ঠে। তিনি বলেন, ‘এই যে আপনারা আমার ইন্টারভিউ নিচ্ছেন। আমিও দিচ্ছি। লাইট, ক্যামেরা, মেকআপ, ড্রাইভার; কোনোকিছু বন্ধ আছে? চিকিৎসক, শিক্ষক, পাইলট, বাজার, খাওয়া, গাওয়া- সবই তো চলছে। সবই চলছে সিনেমা কেন বন্ধ থাকবে? সব দোষ কেন আমাদের সিনেমা ইন্ডাস্ট্রির। ফেসবুক খুললে দেখবেন সবাই বিনোদনে আছে। ওটিটি দেখছে। গান শুনছে। হল রিলিজটা শুধু বন্ধ। বলতে পারেন এই অভাববোধ থেকে ছবিটি মুক্তি দিচ্ছি।আমি চাই আবার প্রেক্ষাগৃহে দর্শক ফিরুক।’ কুসুম সিকদার মনে করেন, এই ছবিতে কোনো নামকরা নায়ক নেই, তবে এর গল্পটাই বড় নায়ক। ফলে দর্শকরা গল্পের টানে হলেও ছবিটি দেখতে আসবেন।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত