‘ছায়াবাজি’র এক দশকে অনন্য লুইপা...
প্রকাশ : ১৬ অক্টোবর ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
বিনোদন প্রতিবেদক
বাংলাদেশের সঙ্গীতাঙ্গনের এই সময়ের অন্যতম জনপ্রিয় একজন শিল্পী জিনিয়া জাফরিন লুইপা। ‘চ্যানেল আই সেরাকণ্ঠ ২০১০’ প্রতিযোগিতার মধ্যদিয়ে পেশাগতভাবে একজন সঙ্গীতশিল্পী হিসেবে বাংলাদেশের সঙ্গীতাঙ্গনে যাত্রা শুরু হয়েছিলো বগুড়ার মেয়ে লুইপার। দেখতে দেখতে পেশাগতভাবে পথচলার এক দশকেরও বেশি অর্থাৎ ১৪ বছর সময় পার করছেন। এই দীর্ঘ ১৪ বছরের পথচলার এই সময়ে এসে লুইপা হয়ে উঠেছেন বাংলাদেশের সঙ্গীতাঙ্গনের একজন নন্দিত সঙ্গীতশিল্পী।
শ্রোতা দর্শকের কাছে হয়ে উঠেছেন ভীষণ প্রিয়। নিজের বেশ কয়েকটি মৌলিক গান দিয়ে তিনি যেমন শ্রোতা দর্শকের মন জয় করে নিয়েছেন। ঠিক তেমনি বাংলাদেশের ও ভারতের সোনালী দিনের গান গেয়েও তিনি শ্রোতা দর্শকের মন জয় করে নিয়েছেন। লুইপা এই সময়ে টিভি শো ও স্টেজ শো’তেও অন্যান্য শিল্পীদের চেয়েও বেশ ভালো সময় পার করছেন। লুইপার প্রথম একক গানের অ্যালবাম প্রকাশ পায় ২০১৫ সালের ১২ অক্টোবর সিডি চয়েজ থেকে। অ্যালবামের নাম ছিল ‘ছায়াবাজি’। অ্যালবামের সবগুলো গানের কথা লিখেছিলেন রবিউল ইসলাম জীবন। সুর সঙ্গীত করেছিলেন কিশোর দাস। রাজধানীর বনানীর একটি অভিজাত রেস্তোরাঁয় সেদিন এক বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের মধ্যদিয়ে অ্যালবামটির প্রকাশনা অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়েছিলো। প্রথম অ্যালবামের বেশ কয়েখকিটি গান বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছিল। তারমধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো ‘ঘুরে ফিরে’, ‘ছায়াবাজি’, ‘যেখানে আমি থাকি’ গানগুলো বেশ শ্রোতাপ্রিয়তা পায়। এরপর অবশ্য লুইপা আর কোনো গানের অ্যালবাম প্রকাশ করেননি।
এরপর তিনি যুগের সাথে তাল মিলিয়ে একটি করেই গানে প্রকাশে করেছেন। তার মধ্যে কাভার সং হিসেবে কিছু গান প্রকাশ করেছেন। আবার মৌলিক গানও প্রকাশ করেছেন। সবগুলো গানই শ্রোতা দর্শকের ভালোবাসায় জনপ্রিয়তা পেয়েছে। লুইপার পরম সৌভাগ্য হয়েছে উপমহাদেশের প্রখ্যাত সঙ্গীতশিল্পী রুনা লায়লার সুরে গান গাইবার। তার সুরে গান গাইতে পারাও যেন তার সঙ্গীত ক্যারিয়ারকে ভীষণভাবে সমৃদ্ধ করেছে। এমন সৌভাগ্য প্রজন্মের সঙ্গীতশিল্পীদের ক্ষেত্রে খুবই কম হয়েছে। সেদিক দিয়েও লুইপা ভাগ্যবান। সঙ্গীতাঙ্গনে আজ তার যে অবস্থান এবং সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে লুইপা বলেন, ‘মহান আল্লাহর প্রতি অসীম কৃতজ্ঞতা। আমার বাবা মায়ের শতভাগ সাপোর্টের কারণে সঙ্গীতের দুনিয়ায় নির্দ্ধিধায় আমি পথ চলতে পেরেছি।