‘আমার হৃদয়ের কথা’ সিনেমায় যুক্ত হওয়ার সময় ৪ লাখ টাকা নিয়েছিলেন ঢালিউড নায়িকা ইয়ামিন হক ববি। ছবিটি তিনি আর করেননি। এতে প্রযোজকের ক্ষতি হয়েছে প্রায় ৩০ লাখ টাকা। ২০২০ সালের জানুয়ারি মাসে ছবির মহরতেও হাজির হননি অভিনেত্রী। সম্প্রতি সেই আক্ষেপের কথা জানালেন ছবির পরিচালক জয় সরকার। গত মঙ্গলবার ফেসবুকে ববির একটি ভিডিও শেয়ার করে জয় সরকার লিখেছেন, ‘এই ববি আমার এক প্রযোজকের কাছ থেকে চার লক্ষ টাকা সাইনিং মানি নিয়ে পরবর্তীতে আর সিনেমাটা করে নাই। প্রোডিউসারের প্রায় ৩০ লক্ষ টাকা লস এবং আমরা টেকনিশিয়ানরা আমাদের পারিশ্রমিক থেকে বঞ্চিত হয়েছিলাম একমাত্র ববির কারণে।’ আসলে কী ঘটেছিল? অনেক স্বপ্ন নিয়ে যাত্রা করেছিল ফাতেমা কথাচিত্র নামে এক নতুন প্রযোজনা সংস্থা। তাদের প্রথম ছবি ‘আমার হৃদয়ের কথা’য় নায়িকা হিসেবে নিয়েছিল ববিকে। আব্দুল মজিদ নামের ওই প্রযোজক এখন প্রবাসে। নির্মাতা জয় সরকার দেশে বসে সেই ছবির জন্য আক্ষেপ করছেন। তিনি জানালেন, ১১ জানুয়ারি বিকালে ছিল ছবির মহরত।
প্রধান অতিথি তৎকালীন সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ, বিশেষ অতিথি এফবিসিসিআইয়ের অন্যতম পরিচালক হেলেনা জাহাঙ্গীর উপস্থিত ছিলেন। সেদিন ববি মহরতে উপস্থিত হননি। এতদিন পর সামাজিক মাধ্যমে এসব কেন জানাচ্ছেন? শিল্পী সমিতি, পরিচালক সমিতি বা প্রযোজক সমিতিতে অভিযোগ করেছেন কি না জানতে চাইলে জয় সরকার বলেন, ‘মৌখিকভাবে পরিচালক সমিতিতে জানিয়েছি। তৎকালীন শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খানকেও বিষয়টি জানিয়েছিলাম।’ তিনি আরো বলেন, ‘এই সিনেমা করোনার আগের। এফডিসিতে মহরতের মাধ্যমে শুরু হওয়ার কথা ছিল। ববি মহরতের দিন আসেননি। আমরা সবাই মিলে মহরত অনুষ্ঠান করেছিলাম।’ তার দাবি এই ঘটনায় প্রযোজক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। তিনি হয়তো এই নির্মাতাকে দিয়ে আর কখনোই সিনেমা করাবেন না। বিষয়টি জানতে যোগাযোগ করা হলে ববি বলেন, ‘এসব মিথ্যা। এ রকম কোনো কিছুই আমি জানি না।’ ববি অভিনীত সর্বশেষ ছবি ‘ময়ূরাক্ষী’ মুক্তি পায় গত ঈদুল আজহায়। নানা কারণে দর্শক টানতে ব্যর্থ হয় ছবিটি। মুক্তির পর দ্রুত হল হারাতে হয় ছবিটিকে। ‘ময়ূরাক্ষী’র ব্যর্থতা ঘিরে নির্মাতার সঙ্গে দ্বন্দ্বে জড়ান নায়িকা ববি। নায়িকার অভিযোগের পাশাপাশি সিনেমা সংশ্লিষ্টদেরও নানা অভিযোগ ছিল পরিচালকের বিরুদ্ধে। কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে পরিচালক রাশিদ পলাশের সঙ্গে হাতাহাতি হয় নায়িকা ববির।