ধীরে ধীরে পাল্টে যাচ্ছে ঢাকাই সিনেমার পরিস্থিতি। ভিন্ন ভিন্ন গল্পের টানে হলমুখী হচ্ছেন সিনেমাপ্রেমীরা। গেল দু-তিন বছরে বেশ কয়েকটি ভালো সিনেমা উপহার পেয়েছেন দর্শকরা। শুধু সিনেমাই নয়, নতুন জুটিও পেয়েছেন তারা। এবার ভিন্ন ধারার গল্পে নতুন আরেকটি জুটি পেতে যাচ্ছেন দর্শকরা। শিগগিরই জুটি বেধে পর্দা মাতাতে আসছেন প্রার্থনা ফারদিন দীঘি এবং সৈয়দ জামান শাওন। চলতি বছরের জুলাইতে একটি বিয়ের কার্ড ফেসবুকে শেয়ার করে দীঘি লিখেছিলেন, ‘আর অপেক্ষা করতে পারছি না। আলহামদুলিল্লাহ সব কিছুর জন্য।’ আর সেই পোস্ট দেখেই বিয়ে করতে যাচ্ছেন অভিনেত্রী— এমন গুঞ্জনে মেতে ওঠেন ভক্তরা। পরে অবশ্য জানা যায়, এটি দীঘির নতুন সিনেমার প্রচারের অংশ। তবে সে সময়ে সিনেমা প্রসঙ্গে কিছু না জানালেও এবার জানা গেল, ‘৩৬-২৪-৩৬’ নামে একটি সিনেমায় জুটি বেধেছেন শাওন-দীঘি। গত ১৫ অক্টোবর বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সার্টিফিকেশন বোর্ডেও জমা পড়েছে সিনেমাটি। এটি চরকির ‘মিনিস্ট্রি অব লাভ’ প্রকল্পের পঞ্চম সিনেমা। শুরুতে ওয়েব ফিল্ম হিসেবে কেবল ওটিটিতে মুক্তির কথা থাকলেও, এখন প্রেক্ষাগৃহেও সিনেমাটি মুক্তি দিতে চায় চরকি। সিনেমাটি নিয়ে দীঘি বলেন, একটি গল্প যতটা সাধারণভাবে বলা যায়, ততই দর্শকের কাছে যায়। এই সিনেমায় সেই চেষ্টাই করা হয়েছে। দিন শেষে একটু বিনোদন চায় মানুষ। সহজভাবে বাঁচতে চায়।
সেটাই এ সিনেমার গল্প। অন্যদিকে ক্যারিয়ারের প্রথম সিনেমা ‘কাঠবিড়ালী’ দিয়ে দর্শকদের কাছে প্রশংসিত হন শাওন। পরে বেশ কিছু সিনেমার প্রস্তাব পেলেও ব্যাটেবলে না মেলায় করা হয়নি তার। গত বছর গোপনেই দ্বিতীয় সিনেমায় নাম লেখান এই অভিনেতা। শাওন বলেন, এটা পারফেক্ট সিনেমার গল্প। একই সঙ্গে এখানে রোমান্টিক-কমেডির পাশাপাশি সামাজিক বার্তা রয়েছে সিনেমায়। পারিবারিক ঘরানার সিনেমাটি দেখে দর্শক হতাশ হবেন না। প্রথমবার দীঘির সঙ্গে কাজের বিষয়ে তিনি বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দীঘির আলাদা একটি ইমেজ আছে। সেগুলো পাশ কাটিয়ে সে অভিনয়ে অনেক সিনসিয়ার। বেশ সময় নিয়ে আমরা কাজটি করেছি। যে কারণে আমাদের গল্পটা জমেছে। দুজনকেই দর্শক নতুনভাবে পাবেন। ওয়েব ফিল্ম হিসেবে গত জুলাইতে চরকিতে মুক্তির কথা ছিল সিনেমাটির। তবে রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে তখন মুক্তি দেয়া সম্ভব হয়নি এটি। এখন পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র হিসেবে হলে মুক্তি পেতে যাচ্ছে।