একসময় অশ্লীলতা ছেয়ে গিয়েছিল ঢাকাই চলচ্চিত্রে। মূলত ২০০০ সালের পরবর্তী সময়টাকে ‘অন্ধকার যুগ’ বলা হতো। তখন থেকেই হলবিমুখ হতে শুরু করেন সিনেমাপ্রেমীরা। সম্প্রতি সেই সময়ের দুটি সিনেমা জব্দ করে চলচ্চিত্র সার্টিফিকেশন বোর্ডের কাছে পাঠায় পুলিশ। কাটপিসযুক্ত এসব সিনেমায় নোংরা দৃশ্য দেখে বিব্রত অভিনেত্রী কাজী নওশাবা আহমেদসহ সার্টিফিকেটশন বোর্ডের সদস্যরা। গত ১৫ অক্টোবর সার্টিফিকেশন বোর্ডের সদস্যরা জব্দ করা ‘জাঁদরেল’ও ‘শক্র ঘায়েল’ নামের সিনেমা দুটি দেখেন। পুলিশের অভিযোগ, সিনেমায় অশ্লীল কাটপিস দৃশ্য লাগিয়ে সেগুলো হলে চালানো হচ্ছিল। পরে সত্যতা পেয়ে সিনেমা প্রদর্শনের অনুমতি বাতিল করেন বোর্ডের সদস্যরা। এ প্রসঙ্গে সেন্সর সার্টিফিকেশন বোর্ডের সদস্য ও অভিনেত্রী নওশাবা বলেন, সিনেমাগুলো দেখা আমার জন্য বিব্রতকর ছিল। একটি সিনেমায় অদ্ভুতভাবে আজেবাজে দৃশ্য জুড়ে দেয়া হয়েছে। এ ধরনের সিনেমা কোনো সভ্য দেশের দর্শকের জন্য নয়। সেন্সর বোর্ডের সদস্য নির্মাতা খিজির হায়াত বলেন, এত জঘন্য কাটপিস, যা কোনোভাবেই দেখার মতো নয়। এত অশ্লীলতা, নগ্নতা বাংলা সিনেমার সঙ্গে জুড়ে দেয়া বাকরুদ্ধ করেছে। এ ধরনের রুচিহীন কাজ যারা করেছেন, তাদের আইনের আওতায় আনা উচিত। আমরা সিনেমা দুটি দেখে মতামত জানিয়েছি। এ ধরনের সিনেমা যেন আর কোথাও কোনো সিনেমা হলে না চালানো হয়, সেদিকে লক্ষ্য রাখা প্রয়োজন। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও তিনি লিখেছেন, কাটপিস আমলে সেন্সর সার্টিফিকেট প্রাপ্ত জব্দ হওয়া একটা সিনেমা সার্টিফিকেশন বোর্ডে আজকে দেখে লজ্জায়, ঘৃণায় বমি চলে আসছে, ছিঃ। এরাই বাংলাদেশি সিনেমা ইন্ডাস্ট্রিকে ধ্বংস করার অন্যতম কারিগর। যেখানেই কাটপিস সিনেমা চলবে নিকটতম প্রশাসনকে জানানোর জোর দাবি থাকল। জানা গেছে, দায়িত্ব নেয়ার পর ‘নয়া মানুষ’, ‘ভয়াল’, ‘যাপিত জীবনসহ ১০টি সিনেমা দেখেছেন চলচ্চিত্র সার্টিফিকেশন বোর্ডের সদস্যরা। তবে যারা এভাবে নতুন সিনেমা না থাকায় হলে কাটপিস-অশ্লীল সিনেমা চালাচ্ছেন, শিগগিরই তাদের আইনের আওতায় আনা হবে বলে জানায় সার্টিফিকেশন বোর্ড সূত্র।