দিনাজপুরের একেএম জিল্লুর রহমান ও মিসেস তায়েবুন্নেসা দম্পতির মেয়ে জান্নাতুল ফেরদৌস টুম্পা। ভীষণ ফ্যাশন সচেতন একজন আধুনিক মানুষ। একবার যারা তাকে কাছ থেকে দেখছেন, তার সঙ্গে কথা বলেছেন তারাই তার ব্যক্তিত্বে মুগ্ধ হয়েছেন। ব্র্যাক ইউনিভার্সিটিতে বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে পড়ার সময়ই তিনি বাংলালিংক’এ চাকরি শুরু করেন। ২০০৯ থেকে টানা চার-পাঁচ বছর তিনি বাংলালিংক ও গ্রামীণ ফোনে চাকরি করেছেন। ২০১৪ সালে নিজস্ব গয়নার ডিজাইনে যাত্রা শুরু করেন ‘গয়না বাকসো’ নামের প্রতিষ্ঠানের। টানা প্রায় তিন বছর শুধু গয়না নিয়েই ব্যবসা করেছেন তিনি। গয়না প্রসারের জন্য যথন তিনি লাইভে আসতেন তখন তার পরিধেয় আকর্ষণীয় পোশাক এবং তার ফ্যাশন সেন্স অন্যদের আগ্রহী করে তুলতো। যে কারণে ২০১৬ থেকে ২০১৭ সময়কাল তিনি স্টাডি শুরু করলেন গয়নার পাশাপাশি আর কী ধরনের পণ্য ক্রেতাদের জন্য ‘গয়না বাকসো’র সাথে সম্পৃক্ত করা যেতে পারে। এরপরই ২০১৭’র পর থেকে ‘গয়না বাকসো’তে স্থান পায় পাকিস্তানের বিভিন্ন প্রখ্যাত ব্র্যাণ্ডের পোশাক। পোশাকগুলো বিক্রির লক্ষ্যে যখনই তিনি লাইভে আসতেন মুহূর্তেই শেষ হয়ে যেতো বিশেষত অনলাইনে সবগুলো পোশাক। রাতারাতি ‘গয়নার বাকসো’র সুনাম যেন আরো ছড়িয়ে পড়ে। এই মুহুর্তে টুম্পার ‘গয়না বাকসো’র তিনটি শোরুমে রয়েছে। রাজধানীর উত্তরার জমজম টাওয়ারে, ধানমণ্ডির সীমান্ত সম্ভারে ও মিরপুর-১’এ। তবে শো’রুম গুলোতে এখনো শাড়ি তোলা হয়নি। শাড়ি অনলাইনেই বিক্রি করা হয় বলে জানালেন টুম্পা। পরিকল্পনা আছে শোরুমে শাড়ি তোলার। টুম্পা যখন লাইভ করেন তখন অনেকেই এমনও বলে থাকেন যে, আপু আপনিতো অনেক সুন্দর, অনেক স্মার্ট। আপনিতো চাইলে মডেলিং কিংবা অভিনয়ও করতে পারেন। এমন প্রশ্ন রাখা হলে ‘গয়না বাকসো’র চেয়ারম্যান টুম্পা বলেন, ‘ অভিনয় কিংবা বিজ্ঞাপনে মডেল হবার বিষয়টি যদি ক্রিয়েটিভ কিছু হয় সে ক্ষেত্রে ভেবে দেখা যেতে পারে। বাণিজ্যিকভাবে এই মাধ্যমে নিজেকে যুক্ত করার আগ্রহ নেই আমার।’ আপাতত ‘গয়না বাকসো’ আপাতত শুধুই ঢাকা কেন্দ্রিক। তবে এর ব্যাপ্তি বাড়ানোরও আগ্রহ রয়েছে টুম্পার। আগামীর পরিকল্পনা ও স্বপ্ন নিয়ে টুম্পা বলেন, ‘আমি সততা ও নিষ্ঠার সাথে আমার প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করে যেতে চাই। ব্যবসায়িক কারণে যে সম্মান ও ভালোবাসা আমি পাই, এই ভালোবাসাটাই আজীবন ধরে রাখতে চাই। আমার প্রতিষ্ঠানের প্রতি, আমার প্রতি যতোদিন ক্রেতাদের আগ্রহ থাকবে, সম্মান থাকবে-ততোদিনই আমিও ক্রেতাদের জন্য পাশে থাকবো।’