বাংলাদেশের নাটকের ও চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় অভিনেত্রী চিত্রলেখা গুহ। এই সময়ে তাকে তার অভিনীত বেশিরভাগ নাটকে মায়ের ভূমিকাতেই অভিনয় করতে দেখা যায়। বর্তমান সময়েও চিত্রলেখা গুহ একের পর এক নাটকে অভিনয় করছেন। এরই মধ্যে তিনি মিতুল খান, রুবেল হাসান, মোহিন খান, জুলফিকার শিশির, এস আর নাহদি, তপু খানসহ আরো বেশ কয়েকজন নাট্যনির্মাতার নির্দেশনায় নাটকে অভিনয় করেছেন। গত বৃহস্পতিবার তিনি মিতুল খানের নির্দেশনায় নিলয় আলমগীর ও হিমি’র সঙ্গে একটি নাম চূড়ান্ত না হওয়া নাটকে অভিনয় করেছেন। চিত্রলেখা গুহ জানান বর্তমানে তার অভিনীত দু’টি ধারাবাহিক নাটক দু’টি চ্যানেলে প্রচার হচ্ছে। একটি সাজ্জাদ সুমনের ‘মাশরাফি জুনিয়র’ ও অন্যটি এটিএন বাংলায় গেলো মাসে প্রচার শুরু হওয়া ধারাবাহিক নাটক ইমরাউল রাফাত পরিচালিত ‘অদ্ভূত পরিবার’। চিত্রলেখা গুহ বলেন, ‘আমি যে কাজটা করতে ভালোবাসি সেটাই আমার পেশা। অর্থাৎ আমি অভিনয় করতে ভীষণ ভালোবাসি, অভিনয় করতেই ভালোলাগে। আর এটাই আমার পেশা। মানুষের ভালোলাগা আর ভালোবাসার বিষয়ই যদি পেশা হয় তাহলে সেই কাজে তার নিজের ভেতর পরম শান্তি বিদ্যমান থাকে সবসময়। অভিনয় করতেই ভালোবাসি বলে আমার নিজের মাঝে সবসময়ই এক অন্যরকম প্রশান্তি কাজ করে। এই সময়ে এসেও আমি একের পর এক ভালো ভালো গল্পের নাটকে অভিনয় করছি এটাও অনেক বড় বিষয়। ঈশ্বরের প্রতি অসীম কৃতজ্ঞতা। অবশ্যই যারা আমাকে নিয়ে সবসময় কাজ করেন তাদের প্রতিও আমার আন্তরিক ভালোবাসা ও দোয়া রইলো। আমি যতোদিন বাঁচবো ততোদিনই অভিনয়ই করে যাবে। একটি কথা না বললেই নয়, আমার পরিবার আমাকে শতভাগ সহযোগিতা করে। যে কারণে পরম স্বাচ্ছন্দ্যতা নিয়ে আমি অভিনয় করে যেতে পারি।’ চিত্রলেখা গুহ অভিনীত উল্লেখযোগ্য সিনেমাগুলো হচ্ছে ‘স্বপ্নের নায়ক’, ‘লালসালু’, ‘লালন’, ‘মোল্লা বাড়ীর বউ’, ‘কমন জেন্ডার’, ‘৭১ এর মা জননী’, ‘রূপসা নদীর বাঁকে’ ইত্যাদি। ২০১৪ সালে তিনি ‘৭১-এর মা জননী’ সিনেমাতে অভিনয়ের জন্য জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন। তার অভিনীত প্রথম সিনেমা শেখ নিয়াত আলী’র ‘অন্য জীবন’। চট্টগ্রামের ‘অঙ্গন থিয়েটার’-এ মিলন চৌধুরীর রচনা ও নির্দেশনায় ‘অভ্যন্তরীন খেলাধূলা’ নাটকে তার প্রথম অভিনয় করা। উল্লেখ্য, সালমান শাহ ও চিত্রলেখা গুহ অভিনীত ‘স্বপ্নের নায়ক’ সিনেমাটি ১৯৯৭ সালের ৪ জুলাই মুক্তি পায়।