উপমহাদেশের প্রখ্যাত সঙ্গীতশিল্পী, সুরস্রষ্টা রুনা লায়লাই বাংলাদেশের সঙ্গীতাঙ্গনের এই প্রজন্মের অন্যতম জনপ্রিয় সঙ্গীতশিল্পী দিলশাদ নাহার কণার গানের অনুপ্রেরণা। ছোটবেলা থেকেই কণা রুনা লায়লার যতো গান আছে সব গান শুনতেন এবং সেসব গান গাইতেন।
বাবা, মাসহ পরিবারের সবাই, বন্ধু বান্ধব সবার প্রত্যাশা ছিল বড় হয়ে একদিন রুনা লায়লারই মতো প্রখ্যাত গায়িকা হবেন। সেই স্বপ্ন আর আশা নিয়েই ছোটবেলা থেকে গানে নিজেকে গড়ে তুলেছেন কণা। রুনা লায়লার মতো হওয়া, এটাইতো রুনা লায়লার পরবর্তী প্রজন্মের শিল্পীদের কাছে ছিল অনেক বড় অনুপ্রেরণার বিষয়। গানের ভুবনে পথ চলতে চলতে একটা সময় এসে রুনা লায়লার সঙ্গে দেখাও হয় কণা’র। রুনা লায়লার আশীর্বাদ নিয়ে কণা যেন আরো অনেক বেশি অনুপ্রাণিত হয়ে গানের ভুবনে নিজেকে আরো প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টায় এগিয়ে যেতে থাকেন। একের পর এক মৌলিক গান দিয়ে কণা বাংলাদেশের সঙ্গীতাঙ্গনে নিজের একটি আলাদা অবস্থান সৃষ্টি করেন। দেশে বিদেশে কণার গানের ব্যাপক চাহিদার কারণে দেশে বিদেশে স্টেজ শোতেও তার ব্যস্ততা বেড়ে যায়। সর্বশেষ কিছুদিন আগে মুক্তিপ্রাপ্ত রায়হান রাফি পরিচালিত ‘তুফান’ সিনেমায় কণার কণ্ঠে ‘দুষ্টু কোকিল’ গানটি দারুণ সাড়া ফেলে।
সেই গানেরই রেশ রয়ে গেছে এখনো। ‘দুষ্টু কোকিল’ গান নিয়ে চারিদিকে হৈচৈ পড়ে যায়। শুধু তাই নয় কণার কণ্ঠ ও গায়কীর প্রশংসা করে রুনা লায়লা তার নিজের ফেসবুক ওয়ালেও একটি পোস্টও দেন। তা যেন কণার কাছে অবিশ্বাস্য ছিল। সেই সময় রুনা লায়লা লিখেছিলেন, ‘কয়েকদিন আগে তুফান দেখলাম। ভীষণ উপভোগ করেছি। সিনেমাটির নির্মাণশৈলী ভালো ছিল এবং শাকিব খান যথারীতি খুব ভালো করেছে। দুটি গান সত্যিই খুব সুন্দরভাবে রচিত, গাওয়া এবং শুট করা হয়েছে। আমি দুটি গানই পছন্দ করেছি। তবে আমার ব্যক্তিগত পছন্দ হল ‘দুষ্টু কোকিল ডাকে কু কু কু কু’।
মনকাড়া সুর এবং কণা খুব সুন্দর গেয়েছে। পরবর্তী প্রজেক্টের জন্য শুভকামনা।’ রুনা লায়লার এমন স্ট্যটাস দেখে ঠিক বুঝে উঠতে পারছিলেন না কণা কি রিপ্লাই দিবেন। কণা বলেন, ‘আমার সারা জীবনের সঙ্গীত জীবনের সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি, সবচেয়ে বড় অর্জন শ্রদ্ধেয় রুনা লায়লা ম্যাডামের আমার গান দুষ্টু কোকিল নিয়ে তার ভালোলাগার কথা তারই ফেসবুকে লেখা। আমার বিশ্বাসই হচ্ছিল না। তিনি যে কতো বড় মনের, কতো মহান একজন শিল্পী তা আবারো প্রমাণ পেলাম আমরা। আল্লাহ তাকে ভালো রাখুন, সুস্থ রাখুন। আর এটা পরম সত্যি যে শ্রদ্ধেয় রুনা লায়লা ম্যাডামই আমার গানের অনুপ্রেরণা। তাকে আমার গানের অনুপ্রেরণা হিসেবে নিয়েই আমি এগিয়ে চলেছি। অবশ্যই সবসময়ই আমার ইচ্ছে থাকে ভালো গান করার। রুনা ম্যাডামের কাছ থেকে এই অনুপ্রেরণা পাবার পর আমি যেন আমার গানের প্রতি আরো অধিক মনোযোগী হয়ে উঠেছি।’ উল্লেখ্য, ২০২২ সালের ২০ নভেম্বর রুনা লায়লার ৭০তম জন্মদিনে কণা রুনা লায়লার সামনেই রুনা লায়লারই একটি গান পরিবেশন করেন। আবার ২০২২ সালেই রুনা লায়লার হাত থেকেই কণার ম