শোবিজের দর্শকনন্দিত অভিনেতা মোশাররফ করিম। ক্যারিয়ারে এখন পর্যন্ত অসংখ্য নাটকে অভিনয় করে দর্শকদের মনে জায়গা করে নিয়েছেন তিনি। শুধু নাটক নয়, অভিনয় দক্ষতায় মাতান বড় পর্দাও। একের পর এক চরিত্রে নিজেকে ফুটিয়ে তুলতে চেষ্টার কোনো কমতি রাখেন না এই অভিনেতা। এবার তিন গল্পে ভিন্নরূপে পর্দা মাতাতে আসছেন মোশাররফ করিম। প্রথমবার ‘আধুনিক বাংলা হোটেল’ নামের অ্যান্থলজি সিরিজে অভিনয় করলেন তিনি। এর চিত্রনাট্য ও পরিচালনা করেছেন কাজী আসাদ। লেখক শরীফুল হাসানের ছোট গল্প থেকে সিরিজটির চিত্রনাট্য করেছেন নির্মাতা। মূলত লেখকের ‘খাসির পায়া’ ছোট গল্প অবলম্বনে বানানো হয়েছে পর্ব ‘খাসির পায়া’। ‘নো এক্সিট’ গল্প থেকে নির্মাণ করেছে ‘হাঁসের সালুন’ এবং ‘বোয়াল মাছের ঝোল’ পর্বটি নির্মিত হয়েছে ‘খাবার’ নামের ছোট গল্প থেকে। এ প্রসঙ্গে কাজী আসাদ জানান, ‘আধুনিক বাংলা হোটেল’ সিরিজে দর্শক নানারকম ঘরানার মিশেল পাবেন। গল্পে সাইকোলজিক্যাল হরর, ফ্যান্টাসি, থ্রিলার ও মিথলজির মিশ্রণ রয়েছে। জানা গেছে, তিনটি গল্পে তিনভাবে দেখা মিলবে মোশাররফ করিমের। তিনি বলেন, খাবারের নাম দিয়ে যে এমন সব গল্প হতে পারে এটা আমার ভাবনাতেই ছিল না। সিরিজে আমার চরিত্রগুলোতে দেখা-অদেখার মিশ্রণ রয়েছে। চরিত্রগুলোর কিছু বৈশিষ্ট্য আমাদের আশপাশের মানুষের মধ্যে পাওয়া যায়। অভিনেতা আরো বলেন, আবার কিছু বৈশিষ্ট্য অদেখা। কিছু বিষয় আছে বাইরে থেকে বোঝা যায়। কিন্তু তার মনের মধ্যে যা চলছে, সেটি বোঝার উপায় থাকে না, মনস্তাত্ত্বিক দ্বন্দ্ব থাকে। এমন বিষয় আনতে হয়েছে সিরিজটির অভিনয়ে। এসব ক্ষেত্রে আমি আমার নিজের অনুভূতি চিন্তা কাজে লাগিয়েছি। আর কিছু অবজারভেশন তো থাকেই। প্রসঙ্গত, হ্যালোইন উপলক্ষে ওটিটিতে মুক্তি পাবে মোশাররফ করিমের ‘আধুনিক বাংলা হোটেল’। আগামী ৩০ অক্টোবর রাত ১২টা থেকে চরকিতে সিরিজটির প্রথম পর্ব ‘বোয়াল মাছের ঝোল’ দেখতে পাবেন দর্শকেরা। মোশাররফ করিম ছাড়াও সিরিজটির বিভিন্ন পর্বে আরো অভিনয় করেছেন, গাজী রাকায়েত, সালাহউদ্দিন লাভলু, শিল্পী সরকার অপু, একে আজাদ সেতু, নিদ্রা নেহাসহ অনেকে।