বাংলাদেশের নাট্যাঙ্গনের এই সময়ের সবচেয়ে ব্যস্ততম অভিনেতা নিলয় আলমগীর। একের পর একটু ভিন্ন ঘরানার গল্পের নাটকে নিলয় আলমগীরের অনবদ্য অভিনয় দর্শককে মুগ্ধ করছে। তার সমসাময়িক কালের সব অভিনেতার চেয়ে দর্শকপ্রিয়তায় তিনি যেমন শীর্ষে রয়েছেন, সেই সাথে অন্যান্যদের চেয়ে অভিনয়েও বেশি ব্যস্ত তিনি। অনেক কষ্ট, সংগ্রাম, অধ্যবসায়ের পর নিলয় আলমগীর হয়ে উঠেছেন দর্শকের প্রিয় এক তারকা অভিনেতায়, প্রযোজক পরিচালকদের কাছেও তিনি পছন্দের শীর্ষে রয়েছেন। রিয়েলিটি শো ‘সুপার হিরো সুপার হিরোইন’র মাধ্যমে মিডিয়ায় তার পথচলা শুরু হলে এরপর বিজ্ঞাপনে, নাটকে কাজ করেই চলছিলেন নিলয়। কিন্তু যে নাটকটিতে তার অভিনয় দর্শকের দৃষ্টি কাড়তে সক্ষম হয় সেটি হলো চ্যানেল আইতে প্রচারিত সালাহ উদ্দিন লাভলু পরিচালিত ‘সোনার পাখি রূপার পাখি’ ধারাবাহিক নাটকটি। এই নাটকে সেলিম চরিত্রে দুর্দান্ত অভিনয় নিলয়ের ক্যারিয়ারের টার্নিং পয়েন্ট হিসেবে বিবেচিত হয়। আর এর পরপরই নাটকের একজন অভিনেতা হিসেবে নিলয়ের কাজ বাড়তে থাকে, পাশাপাশি তার জনপ্রিয়তাও বাড়তে থাকে। বিগত কয়েক বছরে নাটক ইণ্ডাষ্ট্রিতে নিলয় হয়ে উঠেন একজন চাহিদা সম্পন্ন অভিনেতা, যাকে নিয়ে কাজ করার জন্য প্রযোজক পরিচালকের মধ্যে প্রবল আগ্রহের সৃষ্টি হয়। কারণ তার নাটক মানেই হিট, তার নাটক মানেই ব্যবসাসফল নাটক। ঠিক এই মুহূর্তে বাংলাদেশের পাঁচটি সর্বাধিক ভিউয়ের নাটকের মধ্যে নিলয় আলমগীরের দুটি নাটক রয়েছে। নাটক দু’টি হলো মোহিন খানের ‘শ্বশুরবাড়িতে ঈদ’ ও ‘সংসার আমার ভাল্লাগে না’। শুধু তাই নয় এই সময়ে নিলয় আলমগীর অভিনীত যেসব নাটক দারুণ দর্শকপ্রিয়তা পেয়েছে তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে ‘তরী’, ‘আদরে থেকো’, ‘পাপ’, ‘এক জনমে ভালোবেসে’, ‘সামির’, ‘মামার বাড়ি’, ‘মানুষ দেখতে কেমন’, ‘পাখির মতো মন’, ‘বদনাম’, ‘একসাথে’, ‘মন মাজার’, ‘ওয়াদা’, ‘বাহাদুরী’ ইত্যাদি। নিজের অবস্থান নিয়ে ভীষণ সন্তুষ্ঠ নিলয় আলমগীর। নিলয় আলমগীর বলেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ, আল্লাহর অশেষ রহমতে এবং আমার বাবা মায়ের দোয়ায় আমি আজকের অবস্থানে আসতে পেরেছি। আমার অবস্থান নিয়ে আমি সন্তুষ্ট। বিশেষভাবে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি তানভীর খান ভাই, সানিয়াত হোসেন ভাই ও সৈকত সালাহ উদ্দিন ভাইয়ের কাছে, কারণ তারা আমার ক্যারিয়ারের শুরুর দিকে আমার জন্য অনেক কিছু করার চেষ্টা করেছেন।