তারকা দম্পতি অনন্ত জলিল-বর্ষা। দিনের বেশিরভাগ সময় কর্মব্যস্ততায় থাকলেও ঘরে তারা আদর্শ বাবা-মা।
সকল কাজের বাইরেও সন্তানদের কাছে আদর্শ বাবা-মা হওয়াটা খুব জরুরি। এ দম্পতির রয়েছে দুই ছেলে। আরিজ ইবনে জলিল ও আবরার ইবনে জলিল। সন্তানদের নিয়েই তাদের সুখের সংসার। আজ তাদের বড় ছেলে আরিজ ইবনে জলিলের জন্মদিন।
প্রথম সন্তান প্রত্যেক বাবা-মায়ের কাছে অন্য এক অনুভূতির। যার সাথে জড়িয়ে থাকে প্রথমবারের মতো বাবা-মা হওয়ার স্বাদ। আরিজকে নিয়েও তার জন্মদিনে স্মৃতিচারণ করেছেন অনন্ত-বর্ষা। বর্ষা বলেন, ‘খুব টেনশনে ছিলাম, প্রথমবার মা হচ্ছি। স্বভাবতই আনন্দ ও ভয়টা একটু বেশিই ছিল। অনন্ত মাথায় হাত রেখে বললো, নো টেনশন। তাদের দ্বিতীয় সন্তানের আবরারও সাত বছরের হয়ে গেছে। তবুও যেন এ দম্পতি প্রথম সন্তান নিয়ে স্মৃতিকাতর একটু বেশিই যেন।
তারকা দম্পতি বলে নয়, এটি সব বাবা-মায়ের ক্ষেত্রেই হয়। আরিজের জন্মের পূর্ব মুহূর্তের কথা মনে করে বর্ষা বলেন, ‘দেশে কেন জানি ভরসা পাচ্ছিলাম না। হয়তো ভয়ের কারণে। অনন্ত বললো, ‘তাহলে ব্যাংককেই (থাইল্যান্ড) ডেলিভারি হবে।’
দুই মাস আগে চলেও গেলাম। এরপ্রর আমার কোল আলোকিত করে আরিজ এলো। প্রথম দেখে কতটা সুখ অনুভব করেছি সেটা বলে বোঝাতে পারব না। সব মায়েরই বোধহয় এমনটাই অনুভব করে।
আরিজের জন্মের তিন বছর পর আবরার এলো পৃথিবীতে। দুই ছেলেকে নিয়েই এখন আমার পৃথিবী। ওদের জন্য সবার কাছে দোয়া চাচ্ছি, যেন মানুষের সেবায় নিয়োজিত থাকতে প্রারে।’ তবে বড় ছেলের জন্মদিনে বিশেষ কোনো আয়োজন নেই বলেই জানিয়েছেন বাবা অনন্ত জলিল। তিনি বলেন, ‘আমি চেয়েছিলাম।
কিন্তু বর্ষা বললো, প্রথাগত আয়োজনে করে কী লাভ। তার চেয়ে আমরা বাচ্চাদের নিয়ে কিছু সময় এতিমখানায় কাটাই। ওখানকার শিশুদের সঙ্গে কথা বলি। এটাই বেশি ভালোলাগার। যদিও আমি সবসময় সাধ্যমতো এতিমদের সহযোগিতা করার চেষ্টা করি। আরিজের জš§দিনে সেটা আবারও করছি। সবাই আমার ছেলেদের জন্য দোয়া করবেন।’ এদিকে অনন্ত ও বর্ষা ‘নেত্রী : দ্য লিডার’ নামে একটি সিনেমায় অভিনয় করছেন। শিগগিরই এর অসমাপ্ত কাজ শেষ করে মুক্তির তারিখ ঘোষণা করা হবে। অন্যদিকে ‘অপারেশন জ্যাকপট’সহ অনন্ত আরো একাধিক সিনেমার কাজ করছেন।
