বাংলাদেশের সঙ্গীতাঙ্গনে এই প্রজন্মের অন্যতম আলোচিত গায়িকা তাসনিম আনিকা। বাংলা ভাষায় গান গাওয়ার পাশাপাশি তিনি ইংরেজি, হিন্দি, আরবি ভাষাতেও গান গাইতে ভীষণ স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন। তাসনিম আনিকার মিষ্টি কণ্ঠ, গানে গানে স্টেজ শোতে তার অসাধারণ পারফরম্যান্স ও কয়েকটি ভাষায় গান করার পারদর্শিতার কারণে অনেক শিল্পীর চেয়ে স্টেজ শোতে তার রয়েছে প্রবল চাহিদা। যেখানে স্টেজ শোর এই মৌসুমে কিছু কিছু শিল্পীর হাতে অল্প সংখ্যক স্টেজ শো রয়েছে, আবার কিছু কিছু শিল্পীর হাতে স্টেজ শো অনেকটা নেইও বলা চলে, সেখানে তাসনিম আনিকা দুর্দান্ত ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন স্টেজ শোতে।
তার ভাষ্যমতে গেলো নভেম্বরের পুরোটাই তিনি স্টেজ শো নিয়ে ভীষণ ব্যস্ত ছিলেন। শুধু কক্সবাজারেই তিনি পাঁচটি শো করেছেন। আবার ঢাকাতেতো ছিলোই। অন্যদিকে চলতি মাসে স্টেজ শোর দিনগুলো ছাড়াও অন্যান্য দিনেও স্টেজ শো নিয়ে রয়েছে তার ব্যস্ততা। আগামী বছরের জানুয়ারি মাসের জন্যও কয়েকটি স্টেজ শো এরই মধ্যে চূড়ান্ত হয়ে আছে। আনিকার বিশ্বাস আগামী কয়েকদিনের মধ্যে জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারিতে স্টেজ শোর সংখ্যা আরো বাড়বে।
আনিকা জানান, এখন যখন যেখানে যাচ্ছেন সেখানেই তাকে তার মৌলিক দু’টো গান ‘পরাণ বন্ধু’ ও ‘পালাবি কোথায়’ স্টেজ শোতে গাইতেই হয়। এই দু’টি গান একজন সঙ্গীতশিল্পী হিসেবে তাসনিম আনিকাকে বাংলাদেশের সঙ্গীতাঙ্গনে এক অন্যরকম অবস্থানে এনে দিয়েছে। কয়েক বছরের আগের আনিকার চেয়ে বর্তমান সময়ের আনিকা একজন সঙ্গীতশিল্পী হিসেবে অনেকটাই পরিপূর্ণ। নিজের পেশাগত ব্যস্ততা প্রসঙ্গে তাসনিম আনিকা বলেন,‘ আমি চারটি ভাষায় গান গাই। আমার দর্শক সাধারণত একেবারেই ইয়ং জেনারেশনের গানপ্রেমী শ্রোতা দর্শক। তাই নিজের মৌলিক গান গাইবার পাশাপাশি অন্য সবগুলো ভাষারই জনপ্রিয় গানগুলো গাইবার চেষ্টা করি আমি। আমি মনে করি, সঙ্গীত পরিবেশনে ভাষা কোনো প্রতিবন্ধকতা নয়। গান যদি শুনতে ভালো লাগে, মনের আবেগকে যদি প্রকাশ করে তাহলেই তা শ্রোতা দর্শকের কাছে সমানানুভতি নিয়ে উপভোগ্য হয়ে উঠে। আমার পারফরম্যান্সের সময় তা আমি শ্রোতা দর্শকের মধ্যে স্পষ্ট অনুভব করি যে তারা তা আত্না দিয়েই অনুভব করছেন। আর আমার বিশ্বাস, যদি আমি গান তালিম নিয়ে শিখতে পারতাম তাহলে হয়তো আরো ভালো কিছু হতো। আর বাংলাদেশের শ্রোতা দর্শকের প্রতি আন্তরিকভাবে কৃতজ্ঞ যে তাদের জীবন চলার পথে কোনো না কোনাভাবে তাদের জীবনে গান সর্বোপরি বিনোদন রেখেছেন বিধায় শিল্পীরা আবারো কাজে ফিরতে পেরেছেন।’ সিনেমায় আনিকার আলোচিত গান শাকিব খানের ‘নোলক’ সিনেমার ‘জলে ভাসা ফুল’ (সহশিল্পী হৃদয় খান)। গানে আনিকার অনুপ্রেরণা কানিজ সুবর্ণা, মেহরীন ও মিলা। কানিজ সুবর্ণার কণ্ঠ, পারফরম্যান্স ও ব্যক্তিত্ব তাকে মুগ্ধ করে।