উপমহাদেশের প্রখ্যাত সঙ্গীতশিল্পী, সুরস্রষ্টা রুনা লায়লা’র সঙ্গে দেখা করার, কথা বলার এমন কী তার সঙ্গে ছবি তোলার প্রবল আগ্রহ তার পরবর্তী প্রজন্মের প্রায় সবারই। রুনা লায়লার গান যেমন দেশে বিদেশে কোটি কোটি শ্রোতা দর্শককে আজও মুগ্ধ করে ঠিক তেমনি তাকে কাছ থেকে এক নজর দেখারও ইচ্ছে এমন বহু কোটি শ্রোতা দর্শকের। সেই ক্ষেত্রে রুনা লায়লার পরবর্তী প্রজন্মের পর প্রজন্মের শিল্পীদের ক্ষেত্রেও ঠিক তাই। বাংলাদেশে এই প্রজন্মের শ্রোতাপ্রিয় সঙ্গীতশিল্পী তানজিনা রুমারও সবচেয়ে প্রিয় শিল্পী রুনা লায়লা। ছোটবেলা থেকেই তার ধ্যান জ্ঞান সব রুনা লায়লাকে ঘিরেই। শুধু তাই নয় স্টেজ শোগুলোতে রুমা রুনা লায়লার অনেক গানই গেয়েছেন তার দীর্ঘ দিনের সঙ্গীত জীবনের পথচলায়। তবে রুনা লায়লার সঙ্গে রুমার দেখা করার বা দেখা হওয়ার সুযোগ মিলেছে খুবই কম। যে দু’একবার দেখা হয়েছে তা ছিলো শুধুই সৌজন্য সাক্ষাৎ। তবে এরই মধ্যে একটি ঘরোয়া আয়োজনে রুনা লায়লার সঙ্গে দেখা করার সুযোগ মিলে রুমার। যেখানে আরো অনেক শিল্পীও ছিলেন। কিন্তু রুমার মনোযোগ ছিলো শুধুই রুনা লায়লাকে ঘিরেই। অনুষ্ঠানে তানজিনা রুমা রুনা লায়লাকে নিয়ে কথা বলার সুযোগ পেয়েছিলেন। রুনা লায়লাকে নিয়ে কথা বলতে বলতে এক সময় তার কথা থেমে যায়, আবেগে তার চোখ দিয়ে পানি চলে আসে। রুমার এমন আবেগে রুনা লায়লাও আবেগাপ্লুত হয়ে যান। রুনা রুমাকে কাছে ডেকে নেন। জীবনের এই মুহূর্ত যে রুমার আসবে তা তার কল্পনাতেও ছিল না। রুনা লায়লার কাছে গিয়ে খুব বেশি কিছু বলতে পারেননি রুমা। রুনা লায়লাকে ঝড়িয়ে ধরে নীরবে শুধু কাঁদছিলেন। কারো ভীষণ প্রিয় মানুষ যখন সামনে চলে আসে বা খুউব কাছে চলে আসে, তখন হয়তো সেই মানুষটি নীরবই হয়ে যায়। রুমার ক্ষেত্রেও ঠিক তাই হয়েছিল। উপস্থিত সকলে রুমার এই আবেগমঘন মুহূর্তে নীরব হয়ে যান। রুনা লায়লা রুমার মাথায় হাত রেখে দোয়া করেন এবং আবার দেখা হবে এমন প্রতিশ্রুতিও দেন রুনা লায়লা। জীবনের এই স্মরণীয় মুহূর্তের কথা বলতে গিয়ে তানজিনা রুমা বলেন, ‘মহান আল্লাহর কাছে অসীম কৃতজ্ঞতা যে তিনি আমাকে আমার সবচেয়ে প্রিয় শিল্পী রুনা লায়লা ম্যাডামের সঙ্গে কিছুটা সময় কাটানোর সুযোগ হলো। রুনা ম্যাম আমাকে কাছে ডেকে নিলেন, আমাকে আদর করলেন, আমাকে দোয়া করে দিলেন। এর চেয়ে বড় পাওয়া জীবনে আর কিছুই হতে পারে না। আমি যখন ম্যামকে ভয়ে ভয়ে বললাম, ম্যাম আপনাকে একটু জড়িয়ে ধরি। ম্যাম সম্মতি দিলেন। আমি তাকে জড়িয়ে ধরার পর মনে হলো হয়তো এইদিনটির জন্য, এই মুহূর্তের জন্যই আমি এতোদিন অপেক্ষা করছিলাম। কখনো ভাবিনি আমি এমন সুযোগ আসবে আমার জীবনে। ধন্যবাদ রাজা ভাই, রুবায়েত, ধ্রুব দাদা, অভি মঈনুদ্দীন ভাইসহ আরো যারা সেদিনের এই আয়োজনের সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন। আপনারা আমার জীবনের এই অবিস্মরনীয় মুহূর্তের সাক্ষী।’