মিডিয়ায় পথচলাটা তার উপস্থাপনা দিয়ে। এর পর বিজ্ঞাপনে মডেল হিসেবে কাজ শুরু। তারপর মিউজিক ভিডিওতে মডেল হিসেবে কাজ শুরু। পরবর্তীতে নাটকে এবং সিনেমাতে অভিনয়। মিডিয়ার পাঁচটি শাখায় একে এক তার পদচারণা। তবে একজন অভিনেত্রী হিসেবেই তিনি দর্শকের কাছে বেশি গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছেন। আজ থেকে এক যুগ আগে বিটিভির সিনেমাপর গানের অনুষ্ঠানে ‘ছায়াছন্দ’ উপস্থাপনা করার সুযোগ আসে। তখন তিনি বেশ ছোট্টই বলা চলে। ‘ছায়াছন্দের পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমানের প্রবল আগ্রহের কারণে সেই ছোট্ট বয়সেই তাকে শাড়ি পরিয়ে বড়দের মতো করেই ক্যামেরার সামনে উপস্থাপনা করান তাকে দিয়ে। প্রিয়াঙ্কার উপস্থাপনার পর্বটা সেই সময় বেশ সাড়া ফেলে। এর পর আরো দুইতিনটি পর্ব করার পর প্রিয়াঙ্কা ‘ছায়াছন্দের আর উপস্থাপনা করেননি। কাজের বিরতি নেন ছয় মাস। আবারো ‘আড়ং’ এর বিলবোর্ডের মডেল হিসেবে কাজ শুরু করেন। সেই সময় বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের বিলরোর্ডে মডেল হিসেবে কাজ করেন তিনি। সিঙ্গার এলইডি টিভির বিজ্ঞাপনে প্রথম মডেল হিসেবে কাজ করেন। সেই সময় আরো বেশকিছু প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপনে একে একে মডেল হিসেবে কাজ করেন।
প্রথম মিউজিক ভিডিওর মডেল হন মো. সামছুল হুদার পরিচালিনায় আরেফিন রুমির ‘এক পলকে’ গানের মিউজিক ভিডিওতে মডেল হিসেবে কাজ করেন। পরবর্তীতে আরো বেশকিছু গানের মডেল হিসেবে কাজ করে তিনি দর্শকপ্রিয়তা পেয়েছেন। নাটকে তাকে প্রথম দেখা যায় পরপর দুটি নাটকে। একটি ‘প্রেস্টিজ’ ও অন্যটি ‘হৃদয় ঘটিত’। দুটি নাটকেই তার বিপরীতে ছিলেন সজল। এর পর যে নাটকগুলোতে দর্শক তার অভিনয়ে মুগ্ধ হয়েছেন সে নাটকগুলো হলো বিশেষত ‘স্বামী স্ত্রীর গল্প’, ‘ভিতুর ডিম’, ‘ব্যাড বয় মজিদ’, ‘ঝড় বৃষ্টির রাতে’, ‘আমার এক সঙ্গী ছিল’, ‘আমি তোমার সিনিয়র’, ধারাবাহিক ‘মুসা’, ‘স্বপ্নের রানী’ ইত্যাদি। প্রিয়াঙ্কা অভিনীত প্রথম সিনেমা ছিল মনতাজুর রহমান আকবরের ‘যেমন জামাই তেমন বউ’। এর পর তিনি মো. আসলামের ‘তবুও প্রেম দামী’, মোহাম্মদ হান্নানের ‘কী করে বলবো প্রিয়তমা’ সিনেমায় অভিনয় করেন। এই সিনেমাগুলোর কাজ এখনও বাকি রয়েছে। সময়ের জনপ্রিয় অভিনেতা অপূর্বের সঙ্গে একটি রডের বিজ্ঞাপনে মডেল হিসেবে কাজ করেছিলেন তিনি। অভিনয় করেছেন মীর সাব্বির, সজল, শাহেদ, সাজুসহ আরো অনেকের বিপরীতে। প্রবল ইচ্ছে রয়েছে মোশাররফ করিমের সঙ্গে একই নাটকে অভিনয় করার।