ঢাকা মঙ্গলবার, ১৫ এপ্রিল ২০২৫, ২ বৈশাখ ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

মায়ের শাড়িতে বধূ বেশে মেহজাবীন

মায়ের শাড়িতে বধূ বেশে মেহজাবীন

প্রজন্মের জনপ্রিয় অভিনেত্রী মেহজাবীন চৌধুরী। ক্যারিয়ারে এরই মধ্যে অসংখ্য হিট নাটক উপহার দিয়েছেন তিনি। শুধু তাই নয়, ওয়েব ফিল্মেও নিজের অভিনয় গুণে দর্শকদের নজর কেড়েছেন এই অভিনেত্রী। যে কোনো চরিত্রেই খুব সহজেই নিজেকে মানিয়ে নেন তিনি। সম্প্রতি মেহজাবীন নাম লিখিয়েছেন বড়পর্দায়। এদিকে গত কয়েক বছর ধরে শোনা যাচ্ছিল তার গোপন বিয়ে ও সংসারের খবর। তবে এবার জানা গেল আসল খবর। বিয়ে করছেন তিনি। মেহজাবীনের বর হতে যাচ্ছেন তার সদ্য মুক্তি পাওয়া সিনেমা ‘প্রিয় মালতির প্রযোজক ও নির্মাতা আদনান আল রাজীব। বিয়ের বিষয় নিয়ে মেহজাবীন কিছু না বললেও এরই মধ্যে ফাঁস হয়েছে তার গায়েহলুদের ছবি। ঢাকার অদূরে সম্প্রতি অনুষ্ঠিত মেহজাবীন চৌধুরীর গায়েহলুদ অনুষ্ঠান ছিল সংরক্ষিত আয়োজন। আমন্ত্রিত অতিথিদের জন্য কঠোর নির্দেশনা ছিল কোনো ছবি তোলা বা সামাজিকমাধ্যমে প্রকাশ করা যাবে না।

অতিথিরাও এই নিয়ম মেনে চলেছিলেন, কেউই অনুষ্ঠানের কোনো স্থিরচিত্র পোস্ট করেননি। কিন্তু এত সতর্কতা সত্ত্বেও শেষ পর্যন্ত রক্ষা পাওয়া গেল না। মেহজাবীনের গায়েহলুদের একাধিক ছবি ফাঁস হয়ে গেছে এবং তা তার নিকটজনদের হাতে হাতে ছড়িয়ে পড়েছে। এদিকে, গত শুক্রবার মেহজাবীন চৌধুরী তার ফেসবুকে বেশ কিছু বিয়ের ছবি পোস্ট করেছেন। যেখানে বিভিন্ন লুকে ধরা দিয়েছেন এই নব দম্পতি। জানিয়েছেন, মায়ের আকদ অনুষ্ঠানের শাড়ি পরে বিয়ের আসরে বসেন এই অভিনেত্রী। এ সব ছবির ক্যাপশনে মেহজাবীন চৌধুরী লেখেন, আমাদের আকদ ১৪.০২.২০২৫। ভালোবাসার দিনে আদনান এবং আমি আমাদের পরিবারের সদস্যদের ও কাছের মানুষের উপস্থিতিতে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হলাম। আমাদের জীবনের একটি বিশেষ দিন ছিল এটি, যা আরো অর্থবহ হয়ে উঠেছিল প্রিয় মানুষদের উপস্থিতিতে। মায়ের দেয়া সেরা উপহারের কথা উল্লেখ করে মেহজাবীন চৌধুরী লেখেন, আমার মা তার আকদের দিনে যে শাড়িটি পরেছিলেন, সেই শাড়িটিই আমাকে উপহার দিয়েছেন। আমার বিশেষ দিনে সেটি পরতে পারা ছিল মায়ের কাছ থেকে প্রাপ্ত সবচেয়ে সুন্দর উপহার। ১৪ ফেব্রুয়ারি বিয়ের পর্ব সম্পন্ন করলেও তা গোপন রেখেছিলেন রাজীব-মেহজাবীন দম্পতি। ২৪ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর অদূরে একটি রিসোর্টে অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন তারা। আত্মীয়-স্বজন ছাড়াও এতে যোগ দেন শোবিজ অঙ্গনের একঝাঁক তারকা। এর আগে মেহজাবীন চৌধুরী বলেন, ১৩ বছর পর, আজ আমরা এখানে, একসঙ্গে বেড়ে উঠছি।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত