তুতিয়া ইয়াসমীন পাপিয়া বহু দর্শকপ্রিয় নাটকে মায়ের চরিত্রে অভিনয় করে দর্শকের ভালোবাসায় নিজেকে সিক্ত করেছেন। ১৯৮৩ সালে বাংলাদেশ টেলিভিশনের তালিকাভুক্ত শিল্পী হিসেবে তার অভিনয় জীবন শুরু। প্রায় একই সময়ে বাংলাদেশ বেতারেও তালিকাভুক্ত হন তিনি। তার সহজ সরল স্বাকারোক্তিটা এমন যে তিনি বিটিভির এ গ্রেডের আর্টিস্ট। বিটিভির সমাহারের অনুষ্ঠানে একটি নাটকে রওশন জামিলের সঙ্গে প্রথম অভিনয় করা তার। পরবর্তীতে জিয়া আনসারী প্রযোজনায় ‘এখানে আকাশ নীল’ নাটকে অভিনয় করেন। তারও পরে ইমদাদুল হক মিলনের রচনায় ‘নায়ক’ ধারাবাহিকের প্রথম পর্বে অভিনয় করেন। তবে এই নাটকটি এক পর্ব প্রচার হবার পর আর প্রচারিত হয়নি। নায়কের ভূমিকায় ছিলেন চিরসবুজ অভিনেতা আফজাল হোসেন। ১৯৯২ সালে তার বিয়ে হবার পর বেশ কয়েকবছর অভিনয়ে বিরতি থাকে তার। ২০১০ সালে লুৎফুন্নাহার মৌসুমীর নির্দেশনায় ‘বড় বাড়ির ছোট বউ’ ধারাবাহিক নাটকে অভিনয়ের মধ্যদিয়ে আবারো অভিনয়ে ফেরা তার। এরপর থেকে আজ অবধি দর্শকপ্রিয় নাটক ‘মুক্ত করো হে বন্ধ’, ‘প্রিয় অভিমান’, ‘একবার বলো ভালোবাসি’, ‘বডিগার্ড’, ‘ইরার পাগলামি, ‘টুবি ওয়াইফ’, ‘অদ্ভূত হাত’, ‘ভাইয়া’, ‘পরিবার’, ‘ফ্যামিলি হানিমুন’, ‘সরি বাবা’, ‘জ্যামিতিক প্রেম’, ‘গার্লফ্রে-র বাপ’, ‘বিউটি আইলাভ ইউ’ ইত্যাদি। আগামী ঈদেও বেশ কয়েকটি ভালো গল্পের নাটকে দেখা যাবে তাকে। ‘প্রাণের মসলা’, ‘ভিশন ব্লেণ্ডারসহ আরো বেশকিছু দর্শকপ্রিয় বিজ্ঞাপনেও মডেল হিসেবে কাজ করেছেন তিনি। তার অভিনীত একমাত্র সিনেমা স্বপন আহমেদের ‘লালটিপ’। এরপর তাকে আর কোনো সিনেমাতে অভিনয়ে দেখা যায়নি। টাঙ্গাইলের ঘাটাইলের মেয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগ থেকে অনার্স মাস্টার্স সম্পন্ন করার পড়ার আইন বিষয়েও পড়াশুনা করেছেন। তিনি একজন অ্যাডভোকেটও বটে। তুতিয়া পাপিয়ার বাবা প্রয়াত মুফাখখারুল ইসলাম ও মা সুরাইয়া সুলতানা মুফলিহা। তার স্বামী মাসুম রেজা ও একমাত্র সন্তান আশফি তাকবির রেজা। ১ অক্টোবর জন্ম নেয়া গুণী অভিনেত্রী তুতিয়া পাপিয়া বলেন, ‘নাটকে অভিনয়ে আমার অনুপ্রেরণা শ্রদ্ধেয় দিলারা জামান আপা। তার অভিনয় আমার ভীষণ ভালোলাগে। তার সঙ্গে কয়েকটি নাটকে কাজ করার সুযোগ হয়েছে আমার। আর আমি যতোদিন বাঁচবো ততোদিন নাটকে অভিনয় করে যেতে চাই।