ঢাকা বুধবার, ২৬ মার্চ ২০২৫, ১২ চৈত্র ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

‘প্রাক্তন’ দিয়েই নবযাত্রা রোকেয়া আছহাবের

‘প্রাক্তন’ দিয়েই নবযাত্রা রোকেয়া আছহাবের

রোকেয়া আছহাব, মনে প্রাণে একজন গানের মানুষ। যার গানের ভুবনে যাত্রা শুরু হয়েছিল ছোটবেলায় ‘ছায়ানট’-এ গান শেখার মধ্যদিয়ে। মা জান্নাত আরা বাসাতেই ভালোবেসে গান গাইতেন। মাকে দেখেই মূলত গানে তার অনুপ্রেরণা। তার কাছেই গানে হাতেখড়ি। ছায়ানটের হুমায়ূন রোকেয়ার বাসায় এসে তাকে প্রায় পাঁচ বছর গান শিখিয়েছেন। আবার মায়ের দিকের আত্মীয় রোকেয়ার দুই ভাই ইরফান ও মারুফ শান্তিনিকেতনে গান শিখেছেন। তারাও রোকেয়ার বাসায় এসে গান নিয়েই গল্প আড্ডা দিতেন। তাদের কাছেও গানে তালিম নেয়ার সুযোগ হয়েছে রোকেয়ার। পরবর্তীতে সত্য সাহা সঙ্গীত একাডেমিতে কণ্ঠ দেবনাথ ও হাওলাদার স্যারের কাছে গান শিখেছেন রোকেয়া আছহাব। যে কারণে বলা যায় মোটামুটি গানে নিজেকে ঠিকঠাকভাবে গড়ে তুলেই গানের ভুবনে যাত্রা শুরু হয়েছিল রোকেয়ার। একটু একটু করে গানের ভুবনে পেশাদারী যাত্রা শুরু হয় তার স্টেজ শোতে গান করার মধ্যদিয়ে। স্টেজে তিনি উপমহাদেশের প্রখ্যাত সঙ্গীতশিল্পী রুনা লায়লা ও গুণী সঙ্গীতশিল্পী সামিনা চৌধুরীর গান গাইতেই স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন। গানের জন্য দেশের বাইরে সিঙ্গাপুরেও গিয়েছিলেন তিনি। সেখানে দুইবার স্টেজ শোতে গান পরিবেশন করার সুযোগ হয়েছিল রোকেয়ার। মাঝে সংসার, তিন সন্তান নিয়ে ভীষণ ব্যস্ত থাকায় গানের ভুবন থেকে অনেকটাই দূরে ছিলেন তিনি। এখন আবার গানে নিয়মিত হয়ে উঠার চেষ্টা করছেন রোকেয়া। নিয়মিত গাইছেন লেডিস ক্লাব ও উইমেন্স ক্লাবে। এক বছরেরও বেশি সময় আগে বাংলাদেশ বেতারে তালিকাভুক্ত শিল্পী হয়েছেন। যে কারণে আরো বেশি অনুপ্রাণিত হয়ে গান করছেন তিনি। এরইমধ্য দুদিন আগেই প্রকাশিত হলো রোকেয়ার কণ্ঠে মৌলিক গান ‘প্রাক্তন’। গানটি লিখেছেন ও সুর করেছেন ছয়বার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত বরেণ্য গীতিকার কবির বকুল। গানটি ইউটিউবে প্রকাশের পর থেকেই রোকেয়া একটু একটু করে বেশ ভালো সাড়া পেতে শুরু করেছেন। কাছের মানুষেরা তাকে ভীষণ অনুপ্রেরণা দিচ্ছেন। রোকেয়াও ভীষণ উচ্ছ্বসিত। আগামীতে আরো মৌলিক গান করার জন্য সাহস পেলেন তিনি। রোকেয়া আছহাব বলেন,‘ ঢাকার গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজ থেকে অনার্স মাস্টার্স সম্পন্ন করেছি হোমে ম্যানেজম্যান্ট অ্যা- হাউজিং বিষয়ে। আমার বিয়ে হয়েছে অনেক আগে। বিয়ের পরেই স্বামীর সর্বাত্মক সহযোগিতায়, অনুপ্রেরণায় পড়াশুনা শেষ করেছি, সংসারটা ঠিকঠাক মতো করেছি। এখন বাচ্চারা বড় হয়েছে। তাই গানে এখন আমি পূর্ণ মনোযোগ দিতে চাচ্ছি বলেই মৌলিক গান দিয়ে ফেরা। গীটারিস্ট দীপন ভাইও আমাকে ভীষণ অনুপ্রেরণা দিয়েছেন। কবির বকুল ভাইয়ের গান আমার ভীষণ ভালোলাগে। তাই তার কথা ও সুরে গানটি করেছি। গানটি প্রকাশের পর অনেকের ভালোলাগছে, তাতেই যেন নিজের ভেতর অন্যরকম ভালোলাগা কাজ করছে। সত্যি আগামীতে এমন কিছু গান করে যেতে চাই যেন আমি না থাকলেও গানগুলো যেমন মানুষের মনে গেঁথে থাকে।’

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত