একটি নাটকের প্রতিটি চরিত্রই যে দর্শকেক মুগ্ধ করতে পারে তার প্রমাণ মিলেছে এবারের ঈদে প্রচারিত প্রকাশিত মহিন খান রচিত ও পরিচালিত ‘একান্নবর্তী’ নাটকটি। নাফ এন্টারটেইনম্যান্ট-এ প্রকাশিত মাত্র দুদিনেই ২৮ লক্ষেরও বেশি ভিউয়ার্স উপভোগ করেছেন। নাটকে জীবন্ত কিংবদন্তী অভিনেত্রী দিলারা জামান মা ও দাদীর চরিত্রে অনবদ্য অভিনয় করেছেন। তার অভিনয়ে সবসময়ই দর্শক মুগ্ধ হন। পাশাপাশি নাটকে তারিক আনাম খান, মনিরা মিঠু ও চিত্রলেখা গুহের পজিটিভ চরিত্রে দুর্দান্ত অভিনয় করেছেন। কিছুটা নেগেটিভ চরিত্রে সাবেরী আলম ও মাসুম বাশারও অনবদ্য অভিনয় করেছেন। যথারীতি এই সময়ের অন্যতম সরো জুটি হিসেবে নিলয় হিমিও তাদের চরিত্রে অনবদ্য ছিলেন।
নিলয় আলমগীর বলেন, ?পারিবারিক গল্পর নাটক যে এখনো দর্শক দেখেন তারই প্রমাণ এই একান্নবর্তী নাটকটি। ঈদের সময়ের কতো কতো স্মৃতি থাকে আমাদের জীবনে। সেই সব স্মৃতিময় দিন এই নাটকে তুলে ধরা হয়েছে। আবার বাবার ভিটার জন্য যে ভাই ভাইয়ে সম্পর্কও নষ্ট হয়ে যায় তাও তুলে ধরা হয়েছে এই নাটকে। সিনিয়র শিল্পীরা যে প্রবল আগ্রহ নিয়ে কাজ করেছেন এবং তার ফলে নাটকটি যা দাঁড়িয়েছে তার প্রমাণ মিলছে দর্শকের সাড়ায়। এবারের ঈদে আমার অভিনীত অন্যতম সেরা কাজ এটি। সিনিয়র শিল্পীদের প্রতি আমি বিশেষত কৃতজ্ঞ।’
মহিন খান বলেন,? ‘আমি বিশেষত কৃতজ্ঞ শ্রদ্ধেয় দিলারা মায়ের প্রতি। কারণ আশির উর্ধ্ব বয়সেও তিনি এখনো যে শ্রম দেন তাকে স্যালুট জানাই। পাশাপাশি অন?্যান্য শিল্পীদের প্রতিও আমার আন্তরিক শ্রদ্ধা ভালোবাসা রইলো। কারণ সবার সমন্বয়েই এই কাজটি এতো ভালো হয়েছে, দর্শকের কাছ থেকে অভূতপূর্ব সাড়া পাচ্ছি। দর্শক এখনো যে পারবারিক গল্পর নাটক মন দিয়ে দেখতে চান একান্নবর্তী তা আবারো প্রমাণ করলো।’ দিলারা জামান বলেন,? একান্নবর্তী আমাদের ইতিহাস ঐতিহ্যের গল্প নিয়ে নির্মিত নাটক। আমার দুই সন্তানকে ঘিরে আনন্দের গল্পের নাটক আবার কষ্টেরও নাটক। আমাদের জীবনের গল্পই উঠে এসেছে এই নাটকে। তারিক, বাশার, চিত্রা, মিঠু, সাবেরী, নিলয়, হিমি সবাই খুব ভালো অভিনয় করেছে। মন আছে শুটিং-এর সময়টাতে অনেক গরম ছিল। কিন্তু তারপরেও সবাই ভীষণ আন্তরিকতা নিয়ে কাজটি করেছে। আসলে আমরা সবাই একটি পরিবারের মতো হয়েই কাজ করি। ধন্যবাদ নিলয় মহিন দুই জনকেই, কারণ তারা ভালো কাজ করার চেষ্টা করে।’