গত ভালোবাসা দিবসে প্রচারে এসেই দর্শকের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলে রাতারাতিই আলোচনায় চলে এসেছিল বাংলা নাটকে দীর্ঘদিন ধরেই রাজত্ব করে আসা জনপ্রিয় অভিনেতা জিয়াউল ফারুক অপূর্ব ও এই সময়ের ক্রেজ নন্দিত অভিনেত্রী নাজনীন নীহা অভিনীত প্রথম নাটক ‘মন দুয়ারী’। ভালোবাসা দিবসে প্রকাশিত এই নাটকটি এরই মধ্যে দুই কোটি ত্রিশ লক্ষেরও বেশি ভিউয়ার্স উপভোগ করেছেন। অপূর্ব-নীহা জুটিতে মুগ্ধ হয়ে থাকা দর্শকের ‘মন দুয়ারী’র রেশ কাটতে না কাটতেই আবারো একই জুটির নাটক ‘মেঘবালিকা’ ঈদ উপলক্ষে গত ছয়দিন আগে ইউটিউবে প্রকাশিত হয়েছে। নাটকটি প্রকাশে আসার পরপরই দর্শকের মধ্যে দারুণ সাড়া ফেলে। এরই মধ্যে ইউটিউব ট্রেন্ডিং-এ শীর্ষে রয়েছে নাটকটি। যে কারণে ‘মেঘবালিকার পুরো টিম দারুণ উচ্ছ্বসিত। ‘মেঘবালিকা’ নাটকে নাম ভূমিকায় নাজনীন নীহা অভিনয় করেছেন। তিনি এই নাটকেও যথারীতি অপূর্বর বিপরীতে বেশ সাবলীল অভিনয় করেছেন। অপূর্বর অভিনয় নিয়ে নতুন করে বলার কিছু না থাকলেও। প্রতিনিয়ত অপূর্ব নিজেকে যে ভাঙার চেষ্টা করছেন, দীর্ঘদিন ধরেই টিভি নাটকে রাজত্ব করে আসা এই অভিনেতা এখনো রোমান্টিক গল্পে যে অনবদ্য তার আবারো প্রমাণ দিয়েছেন জাকারিয়া সৌখিন রচিত ও পরিচালিত ‘মন দুয়ারী’ ও ‘মেঘবালিকাতে। হয়তো এরই মধ্যে আরো বেশ কয়েকটি ভালো ভালো গল্পের নাটকেও কাজ করা হয়ে যেতো যদি না তিনি গত জানুয়ারির শেষ মুহূর্ত থেকে দেশের বাইরে না থাকতেন। দেশের বাইরে যাবার আগেই তিনি ‘মন দুয়ারী’, ‘মেঘবালিকা’ ও ‘হাউ সুইট’র কাজ শেষ করে গেছেন। ‘হাউ সুইট’ বঙ্গতে প্রকাশিত নাটক। এতে অপূর্বর বিপরীতে অভিনয় করেছেন তাসনিয়া ফারিণ। তবে ‘হাউ সুইট’র চেয়ে ‘মেঘবালিকা’য় অপূর্ব নীহার রসায়নে বেশি মুগ্ধ হয়েছেন দর্শক।
অপূর্ব বলেন, ‘আমি সবসময়ই দর্শকের প্রতি কৃতজ্ঞ। দর্শকের এই অকৃত্রিম ভালোবাসার প্রতি আমি সবসময়ই শ্রদ্ধাশীল। আমার অভিনয় জীবনের শুরু থেকে আমার প্রতিটি কাজের জন্য দর্শকের কাছ থেকে যে অনুপ্রেরণা আমি পেয়েছি এবং এখনো পাচ্ছি, তাতে আমি নিজেই নিজেকে আরো নতুনভাবে উপস্থাপনের চেষ্টা করছি। এই সময়েরও কিছু আগে থেকেই আমি গল্পের প্রতি আরো মনোযোগী হয়ে উঠেছি। নিজের চরিত্র নিয়েও যথেষ্ট সময় নিয়ে ভেবে তারপর পরিচালকের সঙ্গে বসে কথা বলি। কারণ আমি মনেকরি ইন্ডাস্ট্রিতে আমাকে আরো ভালো ভালো কাজ দেবার সময় এখন। যা আগামী প্রজন্মের কাছে যেন দৃষ্টান্ত হয়ে থাকে। এই ‘মন দুয়ারী’ কিংবা ‘মেঘবালিকা’ তেমনই দৃষ্টান্ত হয়ে থাকারই মতো কাজ। ধন্যবাদ জাকারিয়া সৌখিনকে দুটো চমৎকার গল্পের জন্য এবং নির্মাণের জন্য। এটাও সত্যি যে এই দুটো কাজের জন্য আমাকে অনেক কষ্টও করতে হয়েছে। সেই সঙ্গে নীহাসহ দুটো নাটকেরই ইউনিটকেও অনেক কষ্ট করেছে। নীহা চেষ্টা করছে ভালো করার। সামনে হয়তো আরো ভালো করবে।’ নাজনীন নীহা বলেন, ‘ইচ্ছে ছিল অপূর্ব ভাইয়ার সঙ্গে কাজ করার। সৌখিন ভাইয়ের নির্দেশনায় সেই ইচ্ছে পূরণ হলো মন দুয়ারীতে। প্রথম কাজেই ভীষণ সাড়া পেলাম। মেঘবালিকাতেও ঠিক তাই। দর্শকের কাছ থেকে প্রতিনিয়ত যে অভূতপূর্ব সাড়া পাচ্ছি তাতে মুগ্ধ আমি। কৃতজ্ঞ দর্শকের কাছে।’ এদিকে আগামী ২৭ জুন নিজের জন্মদিনের আগেই দেশে ফেরার সম্ভাবনা রয়েছে অপূর্বর।