গানে গানেই পুরোটা বছর চাইলেই কাটিয়ে দিতে পারতেন তিনি। ঢাকা ও ঢাকার বাইরে দূর-দূরান্তে চাইলেই স্টেজ শো’তে নিয়মিত হতে পারতেন তিনি। কিন্তু ঢাকা থেকে খুউব বেশি দূরের স্টেজ শোগুলোতে সাধারণত তিন্নিকে দেখা যায় না। এর একমাত্র কারণ হলো তিন্নি বেশ কয়েকবছর যাবত নারায়ণগঞ্জের একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক হিসেবে কর্মরত। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সিডিউল সমন্বয় করেই তাকে স্টেজ শো ও টিভি শো’র জন্য আলাদা সময় বের করতে হয়। যে কারণে চাইলেই তিনি পুরো বছরজুড়েই স্টেজ শো’তে ঢাকার বাইরে ব্যস্ত থাকতে পারেন না। ঢাকা এবং ঢাকার আশপাশের এলাকাগুলোতেই স্টেজ শো’তে স্বাচ্ছন্দ্যতা তার। অবশ্য ছুটির দিনগুলোর বিষয় আলাদা। তখন চাইলেই কিছুটা দূরে গিয়েও অনায়াসে স্টেজ শো করে স্বাচ্ছ্যন্দ্যে ফিরতে পারেন নারায়ণগঞ্জের চাষাড়াতে নিজের বাসায়। তিন্নির ছোট ভাই কৌশিক, উচ্চমাধ্যমিক পাস করে এখন অনার্সে ভর্তির অপেক্ষায়। তিন্নির চোখের সামনেই দেখতে দেখতেই বড় হয়ে গেলেন কৌশিক। ছোটবেলা থেকেই কৌশিক গিটার বাজাতে ভালোবাসেন। আর এখন পুরোদমেই একজন গিটারিস্ট তিনি। এরইমধ্যে পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে লায়ন’স আয়োজিত রাজধানীর রেডিসন ব্লু’তে একটি অনুষ্ঠানে সঙ্গীত পরিবেশন করেছেন তিন্নি। স্টেজ-এ অন্যান্য মিউজিসিয়ানদের সঙ্গে গিটার হাতে কৌশিকও ছিলেন। সেদিন মঞ্চে উঠেই তিন্নি পরিবেশন করেন ‘অলিরও কথা শুনে বকুল হাসে’। এরপর দর্শকের অনুরোধে তিন্নি একে একে পরিবেশন করেন ‘একী সোনার আলোয় জীবন ভরিয়ে দিলে’, ‘ যারে যারে উড়ে যারে পাখি’, ‘তোমার আকাশ দুটি চোখে আমি হয়ে গেছি তারা’, ‘শুধু গান গেয়ে পরিচয়সহ আরো বেশকিছু গান। উপস্থিত শ্রোতা দর্শক তিন্নির পরিবেশনায় ভীষণ মুগ্ধ হন। গান পরিবেশনা শেষে যখন হলের একটি কোণে তিন্নি বসেছিলেন কয়েকজন এসে তিন্নির সঙ্গে প্রবল আগ্রহ নিয়ে কথা বলছিলেন।
তারা বলছিলেন, ‘আমরা ভাবতেও পারিনি আপনি এতো ভালো গান করবেন। সত্যিই ভীষণ মুগ্ধ হয়েছি, আমাদের স্যারদের আরো বিশেষ অনুরোধ ছিল আরো কয়েকটি কালজয়ী গান গাইবার।’ সবার এমন কথা শুনে তিন্নি ভীষণ মুগ্ধ হন।