বর্ণাঢ্য জীবন কাটিয়ে না ফেরার দেশে পাড়ি জমিয়েছেন ব্রাজিলের ফুটবল কিংবদন্তি পেলে। বাংলাদেশের বেশ কয়েকটি প্রজন্মের কাছে তিনিই ছিলেন ফুটবলের প্রথম আন্তর্জাতিক সুপারস্টার। এর পেছনে আছে পাঠ্যপুস্তকের অবদান। ব্রাজিলের বস্তি থেকে উঠে এসে ফুটবলের রাজা বনে যাওয়া পেলে উঠে এসেছিলেন বাংলাদেশের পাঠ্যপুস্তকে। পঞ্চম শ্রেণির বাংলা বইতে পেলেকে নিয়ে সেই গল্পটির নাম ছিল ‘কালোমানিক পেলে’। ১৬ বছর বয়সে আন্তর্জাতিক ফুটবলে অভিষিক্ত পেলে ১৭ বছর বয়সে বিশ্বকাপ খেলেছিলেন। সুইডেনে অনুষ্ঠিত ওই আসরে পেলের নায়কোচিত পারফর্মেন্সেই বিশ্বকাপ জিতে নেয় ব্রাজিল। এরপর আরও দুটি (১৯৬২ ও ১৯৭০) বিশ্বকাপ জিতেছেন পেলে। বিশ্বের আর কোনো ফুটবলার তিনটি বিশ্বকাপ জিততে পারেনি। পঞ্চম শ্রেণির বাংলা বইতে পেলের এই বীরত্বের গল্প পড়ে কত শিশু-কিশোররা স্বপ্ন দেখত।
নিঃসন্দেহে পঞ্চম শ্রেণির পড়ুয়াদের কাছে পেলের এই গল্পটি ছিল সেরা পছন্দ। যদিও এই গল্প থেকে পরীক্ষায় খুব একটা প্রশ্ন আসত না। কিন্তু কালোমানিকের গল্প সবার জানা। প্রশ্ন আসলেও উত্তর দিতে কোনো সমস্যাই হতো না। তিন বিশ্বকাপজয়ী পেলেকে ব্রাজিল সরকার রাষ্ট্রীয় সম্পদ হিসেবে ঘোষণা করেছিল। আজ পেলের মৃত্যুদিনে ব্রাজিলে তিন দিনের শোক ঘোষণা করা হয়েছে। শুধু ব্রাজিল নয়, পেলের মৃত্যুতে পুরো ফুটবলবিশ্বই আজ শোকে মূহ্যমান।