অর্থনৈতিক সংকট উত্তরণের পথে ২০২৩
প্রকাশ : ০১ জানুয়ারি ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
জোনায়েদ মানসুর
স্বাগত ২০২৩ সাল। সদ্য বিদায়ি ২০২২ সাল দেশের অবকাঠামোগত উন্নয়নের পাশাপাশি নানা সংকটের মধ্যে ছিল ব্যাংক খাতসহ পুরো অর্থনীতি। উন্নয়নও কম হয়নি ২০২২ সালে। পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল, ঢাকা-আশুলিয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, পটুয়াখালীর পায়রাতে বড় বিদ্যুৎকেন্দ্র, প্রথম আইটি বিজনেস ইনকিউবেটর, ১০০ মহাসড়ক, প্রথম ৬ লেনের মধুমতী সেতু, বঙ্গবন্ধু টানেলের টিউবসহ নানা প্রকল্প উদ্বোধন হয় ২০২২ সালে। তবে ঋণ কেলেঙ্কারি, রিজার্ভ কমা, ডলার সংকট, এলসি খোলা কমা ও কঠোর নিষেধাজ্ঞা, আমদানি-রপ্তানি কমা, বাজার নিয়ন্ত্রণে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি, ডলার কারসাজিতে একাধিক এক্সচেঞ্জ হাউজের লাইসেন্স বাতিল, ডলার কাণ্ডে ব্যাংকের এমডিদের শোকজসহ আর্থিক খাতে নানা কেলেঙ্কারির ঘটনা ঘটেছে ২০২২ সালে। নতুন বছরে এসব সংকট কাটিয়ে উঠবে দেশ। অর্থনৈতিক সংকট উত্তরণের পথ হবে ২০২৩ সাল, এমনটি আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা। সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলাপে ও নানা প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে এ তথ্য জানা গেছে। চলতি বছরে সরকারকে বেশি কষ্ট দেয় রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে জ্বালানি তেলের সংকট, মূল্যস্ফীতি, নিত্যপণ্যের বাজার নিয়ন্ত্রণে না রাখতে পারা। তবে সরকার টিসিবির মাধ্যমে অনেকটা চেষ্টা করেছে। পাশাপাশি এক কোটি টিসিবি ফ্যামিলি কার্ডের ব্যবস্থা করা এটা সরকারের ভালো উদ্যোগ বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। সবদিক বিবেচনা করে সরকারের সতর্কতামূলক অংশগ্রহণের কারণে পুরো অর্থনীতি এখনও স্থিতিশীল রয়েছে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
বিদায়ি বছর সরকারের উন্নয়নের মধ্যে অন্যতম হচ্ছে :
পদ্মা সেতু প্রকল্প : ২০২২ সালের জুনে যানবাহন চলাচলের জন্য সেতুটি খুলে দেয়া হয়। ৩০ হাজার ১৯৩ কোটি ৩৯ লাখ টাকা ব্যয়ে বাস্তবায়ন করা হয় পদ্মা বহুমুখী সেতু নির্মাণ প্রকল্প।
মেট্রোরেল প্রকল্প : রাজধানীর উত্তরায় মেট্রোরেল লাইন-৬ ও বাংলাদেশের প্রথম মেট্রোরেলের উদ্বোধন ফলক উন্মোচন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ২৮ ডিসেম্বর মেট্রোরেলের উদ্বোধন করা হয়।
বড় বিদ্যুৎকেন্দ্র উদ্বোধন : পটুয়াখালীর পায়রাতে দেশের সবচেয়ে বড় তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ২০২২ সালের ২১ মার্চ এক হাজার ৩২০টি পায়রা উড়িয়ে এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন সরকারপ্রধান। বিশ্বের ১৩তম দেশ হিসেবে আল্ট্রা সুপার ক্রিটিক্যাল পদ্ধতিতে কয়লা ব্যবহার করে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হচ্ছে কেন্দ্রটি থেকে। বিদ্যুৎকেন্দ্রটি নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছিল ২৪৮ কোটি মার্কিন ডলার বা প্রায় ২১ হাজার কোটি টাকা। অথচ প্রকল্পশেষে ব্যয় হয়েছে ২৩০ কোটি মার্কিন ডলার বা প্রায় ১৯ হাজার ৫৫০ কোটি টাকা। দেশের বড় প্রকল্পগুলোর মধ্যে এটিই প্রথম যা প্রাক্কলিত ব্যয়সীমার চেয়ে কমে কাজ শেষ করল।
ঢাকা-আশুলিয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে : ঢাকা-আশুলিয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ২০২২ সালের ১২ নভেম্বর গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রকল্পের নির্মাণকাজের উদ্বোধন ঘোষণা করেন তিনি। সেপ্টেম্বরের শুরুতে এ এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পের জন্য খসড়া ঋণ চুক্তির অনুমোদন দেন প্রধানমন্ত্রী। এসময় এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কর্মকর্তারা জানান, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে শুরু করে আবদুল্লাহপুর-আশুলিয়া-বাইপাইল হয়ে নবীনগর মোড় এবং ইপিজেড হয়ে চন্দ্রা মোড় পর্যন্ত ২৪ কিলোমিটার এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ করা হবে। ‘ঢাকা-আশুলিয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে’ শীর্ষক এ প্রকল্প ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের সঙ্গে সংযুক্ত হবে। প্রকল্পের আওতায় সাভার ইপিজেড থেকে নবীনগর সড়কে ৩ কিলোমিটার দীর্ঘ দুটি সেতু নির্মাণ করা হবে। এ প্রকল্পে ব্যয় ধরা হয়েছে ১৬ হাজার ৯০০ কোটি টাকা। এটি বাস্তবায়ন হলে ঢাকার সঙ্গে উত্তরবঙ্গসহ ৩০টি জেলার সংযোগ স্থাপনকারী আবদুল্লাহপুর-আশুলিয়া ও বাইপাইল-চন্দ্রা করিডোরে যানজট কমে যাবে।
বঙ্গবন্ধু টানেল : অতৃপ্তি, অপূর্ণতা আর হতাশার মাঝেও বাঙালির রয়েছে গর্ব আর অহংকার করার মতো অনেক কিছুই। তেমনই এক স্থাপনা চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর তলদেশে নির্মিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল। বঙ্গবন্ধু টানেলের টিউব উদ্বোধন হয়েছে ২০২২ সালে। ৩.২ কিলোমিটার দীর্ঘ এ টানেলই নদীর তলদেশে নির্মিত দক্ষিণ এশিয়ার সর্বপ্রথম টানেল। বহুল প্রতীক্ষিত চট্টগ্রামে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল নির্মাণের কাজ শেষ হচ্ছে চলতি মাসে। তবে চলাচলের জন্য উন্মুক্ত হওয়ার সময় জানাবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বর্তমানে টানেলের কাজের অগ্রগতি প্রায় ৯৫ শতাংশ। ইলেকট্রোমেকানিক্যালসহ বাকি কাজ শেষ হলে দ্বার উন্মোচন হবে টানেলের।
প্রথম আইটি বিজনেস ইনকিউবেটর : চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (চুয়েট) স্থাপিত দেশের প্রথম আইটি ব্যবসায়িক ইনকিউবেটর ‘শেখ কামাল আইটি বিজনেস ইনকিউবেটর’ উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ৬ জুলাই এ উপলক্ষ্যে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে চুয়েট। গণভবন থেকে অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হয়ে ইনকিউবেটরের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। এসময় আইটি বিজনেস ইনকিউবেটর সেন্টারে নির্মিত মাল্টিপারপাস হল, শেখ জামাল ডরমেটরি ও রোজী জামাল ডরমেটরিরও উদ্বোধন করেন তিনি।
১০০ মহাসড়ক উদ্বোধন : দেশের ৫০টি জেলায় উন্নয়ন করা ১০০টি সড়ক-মহাসড়ক উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ২১ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এসব মহাসড়ক উদ্বোধন করেন তিনি।
প্রথম ৬ লেনের মধুমতি সেতুর উদ্বোধন : নড়াইলের লোহাগড়ার কালনা পয়েন্টে দেশের প্রথম ৬ লেনের দৃষ্টিনন্দন মধুমতি সেতুর উদ্বোধন ১০ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভার্চুয়ালি এই সেতুর উদ্বোধন করেন।
এদিকে ২০২২ সালে ধারাবাহিকভাবে কমেছে রিজার্ভের পরিমাণ, ডলারে দাম বেড়েছে। ঋণ জালিয়াতি ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে। এমন পরিস্থিতির মধ্যেই আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) বাংলাদেশের রিজার্ভ সংরক্ষণের হিসাব পদ্ধতি নিয়ে প্রশ্ন তোলে। বছরটিতে ব্যাপক হারে বেড়েছে সন্দেহজনক লেনদেন (এসটিআর) ও সন্দেহজনক কার্যক্রম (এসএআর)। এছাড়া এলসিতে ২০০ শতাংশ পর্যন্ত ওভার ইনভয়েসিং করে অর্থ পাচার করা হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংক : ২০২২ সালে করোনার পাশাপাশি বন্যা ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে ক্ষতি পুষিয়ে নিতে ঋণ পরিশোধে ব্যাপক ছাড় দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ডলার সংকট রোধে বিলাস পণ্য আমদানিতে কড়াকড়ি আরোপ করা হয়। ডলার সংকট প্রকট আকার ধারণ করলে আমদানি ব্যয় কমাতে মনোযোগী হয় বাংলাদেশ ব্যাংক। একইসঙ্গে অতি জরুরি পণ্য ছাড়া অন্য সকল পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে কমপক্ষে ৫০ শতাংশ নগদ মার্জিন সংরক্ষণ করতে বলা হয়। এছাড়া বিভিন্ন সময় জব্দ করা স্বর্ণ নিলামে বিক্রির উদ্যোগ নেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। প্রাথমিকভাবে ২ হাজার ১৭০ ভরি স্বর্ণ বিক্রির কথা রয়েছে। স্বর্ণ বিক্রির এই নিলামে লাইসেন্সধারী ব্যবসায়ীরা অংশ নিতে পারবেন। ২০২২ সালে বাংলাদেশ ব্যাংক ডলার বিক্রি করতে বাধ্য হয়েছে। চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি করা হয় ৬০৫ কোটি মার্কিন ডলার। এর আগে ২০২১-২২ অর্থবছরে রেকর্ড ৭৬২ কোটি ১৭ লাখ ডলার বিক্রি করে আর্থিক খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি। এছাড়া বিভিন্ন সময় জব্দ করা স্বর্ণ নিলামে বিক্রির উদ্যোগ নেয় বাংলাদেশ ব্যাংক।
অস্থিরতাণ্ডসংকটেও ব্যাংকিং লেনদেনে গতি : ব্যাংকিং খাতে অস্থিরতা, ডলার সংকট, ধারাবাহিকভাবে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমার মাঝেও ব্যাংকিং চ্যানেলে বাড়ছে টাকা জমা, উত্তোলন ও খরচ। চলতি অর্থবছরের প্রথম চার মাসে (জুলাই-অক্টোবর) চেকের পাশাপাশি কার্ড, ইন্টারনেট, এজেন্ট ও মোবাইল ব্যাংকিংয়ে লেনেদেনের পরিমাণ বেড়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে এ তথ্য জানা গেছে। ২০২২ সালে প্রথম চার মাসে দেশের ব্যাংকগুলোর চেক নিষ্পত্তি হয়েছে ৮ লাখ ৫৩ হাজার ৮৫৩ কোটি টাকা। এর আগের বছরের একই সময়ে যার পরিমাণ ছিল ৭ লাখ ৭৯ হাজার ১২৫ কোটি টাকা।
বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ : দেশে ডলার সংকট দেখা দিলে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের ওপর চাপ বাড়তে থাকে। এতে ধারাবাহিকভাবে কমতে থাকে রিজার্ভ। বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাবে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৩৪ বিলিয়ন ডলারের আশপাশে ঘুরছে। তবে সাম্প্রতিক সময়ে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) বাংলাদেশের রিজার্ভ সংরক্ষণের হিসাব পদ্ধতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে রির্জাভের হিসাব পদ্ধতিতে রপ্তানি উন্নয়ন তহবিলসহ কয়েকটি তহবিলে বিনিয়োগ করা ৮ বিলিয়ন ডলার বাদ দিতে হবে। এটি বাদ দিলে রিজার্ভ থাকে ২৬ বিলিয়ন ডলার। যা দিয়ে বর্তমানে সাড়ে চার মাসের আমদানি ব্যয় মেটানো যাবে। অর্থাৎ খরচ করার মতো এখন ২৬ বিলিয়ন ডলারের আশেপাশে রিজার্ভ রয়েছে।
কয়েকটি ইসলামী ব্যাংকে কেলেঙ্কারি ঋণ : ২০২২ সালে কয়েকটি ইসলামী ব্যাংকে ঋণ কেলেঙ্কারির ঘটনা প্রকাশ পেয়েছে। এ বছরের নভেম্বর মাসকে কেলেঙ্কারির মাস হিসেবেও অভিহিত করা হয়েছে। সবচেয়ে বেশি কেলেঙ্কারির ঘটনা ঘটেছে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডে। ব্যাংকটি থেকে ১১টি অস্তিত্বহীন প্রতিষ্ঠান হাতিয়ে নিয়েছে প্রায় ১২ হাজার কোটি টাকা। এছাড়া ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক থেকে তিনটি প্রতিষ্ঠান নিয়েছে এক হাজার ২০০ কোটি টাকা। সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক থেকে চারটি প্রতিষ্ঠান নিয়েছে প্রায় ১৭ হাজার কোটি টাকা। ব্যাংকগুলোর নথিপত্র অনুযায়ী, এসব ব্যাংক থেকে অন্তত ৩০ হাজার কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়া হয়। এসব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ ব্যাংক ও আদালতের কার্যক্রম চোখে পড়ার মতো।
আমদনি-রপ্তানি : চলতি বছরে বাণিজ্য ঘাটতিও চোখে পড়ার মতো। আমদানির চেয়ে রপ্তানি আয় কম হওয়ায় চলতি (২০২২-২৩) অর্থবছরের শুরু থেকে বড় অঙ্কের বাণিজ্য ঘাটতি দেখা দেয়। গত অক্টোবর মাস নিয়ে টানা চার মাস বাণিজ্য ঘাটতিতে পড়তে হয় দেশকে। এ অর্থবছরের প্রথম চার মাসে (জুলাই-অক্টোবর) মোট বাণিজ্য ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৯৫৮ কোটি ৭০ লাখ মার্কিন ডলার।
ব্যাংক খাতে তারল্য : ঋণের প্রকৃত সুদহার কমে যাওয়াসহ চার কারণে কমছে দেশের ব্যাংকিং খাতের তারল্য। চলতি বছরের সেপ্টেম্বর শেষে খাতটির তারল্যের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৪ লাখ ৪ হাজার ৭৭৮ কোটি টাকা। আগের বছরের একই সময়ে এর পরিমাণ ছিল ৪ লাখ ৩৩ হাজার ৫৯৮ কোটি টাকা। অর্থাৎ এক বছরের ব্যবধানে ব্যাংকিং খাতের তারল্যের পরিমাণ কমেছে ২৮ হাজার ৮১৬ কোটি টাকা।
রাজস্ব ঘাটতি : চলতি অর্থবছরের (২০২২-২৩) পঞ্চম মাস নভেম্বরে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৩ হাজার ৩২৪ দশমিক ৯১ কোটি টাকা কম রাজস্ব আদায় করেছে এনবিআর। এতে চলতি অর্থবছরের প্রথম ৫ মাসে (জুলাই-নভেম্বর) রাজস্ব ঘাটতি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯ হাজার ৭১৩ দশমিক ২৪ কোটি টাকা। এনবিআরের তথ্য মতে, ২০২২-২৩ অর্থবছরে ৩ লাখ ৭০ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে এনবিআরের। চলতি অর্থবছরের প্রথম পাচঁ মাসে (জুলাই-নভেম্বর) এনবিআর রাজস্ব আদায় করেছে এক লাখ ১৫ হাজার ৬২০ দশমিক ৭৭ কোটি টাকা। এ সময়ে আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল এক লাখ ২৫ হাজার ৩৩৪ কোটি টাকা। ফলে আলোচ্য সময়ে রাজস্ব ঘাটতি ৯ হাজার ৭১৩ দশমিক ২৪ কোটি টাকা। বিদায়ী বছরের সংকট কাটিয়ে এবং সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে সরকার বিভিন্ন সময়োপযোগী উদ্যোগ গ্রহণের মাধ্যমে নতুন বছরে অর্থনৈতিক উত্তরণের পথে এগিয়ে যাবে এমনটাই প্রত্যাশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।