জাতীয় সমাজসেবা দিবস ও মানবকল্যাণ পদক বিতরণ অনুষ্ঠানে সমাজকল্যাণমন্ত্রী
সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি বাস্তবায়িত হলে দারিদ্র্যমুক্ত হবে কয়েক কোটি মানুষ
প্রকাশ : ০৩ জানুয়ারি ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
সংবাদ বিজ্ঞপ্তি
সমাজকল্যাণমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ বলেছেন, সামাজিক নিরাপত্তা খাতে গৃহীত বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে দারিদ্র্য দূরীকরণে সরকার কাজ করছে। এসব কর্মসূচি বাস্তবায়িত হলে দারিদ্র্যসীমা থেকে বেরিয়ে আসবে কয়েক কোটি লোক। তিনি গতকাল রাজধানীর আগারগাঁওয়ের সমাজসেবা অধিদপ্তর মিলনায়তনে জাতীয় সমাজসেবা দিবস ২০২৩ ও মানবকল্যাণ পদক বিতরণ উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে তিনি এসব কথা বলেন। সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী মো. আশরাফ আলী খান খসরু ও সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি রাশেদ খান মেনন এমপি। অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সমাজসেবা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. আবু সালেহ্ মোস্তফা কামাল।
মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মানবতার মূর্ত প্রতীক। মিয়ানমার থেকে বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে আশ্রয় দিয়ে তিনি ‘মাদার অব হিউম্যানিটি’ হিসেবে খ্যাতি পেয়েছেন। সেই ঘটনার প্রেক্ষাপটে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় মানবকল্যাণ পদক প্রদানের কাজ শুরু করে। জনকল্যাণে উদ্বুদ্ধ হয়ে মানবতার সেবায় কাজ করা ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে পাঁচ ক্যাটাগরিতে প্রতিবছর মানবকল্যাণ পদক দেয়া হবে। তিনি আরও বলেন, ২০৪১ সালের স্মার্ট বাংলাদেশ হবে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত। সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় পরিচালিত কর্মসূচিসমুহ বাস্তবায়নে স্মার্ট প্রযুক্তির সূচনা হয়েছে। এক কোটির বেশি ভাতাভোগী এবং পাঁচ কোটির বেশি উপকারভোগী সরাসরি এ মন্ত্রণালয়ের সেবার আওতাভুক্ত। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী বলেন, মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় কাজ করছে। সামাজিক সুরক্ষা নিশ্চিত করতে আইন ও বিধিমালা প্রণয়ণ করে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে রাশেদ খান মেনন বলেন, বঙ্গবন্ধু দেশে সর্বপ্রথম সুদমুক্ত ক্ষুদ্র ঋণ চালু করেছিলেন। করোনা মহামারী ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বৈশ্বিক অর্থনীতি এখন টালমাটাল। এমন অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে দেশের মানুষের জন্য সুদমুক্ত ক্ষুদ্র ঋণ সহায়ক হবে। পরে সমাজকল্যাণমন্ত্রী মানবকল্যাণ পদক ২০২০ ও ২১ প্রাপ্ত ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের হাতে পদক, স্মারক, সনদপত্র এবং অর্থ তুলে দেন।
উল্লেখ্য, প্রান্তিক ও অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর সুরক্ষায় আব্দুল জব্বার জলিল, প্রতিবন্ধী ব্যক্তির কল্যাণে বীরমুক্তিযোদ্ধা আলহাজ আল-মামুন সরকার, মানবকল্যাণে ইতিবাচক কার্যক্রমে খুলনার জেলা প্রশাসন মানবকল্যাণ পদক ২০২০ লাভ করে। বয়স্ক-বিধবা ও স্বামী নিগৃহীতার কল্যাণে বিশ্ব মানব সেবা সংঘ (বৃদ্ধাশ্রম), প্রান্তিক ও অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর সুরক্ষায় বীরমুক্তিযোদ্ধা মাজেদা শওকত আলী, প্রতিবন্ধী ব্যক্তির কল্যাণে এসপায়ার টু ইনোভেইট (এটুআই) প্রোগ্রাম, আইনের সংঘাতে জড়িত শিশু-নিরাশ্রয় ব্যক্তির কল্যাণে আকবরিয়া লিমিটেড, মানবকল্যাণে ইতিবাচক কার্যক্রমে বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন মানবকল্যাণ পদক ২০২১ গ্রহণ করে।