দেশের বহুল আলোচিত গাইবান্ধা-৫ (সাঘাটা-ফুলছড়ি) আসনের উপনির্বাচনে আজ ইভিএমের মাধ্যমে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এ নির্বাচনে রাজনৈতিক দলের ৩ প্রার্থীসহ স্বতন্ত্র আরো একজন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। সকাল সাড়ে ৮টা থেকে বিকাল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত আসনটির ১৫৪ ভোট কেন্দ্রে ভোটাররা তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।
গাইবান্ধা জেলা নির্বাচন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, নির্বাচনে ভোটকেন্দ্রে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন ১৪৫ জন প্রিসাইডিং অফিসার, ৯৫২ জন সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার ও ১৯০৪ জন
পোলিং অফিসার। সাঘাটা উপজেলা ১০টি ও ফুলছড়ি উপজেলা ৭টিসহ মোট ১৭টি ইউনিয়ন নিয়ে গাইবান্ধা-৫ (সাঘাটা-ফুলছড়ি) আসন গঠিত। ফুলছড়ি উপজেলায় মোট ১ লাখ ১৪ হাজার ৬৭৩ জন ও সাঘাটা উপজেলায় ২ লাখ ২৫ হাজার ৭০ জন ভোটার রয়েছেন। এরমধ্যে দুই উপজেলায় পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৬৯ হাজার ৫৮৩ জন এবং নারী ভোটার ১ লাখ ৭০ হাজার ১৬০ জন। এছাড়া নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করবেন। এই উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগ থেকে প্রার্থী হয়েছেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মাহমুদ হাসান রিপন (নৌকা), জাতীয় পার্টি (জাপার) প্রার্থী দলটির প্রেসিডিয়াম সদস্য এএইচএম গোলাম শহিদ রঞ্জু (লাঙ্গল), বিকল্পধারা বাংলাদেশর প্রার্থী অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর আলম (কুলা), স্বতন্ত্র প্রার্থী সৈয়দ মাহবুবুর রহমান (ট্রাক)। উপনির্বাচনে পাঁচজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার কথা থাকলেও গত ডিসেম্বর মাসের ২৫ তারিখে বগুড়া প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলন করে ভোট কারচুপির আশঙ্কায় গাইবান্ধা-৫ (সাঘাটা-ফুলছড়ি) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী নাহিদুজ্জামান নিশাদ নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন। এই উপনির্বাচনের দায়িত্বরত সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও গাইবান্ধা জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আব্দুল মোত্তালিব জানান, যাতে করে ভোটগ্রহণ সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়, সেই লক্ষ্যে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ২৩ জুলাই সাবেক ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়ার মৃত্যুতে ৩৩, গাইবান্ধা-৫ আসনটি শূন্য হয়। যার ফলে সংসদীয় এই আসনে গত ১২ অক্টোবর ভোটগ্রহণ চলাকালে নানা অনিয়মের অভিযোগ সেটি বন্ধ ঘোষণা করেন নির্বাচন কমিশনার (ইসি)। ফের কমিশনের সিদ্ধান্তে আজ ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হচ্ছে।