গাইবান্ধা-৫ (সাঘাটা-ফুলছড়ি) আসনের উপনির্বাচনে ১২৩ কেন্দ্রের ফলে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মাহমুদ হাসান রিপন এগিয়ে রয়েছেন। এসব কেন্দ্রে নৌকা প্রতীকে রিপন পেয়েছেন ৬১ হাজার ৯৩১ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির (জাপা) গোলাম শহীদ রনজু লাঙল প্রতীকে পেয়েছেন ৬১ হাজার ৯১২ ভোট। গতকাল বুধবার সন্ধ্যার পর থেকে ফুলছড়ি ও সাঘাটা উপজেলা পরিষদ হল রুম থেকে এসব কেন্দ্রের ফল ঘোষণা করা হয়।
এখন পর্যন্ত ফুলছড়ি উপজেলার ১২৩ কেন্দ্রের মধ্যে ৫৭ কেন্দ্র ও সাঘাটার ৮৮ কেন্দ্রের মধ্যে ৬৬ কেন্দ্রের ফল ঘোষণা করা হয়। দুই উপজেলার ১৪৫ কেন্দ্রের প্রাপ্ত ফল একযোগে পাওয়ার পর জেলা প্রশাসক কার্যালয় থেকে চূড়ান্ত ফল ঘোষণা করবেন রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. ফরিদুল ইসলাম।
এর আগে গতকাল বুধবার সকাল সাড়ে ৮টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে চলে বিকাল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত। ভোটগ্রহণ শেষে প্রতিটি কেন্দ্রে এখন গণনা চলছে।
গাইবান্ধা-৫ আসনটি ফুলছড়ি ও সাঘাটা উপজেলা নিয়ে গঠিত। দুই উপজেলার ১৭টি ইউনিয়নে মোট ভোটার ৩ লাখ ৩৯ হাজার ৪ জন। গেল বছরের ২৩ জুলাই সাবেক ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়ার মৃত্যুতে আসনটি শূন্য হয়। এরপর গত ১২ অক্টোবর গাইবান্ধা-৫ আসনে ভোটগ্রহণ চলাকালে নানা অনিয়মের অভিযোগ ওঠে। এরপর ভোটগ্রহণ বন্ধ ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। অনিয়মের সঙ্গে ১১৫ জন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের ঘোষণা দেয় ইসি।
নির্বাচনে পাঁচজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও মাঠে সক্রিয় আওয়ামী লীগের মাহমুদ হাসান রিপন (নৌকা) ও জাতীয় পার্টির প্রার্থী (জাপা) এএইচএম গোলাম শহিদ রঞ্জু (লাঙল)। তবে ভোটের মাঠে প্রচারণায় দেখা যায়নি বিকল্পধারা বাংলাদেশের জাহাঙ্গীর আলম (কুলা) ও স্বতন্ত্র প্রার্থী সৈয়দ মাহবুবুর রহমানকে (ট্রাক)। গত ২৫ ডিসেম্বর অপর স্বতন্ত্র প্রার্থী নাহিদুজ্জামান নিশাদ (আপেল) গত ২৫ ডিসেম্বর নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন।