ঢাকা ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে বর্তমান সরকারের ধারাবাহিকতা দরকার

বললেন বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী
উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে বর্তমান সরকারের ধারাবাহিকতা দরকার

বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী, বীরপ্রতীক, এমপি বলেন, পদ্মা সেতু, মেট্টোরেল, বঙ্গবন্ধু টানেলসহ সারা দেশের সকল উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে বর্তমান সরকারের ধারাবাহিকতা দরকার। সিঙ্গাপুর বা মালয়েশিয়ায় আজকের এ উন্নয়ন, সেদেশে সরকারের ধারাবাহিকতার ফলেই সম্ভব হয়েছে। বাংলাদেশে যে উন্নয়ন হয়েছে সেটিও বর্তমান সরকার টানা কয়েক বছর ক্ষমতায় থাকার কারণেই হয়েছে। উন্নয়নের এই ধারা অব্যাহত রাখতে আগামীতে সরকারের এই ধারাবাহিকতা রাখতে হবে। গতকাল বুধবার দুপুরে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন, বাংলাদেশ (আইইবি) এর উদ্যোগে Bangabandhu’s vision on Industrialization in Bangladesh: Opportunities & challenges for 4IR and beyond শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। যন্ত্রকৌশল বিভাগ, আইবি-এর চেয়ারম্যান ইঞ্জিঃ মোহাম্মদ নাসির উদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ইঞ্জিঃ মো. নূরুল হুদা, প্রেসিডেন্ট, আইবি, সাবেক চেয়ারম্যান (রাজউক), ইঞ্জিঃ মো. আবদুস সবুর, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট, আইবি, ইঞ্জিঃ মো. নুরুজ্জামান, ভাইস প্রেসিডেন্ট, আইবি ও সাবেক প্রধান প্রকৌশল জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর, ইঞ্জিঃ খন্দকার মনজুর মোর্শেদ, ভাইস প্রেসিডেন্ট, আইবি, ইঞ্জিঃ এসএম মনজুরুল হক মঞ্জু, ভাইস প্রেসিডেন্ট, আইবি। অনুষ্ঠানে ইঞ্জিঃ সৌমিত্র কুমার মুৎসুদ্দি ও মূল প্রবন্ধ উপস্থাপক, ড. ইঞ্জি: মোহাম্মদ সারওয়ার মোরশেদসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন। বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী বলেন, বছরের পর বছর সরকার পরিবর্তন হলে কোনো দিনই পদ্মা সেতু হতো না। সরকার পরিবর্তন হলে আরেক সরকার এসে বলতো এখানে না হয়ে পদ্মাসেতু হবে আরেক জায়গায়। মালয়েশিয়া ও সিঙ্গাপুরে যে উন্নয়ন হয়েছে সেখানে একই সরকার দীর্ঘমেয়াদে ক্ষমতায় ছিল বলেই হয়েছে। দেশে যে উন্নয়ন হয়েছে সেটিও বর্তমান সরকার টানা কয়েক বছর ক্ষমতায় থাকার কারণেই হয়েছে। উন্নয়নের এই ধারা অব্যাহত রাখতে আগামীতে সরকারের এই ধারাবাহিকতা রাখতে হবে। মন্ত্রী বলেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান উন্নত ও সমৃদ্ধ সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন। দেশীয় কাঁচামাল ভিত্তিক শিল্পায়নের ধারা জোরদার করে কৃষি ও শিল্পখাতের যুগপৎ মাধ্যমে বাংলাদেশের অর্থনীতি শক্তিশালী করাই ছিল বঙ্গবন্ধুর আজীবন লালিত স্বপ্ন। তিনি বলেন, বিশ্বব্যাপী সংগঠিত চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় নতুন প্রজন্মকে দক্ষ মানবসম্পদ হিসেবে গড়ে উঠতে হবে। বর্তমান সরকার দক্ষ মানবসম্পদ তৈরি করতে সরকারি পর্যায়ে আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর বিভিন্ন পর্যায়ের কারিগরি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট এবং বিভিন্ন ধরনের ফ্যাশন ডিজাইন ইনস্টিটিউট স্থাপন ও পরিচালনা করছে। তিনি বলেন, বর্তমানে আমরা এমন এক যুগসন্ধিক্ষণে অবস্থান করছি, যাকে সহজেই চতুর্থ শিল্পবিপ্লব বা ফোর্থ ইন্ডাস্ট্রিয়াল রেভল্যুশন বা ফোর আইআর বা ইন্ডাস্ট্রি ফোর পয়েন্ট জিরোর শুরুর লগ্ন বলা যেতে পারে। চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের নিয়ামক হিসেবে প্রধানত আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স অ্যান্ড মেশিন লার্নিং, ইন্টারনেট অব থিংস (আইওটি) প্রযুক্তিকে বোঝানো হয়। প্রকৃতপক্ষে ফোর আইআর হচ্ছে ফিজিক্যাল এবং বায়োলজিক্যাল সিস্টেমের মধ্যে ডিজিটাল সিস্টেমের মেলবন্ধনের অত্যাধুনিক মেকানিজম, যার মূল ভিত্তি তৃতীয় শিল্পবিপ্লবকালীন উদ্ভাবিত প্রযুক্তি। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য উত্তরাধিকার, বিশ্ববরেণ্য নেতা ও মানবতার জননী প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা জাতির পিতার স্বপ্নকে বাস্তবে রূপায়ণের লক্ষ্যে জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করে শিল্পসমৃদ্ধ উন্নত সোনার বাংলা গড়ার পথে অগ্রসর হচ্ছেন। এ লক্ষ্যে তিনি বাংলাদেশকে সমৃদ্ধির কাঙ্ক্ষিত গন্তব্যে নিয়ে যেতে নিরন্তর প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন বাংলাদেশের উন্নয়নের চলমান ধারা অব্যাহত রেখে নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত রূপকল্প বাস্তবায়ন সম্ভব হবে বলে আমার বিশ্বাস। মন্ত্রী বলেন, চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রকৌশলিদের সচেতন থাকতে হবে। তিনি আশা প্রকাশ করেন, বাংলাদেশের আগামীর সকল বড় বড় প্রজেক্ট দেশি প্রকৌশলীর মাধ্যমে বাস্তবায়ন সম্ভব হবে। এখন যেমন বিদেশি প্রকৌশলীনির্ভর হতে হচ্ছে ভবিষ্যতে সে নির্ভশীলতা থাকবে না।

আলোকিত বাংলাদেশ
আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত