চলতি বছর হজ পালনে সৌদি সরকারের সঙ্গে বাংলাদেশের ‘হজ চুক্তি’ হবে আগামী ৯ জানুয়ারি। চুক্তি অনুযায়ী, বহাল হতে পারে আগের কোটা। আগের কোটা বহাল হলে এবার বাংলাদেশ থেকে স্বাভাবিক সময়ের মতো ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন হজ পালনের জন্য সৌদি আরব যেতে পারবেন। ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খানের নেতৃত্বে ৩ সদস্যের প্রতিনিধি দল আগামীকাল সন্ধ্যায় সৌদি আরবের উদ্দেশ্যে ঢাকা ত্যাগ করবেন।
ধর্ম মন্ত্রণালয় থেকে জানা গেছে, প্রতিনিধি দলে মন্ত্রণালয়ের হজ অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. মতিউল ইসলাম এবং হজ এজেন্সিস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (হাব) সভাপতি এম শাহাদাত হোসাইন তসলিম থাকবেন। এছাড়া সৌদি আরব থেকে সেখানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত, হজ কাউন্সিলর, কনসাল জেনারেল প্রতিনিধি দলে যুক্ত হবেন।
হজ চুক্তিতে বাংলাদেশের পক্ষে ফরিদুল হক খান এবং সৌদি আরবের হজ ও ওমরাহ বিষয়ক মন্ত্রী ড. তৌফিক আল-রাবিয়াহ সই করবেন। বাংলাদেশের প্রতিনিধি দলটি সৌদি আরবের হজ ও ওমরা কনফারেন্স এবং এক্সিবিশনেও অংশ নেবেন।
সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, জনসংখ্যা অনুযায়ী করোনাভাইরাস মহামারির স্বাভাবিক পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে এবার সৌদি সরকার বাংলাদেশকে আগের কোটা অনুযায়ী ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন হজযাত্রীকে হজ পালনের অনুমতি দিতে পারে। এরমধ্যে ১৫ হাজার সরকারি ব্যবস্থাপনায় এবং ১ লাখ ১২ হাজার ১৯৮ জন বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় এজেন্সির মাধ্যমে হজ পালন করতে পারবেন। সেই অনুযায়ী খসড়া চুক্তি প্রস্তুত করা হয়েছে। একই সঙ্গে ৬৫ বছরের বেশি বয়সিদের হজ পালনের নিষেধাজ্ঞাও প্রত্যাহার চাইবে বাংলাদেশ।
এবার রুট টু মক্কা ইনিশিয়েটিভের আওতায় শতভাগ হজযাত্রীদের ইমিগ্রেশন ও লাগেজ তল্লাশির কাজ ঢাকায় সম্পন্ন হবে। এজন্য আগে সৌদি আরবের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মধ্যে চুক্তি হয়। সৌদি আরবের স্বরাষ্ট্র উপমন্ত্রী নাসের বিন আব্দুল আজিজ আল দাউদ বাংলাদেশ সফরে এলে গত ১৩ নভেম্বর এ চুক্তি হয়।
২০১৯ সালে বাংলাদেশ থেকে ১ লাখ ২৭ হাজার মানুষ হজ পালন করেন। ২০২০ সালের জন্য বাংলাদেশ এবং সৌদি আরবের মধ্যে হজ সংক্রান্ত যে চুক্তি হয়, সেখানে বাংলাদেশিদের হজযাত্রীর কোটা ১০ হাজার বৃদ্ধি করা হয়। ২০২০ সালে ১ লাখ ৩৭ হাজার বাংলাদেশি হজে যেতে পারতেন। কিন্তু করোনাভাইরাস মহামারির কারণে সৌদি আরবের নিষেধাজ্ঞায় বাংলাদেশ থেকে কেউ হজ পালন করতে পারেনি। ২০২১ সালেও বিদেশিদের জন্য হজ পালনে নিষেধাজ্ঞা ছিল। করোনা মহামারি কমে এলে গত বছর বিভিন্ন দেশ থেকে কোটা অর্ধেক করে হজ পালনের অনুমতি দেয় সৌদি আরব। বাংলাদেশ থেকে ৬০ হাজার মুসলমান হজ পালন করেন। করোনা মহামারির কারণে গত বছর ৬৫ বছরের বেশি বয়সিদের হজ পালনের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা ছিল।