ঢাকা ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

আইনগত সহায়তা সংস্থা

বিনামূল্যে সেবা পেল ৮ লাখ ৩৪ হাজার ৯৪৭ জন

বিনামূল্যে সেবা পেল ৮ লাখ ৩৪ হাজার ৯৪৭ জন

জাতীয় আইনগত সহায়তা সংস্থার (লিগ্যাল এইড) মাধ্যমে ২০০৯ সাল থেকে ২০২২ সালের নভেম্বর মাস পর্যন্ত ৮ লাখ ৩৪ হাজার ৯৪৭ জনকে সরকারি খরচায় আইনি সেবা প্রদান করা হয়েছে।

জাতীয় আইনগত সহায়তা সংস্থার ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, এই সময়ের মধ্যে আইনি পরামর্শ সেবা পেয়েছেন- সুপ্রিমকোর্ট লিগ্যাল এইড অফিসের মাধ্যমে ২২ হাজার ৫২১ জন, দেশের ৬৪ জেলা লিগ্যাল এইড অফিসের মাধ্যমে ১

লাখ ৪৫ হাজার ৩৩৮ জন, ঢাকা ও চট্টগ্রাম শ্রমিক আইনগত সহায়তা সেলে ১৯ হাজার ৭৮৪ জন এবং সরকারি আইনি সহায়তা জাতীয় হেল্পলাইন কলসেন্টারে (টোল ফ্রি-১৬৪৩০) ১ লাখ ৪৯ হাজার ৮১৮ জনসহ মোট ৩ লাখ ৩৭ হাজার ৪৬১ জন। এ সময়ে আইনি সহায়তাকৃত মামলার সংখ্যা ৩ লাখ ৪১ হাজার ৪৫২টি এবং নিষ্পত্তি হওয়া মামলার সংখ্যা ১ লাখ ৬৯ হাজার ৭০৬টি।

প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি তথা এর জন্য উদ্যোগ গ্রহণ ৭৪ হাজার ১০৫টি মামলায় এবং এতে উপকারভোগীর সংখ্যা ১ লাখ ৩৫ হাজার ৪৫৯ জন। কলসেন্টার স্থাপনের পূর্বে হটলাইনের মাধ্যমে সেবা দেয়া হয় ১৭ হাজার ৩২৮ জনকে। প্রি ও পোস্টকেইসে ৬৪ জেলা লিগ্যাল এইড অফিস ও চট্টগ্রাম শ্রমিক আইনগত সহায়তা সেলে ক্ষতিপূরণ আদায় হয়েছে ১১৭ কোটি ১৪ লাখ ৮৭ হাজার ৪৭৭ টাকা।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১২ সাল হতে ২০২২ সালের নভেম্বর মাস পর্যন্ত ১ লাখ ২ হাজার ৪৫ জন কারাবন্দিকে ৬৪ জেলা কমিটির মাধ্যমে আইনি সহায়তা প্রদান করা হয়েছে।

সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিমকোর্টের হাইকোর্ট ও আপিল বিভাগ, দেশের সব নিম্ন আদালত, শ্রম আাদালতে সরকারি খরচায় অসচ্ছল জনগোষ্ঠীকে লিগ্যাল এইড দেয়া হয়।

ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী বা ক্ষুদ্র জাতিসত্তা সম্প্রদায়ের দেশের সর্বোচ্চ আদালতে আইনি সহায়তা পাওয়ার ক্ষেত্রে যোগ্যতা আইনগত সহায়তা প্রদান নীতিমালায় ইতোমধ্যে নিশ্চিত করা হয়েছে।

আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকার আর্থিকভাবে অসচ্ছল, অসমর্থ বিচারপ্রার্থী জনগণকে সরকারি খরচে আইনি সহায়তা প্রদানের লক্ষ্যে ‘আইনগত সহায়তা প্রদান আইন-২০০০’ প্রণয়ন করে। ২০০০ সালে তৎকালীন শাসন আমলে আইনটি প্রণয়ন করে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকার। তারপরের সরকারগুলো আইনটি কার্যকরে উল্লেখযোগ্য কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে সরকার গঠনের পর আওয়ামী লীগ দরিদ্র ও অসচ্ছল জনগণের বিচারপ্রাপ্তি নিশ্চিতে আইনটি কার্যকরে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করে এবং তা অব্যাহত রয়েছে।

২০০০ সালে প্রণীত এ আইন অনুযায়ী ‘জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থা’ গঠন করা হয়। রাজধানীর ১৪৫, নেউ বেইলি রোডে এ সংস্থার প্রধান কার‌্যালয় স্থাপন করা হয়েছে। এর ব্যাপ্তি সুপ্রিমকোর্ট, দেশের সকল জেলা, অধঃস্তন আদালত, শ্রম আদালত, জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পর‌্যায় পর্যন্ত এখন প্রতিষ্ঠিত। জেলা কমিটি গঠন, প্রতিটি জেলা জজ আদালতে এর কার‌্যালয় রয়েছে। নানা প্রচার, প্রচারণা, সেমিনার-কর্মশালা ও প্রকল্পের মধ্য দিয়ে এ সেবা এখন মানুষের দোড়গোড়ায়। তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহার করে এখন এ সেবাকে আরো সহজ করা হয়েছে। এ বিষয়ে বিস্তারিত জানতে জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থার নিজস্ব ওয়েবসাইট রয়েছে। এ ওয়েবসাইটে জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান বিষয়ে বিস্তারিত সকল তথ্য জানা যায়।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত