ঢাকা ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌরুট

অনিশ্চয়তায় পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল

অনিশ্চয়তায় পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল

এখনও অনিশ্চিত টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌরুটে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল। বিষয়টি নিয়ে আগামী ১১ জানুয়ারি নৌপরিবহণ মন্ত্রণালয়ে বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। সেখানে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে বলে জানিয়েছেন কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. আবু সুফিয়ান।

তিনি বলেন, মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তের পরই এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসনের পক্ষে উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে। সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান জানান, প্রতি বছর অক্টোবর থেকে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন রুটে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল শুরু হয়। কিন্তু এবার তার কোন অনুমতি মেলেনি। ফলে, সেন্টমার্টিনে পর্যটকবিহীন অবস্থায় রয়েছে। তিনি জানান, দ্বীপের বেশিরভাগ মানুষ এখন পর্যটনের

ওপর নির্ভরশীল। এখানে যারা হোটেল ব্যবসার সঙ্গে সম্পৃক্ত তারা বড় অঙ্কের অর্থ ব্যয় করে হোটেল, রিসোর্ট ও রেস্টুরেন্ট নির্মাণ করেছেন। আবার অনেকেই বিভিন্ন মালিকের কাছ থেকে অগ্রিম টাকা দিয়ে হোটেল ও রিসোর্ট ভাড়া নিয়ে ব্যবসা করছেন। পর্যটন মৌসুমে ভালো ব্যবসা করতে না পারলে সবাইকে লোকসান পোহাতে হবে।

সেন্টমার্টিনের হোটেল ব্যবসায়ী আলী হায়দার ও মাসুম তালুকদার বলেন, টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌরুটে জাহাজ চলাচল না করায় সেন্টমার্টিনের পর্যটন খাতে খরা পড়তে শুরু করেছে। এভাবে থাকলে ব্যবসা গুটিয়ে ফেলবে অনেকে। কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম নৌরুট দিয়ে যেসব পর্যটক আসছে, তা অপ্রতুল। তাছাড়া, এ দুটি জাহাজে হয়রানি ও ভোগান্তির কারণে পর্যটকরা সেন্টমার্টিন আসা কমিয়ে দিতে পারেন।

সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, শীতের এ ভরা মৌসুমে মিয়ানমারের অভ্যন্তরের সংঘাত ও নাফ নদীর নাব্য সংকটের কারণে টেকনাফ থেকে সেন্টমার্টিন নৌরুটে জাহাজ চলাচল বন্ধ রয়েছে। চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার থেকে কর্ণফুলী, বে-ওয়ান ও বারো আউলিয়া নামে তিনটি জাহাজ সরাসরি সেন্টমার্টিনে চলাচল করছে। যা কক্সবাজার থেকে সকাল ৭টায় জাহাজ ছাড়লে সেন্টমার্টিন পৌঁছাতে লাগে সাত থেকে আট ঘণ্টা। আবার সেন্টমার্টিন থেকে কক্সবাজার পৌঁছাতে সময় লাগে ৯ থেকে ১০ ঘণ্টা। এতে যাত্রীদের হয়রানি ও ব্যয় অনেক বেড়ে যায়। এমন পরিস্থিতিতে টেকনাফ সেন্টমার্টিন রুটে চলাচলের জন্য টেকনাফের ঘাটে অবস্থান করছে এমভি পারিজাত ও এমভি রাজহংস নামের দুটি জাহাজ।

জাহাজ মালিক পক্ষের প্রতিনিধি তোফায়েল আহমদ জানান, সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়ে জাহাজ ঘাটে রাখা হয়েছে। এখন অনুমতি পেলে যাতায়ত শুরু করা হবে। বিষয়টি নিয়ে ১১ জানুয়ারির বৈঠকে সিদ্ধান্ত হওয়ার কথা রয়েছে। টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. কামরুজ্জামান বলেন, মিয়ানমারের অভ্যন্তরে সংঘাত ও নদীর নাব্য সংকটের কারণে টেকনাফ থেকে সেন্টমার্টিন নৌরুটে জাহাজ চলাচল বন্ধ রয়েছে। ঊর্ধ্বতন দপ্তর থেকে নির্দেশনা পেলে জাহাজ চলাচলে বাধা থাকবে না। আগামী ১১ জানুয়ারি এ নিয়ে বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। সেখানে সিদ্ধান্ত হতে পারে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত