কৃষিপণ্য বিপণন ব্যবস্থাপনা শক্তিশালি করতে ‘জাতীয় কৃষি বিপণন নীতি-২০২২’ এর খসড়া অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা কমিটি। গতকাল সোমবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ প্রস্তাবের অনুমোদন দেয়া হয়। মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন বিফ্রিংয়ে এ তথ্য জানান। গতকাল মন্ত্রিপরিষদের বৈঠকে মোট ৮টি বিষয় উঠেছিল। বাংলাদেশ এনার্জি লেগুলেটরি কমিশন (সংশোধিত) আইন, ২০২৩-এর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন, মন্ত্রিসভায় শেখ হাসিনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০২২-এর খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এই নবম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়টি শরীয়তপুরে স্থাপিত হবে। এছাড়াও মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীদের বিদেশ সফর নিয়ে অবহিতকরণ পাঁচটি।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, এই নীতিমালার মাধ্যমে বাংলাদেশের কৃষিপণ্য উৎপাদন ও আধুনিকিকরণের জন্য কিছু কৌশল বা নীতি গ্রহণ করা। কৃষি পণ্য বিপণনকে বাজারমুখী করা এবং উৎপাদনকারীকে সবচেয়ে বেশি সুবিধা দেয়ার বিষয়গুলো নীতিমালায় রয়েছে। এছাড়াও পাট কৃষিজাত পণ্য হিসেবে গণ্য করার জন্য প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা দিয়েছেন। তিনি বলেন, কৃষি ব্যবসা বৃদ্ধি, কৃষিপণ্য বিপণন সহায়ক বাজার তথ্য ব্যবস্থাপনাকে আরও শক্তিশালি করা হবে, কমিউনিটিভিত্তিক, চুক্তিভিত্তিক, গ্রুপভিত্তিক বিপণন জোরদার করা হবে। কৃষি উপকরণ বিপণনকে সহজীকরণ করা হবে, আধুনিকায়ন করা হবে, কৃষিপণ্যের গুদাম ও সংরক্ষণাগার ব্যবস্থাপনায় উন্নয়ন, কৃষি বিপণন অবকাঠামো উন্নয়ন করা হবে। কৃষির উন্নয়নের মাধ্যমে যুব উন্নয়ন, কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও বেকারত্ব হ্রাসের পদক্ষেপ নেওয়া হবে। ই-এগ্রিকালচার মার্কেটিং এ সহায়তা করা হবে। কৃষি ব্যবস্থার মাধ্যমে নারী ক্ষমতায়নের সুযোগ তৈরি করা হবে। কৃষি বিপণন নীতির ফলে কৃষিজাত পণ্যের আমদানি-রপ্তানি ব্যবস্থায় সহায়তা করার বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, কৃষি বাজার ব্যবস্থাপনায় হস্তক্ষেপ করে ডিজিটাল মার্কেট করা হবে। উন্নত গবেষণাগার, নিত্য পণ্যের মূল্য সহনীয় করার জন্য সরবরাহ ব্যবস্থায় হস্তক্ষেপ করা হবে। নিরাপদ কৃষি পণ্য উৎপাদনে উৎসাহিত করা। এরকম মোট ১৯টি বিষয়ে নিয়ে কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে।
