ধামরাইয়ে সিলিন্ডার বিস্ফোরণ

দগ্ধ মেয়ের পর মায়ের মৃত্যু

প্রকাশ : ১১ জানুয়ারি ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

ঢাকার অদূরে ধামরাইয়ে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণের ঘটনায় দগ্ধ শিশুকন্যা মরিয়ম আক্তারের (২) মৃত্যুর পর তার মা জোসনা বেগমও (২৫) মারা গেছেন। গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এর আগে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত শনিবার (৭ জানুয়ারি) দিবাগত রাতে মারা যায় শিশু মরিয়ম। ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

জানা গেছে, ঢাকার ধামরাই পৌরসভার কুমরাইল এলাকার একটি বাসার নিচ তলায় স্ত্রী-সন্তান নিয়ে বসবাস করেন পোশাক শ্রমিক মঞ্জুরুল ইসলাম। গত শনিবার ভোরে বিকট শব্দে তাদের বাসায় আগুন লেগে যায়। পরে স্থানীয়রা আশপাশের উৎস থেকে পানি সংগ্রহ করে আগুন নিভিয়ে পরিবারের পাঁচ সদস্যকে উদ্ধার করেন। এ সময় আগুনে সবাই ঝলসে যান। পরে পাঁচজনকে ধামরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে তাদের ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন চিকিৎসক।

সেখান থেকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে এখনও চিকিৎসাধীন রয়েছেন জোসনা বেগমের স্বামী পোশাক শ্রমিক মঞ্জুরুল ইসলাম (৩৫), তার বড় বোন হোসনা বেগম (৩০) ও ভাগনি সাদিয়া আক্তার (১৮)।

চিকিৎসকদের বরাত দিয়ে বাচ্চু মিয়া জানান, জোসনা বেগমের শরীরের ৭০ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল, তাই তাকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি। এছাড়া মঞ্জুরুলের শরীরের ৩৩ শতাংশ, সাদিয়ার ৭৫ শতাংশ ও হোসনা বেগমের শরীরের ২৫ শতাংশ পুড়ে গেছে।

এদিকে স্থানীয়রা জানান, গ্যাসের লাইনের লিকেজ থেকেই আগুন লেগেছে বলে জানতে পেরেছেন তারা। পুরো বাড়ির সবাই তিতাস গ্যাস ব্যবহার করলেও মঞ্জুরুলের বাসাতেই শুধু সিলিন্ডার ব্যবহার করা হতো। ভোরে রান্না করতে গিয়ে দিয়াশলাই জ্বালানোর পরপরই এই দুর্ঘটনা ঘটে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

ধামরাই ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার সোহেল রানা জানিয়েছিলেন. ভোরে পৌরসভার কুমরাইল এলাকায় আগুন লাগার খবর পান। পরে পাঁচজন দগ্ধ হওয়ার খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে প্রেরণ করেন। ধারণা করা হচ্ছে, ওই কক্ষের রান্নাঘরে রাখা গ্যাস সিলিন্ডারের লিকেজ থেকে সারা রাত গ্যাস বের হয়েছে, যা পুরো ঘরে ছড়িয়ে পড়ে। ভোরে রান্নার জন্য দিয়াশলাই জ্বালাতেই আগুন লাগে। এতে তিন নারী ও এক শিশুসহ পাঁচজন দগ্ধ হয়েছেন।