পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন বলেছেন, আমরা যুক্তরাষ্ট্র-চীন উভয় দেশের সঙ্গেই ভালো সম্পর্ক রাখতে চাই। তাদের সঙ্গে কি সম্পর্ক, সেটা
তাদের মাথাব্যথা, আমাদের নয়। চীন-মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সমানতালে সম্পর্ক নিয়ে মন্তব্য জানতে চাইলে তিনি এ কথা বলেন।
গতকাল জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষ্যে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন।
অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে ড. মোমেন জানান, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে সহায়তা করেছে চীন। সেই সহায়তা অব্যাহত রাখার অঙ্গীকার করেছেন চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী কিন গ্যাং।
ড. মোমেন বলেন, চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশের অভাবনীয় উন্নয়নের প্রশংসা করেছেন। তিনি (চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী) বলেছেন, বাংলাদেশের উন্নয়ন যাত্রায় সম্পৃক্ত থাকবে চীন। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে যে আর্থিক সংকট দেখা দিয়েছে, তা উত্তরণে একযোগে কাজ করতে হবে।
তিনি বলেন, রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন, মিয়ানমারে কিছু সমস্যা হচ্ছে, সে কারণে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন দীর্ঘায়িত হচ্ছে। আমরা বলেছি, এই সংকট দীর্ঘায়িত হলে এই অঞ্চলে অস্থিতিশীলতা তৈরি হবে।
ড. মোমেন বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারসাম্যের কূটনীতির জন্য অনেকেই আমাদের দিকে নজর দিচ্ছেন। আমরা ৩৫তম অর্থনীতির দেশের পরিণত হয়েছি। সে কারণে তারা আমাদের এখানে বাণিজ্য-বিনিয়োগ বাড়াতে আগ্রহী।
চীনের নবনিযুক্ত চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী কিন গ্যাং সোমবার মধ্যরাতে ঢাকায় সংক্ষিপ্ত যাত্রাবিরতি করেন। যাত্রাবিরতির সময় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাকে স্বাগত জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আব্দুল মোমেন। এ সময় উভয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী এক বৈঠকে মিলিত হন।