ঢাকা ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

যেভাবে সংসদের উপনেতা হলেন মতিয়া চৌধুরী

বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা : শেখ হাসিনার পাশে থাকার প্রত্যয়
যেভাবে সংসদের উপনেতা হলেন মতিয়া চৌধুরী

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন জাতীয় সংসদের নবমনোনীত উপনেতা মতিয়া চৌধুরী। গতকাল বেলা ১১টায় ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু ভবন প্রাঙ্গণে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন তিনি। এ সময় সংসদীয় গণতন্ত্রের ধারা অব্যাহত রাখতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার

পাশে থাকার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন বেগম মতিয়া চৌধুরী।

মতিয়া চৌধুরী বলেন, ‘আমরা যখন রাজনীতিতে পা রেখেছি, তখন আমাদের সব ভূবন জুড়ে ছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। সারা পৃথিবীতে বঙ্গবন্ধুর নাম স্মরণীয়, বরণীয় এবং শ্রদ্ধার জায়গা রাখে।

সংসদ থেকে পদত্যাগ করা বিএনপি নেতাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, সংসদে আরও কয়েকজন আছেন যারা আওয়ামী লীগ করেন না, কিন্তু সংসদে আছেন। জাতীয় পার্টি এমনকি দুই একজন স্বতন্ত্র এমপিও আছেন। যারা পদত্যাগ করেছেন তাদের সংখ্যা খুব বেশি না। তারা সংসদীয় গণতন্ত্রের ওপরে খুব একটা আস্থাশীল বলে মনে হয় না। এ সময় কৃষক লীগের সভাপতি কৃষিবিদ সমীর চন্দ্র ও সাধারণ সম্পাদক উম্মে কুলসুম স্মৃতিসহ দলটির অন্যান্য নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

এদিকে ক্ষমতাসীন দলের সিনিয়র সংসদ সদস্য মতিয়া চৌধুরীকে সংসদ উপনেতা মনোনীত করেছে আওয়ামী লীগ। গত বৃহস্পতিবার রাতে জাতীয় সংসদ ভবনে আওয়ামী লীগের সংসদীয় দলের সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়। সভা শেষে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। চলতি সংসদে সংসদ উপনেতা ছিলেন সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী। তার মৃত্যুতে পদটি ফাঁকা হয়।

বৈঠক সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সংসদ উপনেতা পদে মতিয়া চৌধুরীর নাম প্রস্তাব করেন। জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ ও আওয়ামী লীগের সংসদীয় দলের সম্পাদক নূর-ই-আলম চৌধুরী লিটন তা সমর্থন করেন। এ সিদ্ধান্ত স্পিকারকে জানানোর পর মতিয়া চৌধুরীকে সংসদ উপনেতা হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দেয়া হয়।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বর্তমান সংসদ সদস্যদের অবস্থা নিয়ে প্রতিবেদন তার হাতে আছে। যারা ভালো কাজ করছেন, মানুষ যাদের পছন্দ করে, তারা আগামী নির্বাচনে মনোনয়ন পাবেন। আর যারা জনবিচ্ছিন্ন, যাদের নিয়ে সমালোচনা আছে, মানুষ যাঁদের পছন্দ করছে না, তারা আগামী নির্বাচনে দলের মনোনয়ন পাবেন না। তিনি সংসদ সদস্যদের সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের কথা এলাকায় তুলে ধরা এবং বিএনপির অপপ্রচারের কথা তুলে ধরার নির্দেশ দেন।

সভায় সংসদ সদস্যদের কেউ কেউ নির্বাচনের আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে প্রত্যেক জেলায় সফর করার অনুরোধ করেন। কেউ কেউ অভিযোগ করেন, মন্ত্রীরা উন্নয়নকাজের ক্ষেত্রে সব এলাকাকে সমান গুরুত্ব দেন না। মন্ত্রীদের নিজের এলাকা এ ক্ষেত্রে প্রাধান্য পায়। উন্নয়ন কর্মকাণ্ড সমভাবে সব এলাকায় বণ্টন করার দাবি জানান তাঁরা। কেউ কেউ আপাতত বড় প্রকল্প হাতে না নিয়ে চলমান প্রকল্পগুলো শেষ করা এবং বিভিন্ন এলাকায় যেসব রাস্তাঘাট সংস্কার প্রয়োজন, নির্বাচনের আগে সেগুলো মেরামতের দিকে নজর দেওয়ার পরামর্শ দেন। সভা শেষে হাছান মাহমুদ বলেন, সংসদীয় দলের সভায় সংসদ নেতা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংসদ সদস্যদের সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড প্রচার করার নির্দেশনা দিয়েছেন।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত