বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ড

নিন্দা জানালেন জাতিসংঘের স্পেশাল র‌্যাপোর্টিয়ার

প্রকাশ : ১৫ জানুয়ারি ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  আলোকিত ডেস্ক

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে বর্বরোচিতভাবে হত্যা করা হয়। এই হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন জাতিসংঘের অভিবাসী মানবাধিকারবিষয়ক স্পেশাল র‌্যাপোর্টিয়ার ফেলিপে গঞ্জালেজ মোরালেস।

গত শুক্রবার স্পেনে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ সারওয়ার মাহমুদ সাথে মাদ্রিদস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসে অনুষ্ঠিত বৈঠকে তিনি এই মন্তব্য করেন। জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনারের কার্যালয়ের স্পেশাল র‌্যাপোর্টিয়ার মোরালেস ২০ থেকে ৩১ জানুয়ারি বাংলাদেশে আনুষ্ঠানিক সফর করবেন।

দূতাবাস থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয় স্পেশাল র‌্যাপোর্টিয়ার মোরালেস জানান, ব্যক্তিগত সংগ্রহে থাকা ১৯৭১ সালে নিউ ইয়র্কের মেডিসন স্কয়ার গার্ডেনে অনুষ্ঠিত কনসার্ট ফর বাংলাদেশ’র রেকর্ডিং বাংলাদেশের জন্য তার আবেগের এক মূল্যবান স্মারক। তিনি দূতাবাসে অবস্থিত বঙ্গবন্ধু কর্নার পরিদর্শন করেন।

আর্থসামাজিক বিভিন্ন সূচকে বাংলাদেশের অনন্য সাধারণ সাফল্য ও টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে দেশের অগ্রগতির বিষয়ে রাষ্ট্রদূত স্পেশাল র‌্যাপোর্টিয়ার মোরালেসকে অবহিত করেন। রাষ্ট্রদূত ২৫ মার্চকে ‘আন্তর্জাতিক গণহত্যা দিবস’ হিসেবে স্বীকৃতির লক্ষ্যে বাংলাদেশের প্রয়াসে জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনারের কার্যালয়ের সমর্থন প্রত্যাশা করেন।

জাতিসংঘ মানবাধিকার কাউন্সিলের ২০২২-২৩ মেয়াদের নির্বাচনে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের বিপুল সমর্থনে বাংলাদেশ নির্বাচিত হওয়ায় অভিনন্দন জানিয়েছেন ফেলিপে গঞ্জালেজ মোরালেস।

অভিবাসীদের অধিকার সুরক্ষায় গৃহীত ‘গ্লোবাল কম্প্যাক্ট অন মাইগ্রেশন’ প্রণয়ন ও নেগোসিয়েশনে বাংলাদেশ’র নেতৃস্থানীয় ভূমিকার প্রশংসা করেন মোরালেস। বিশেষভাবে তিনি জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের ১২ লাখ নাগরিককে (রোহিঙ্গা) সম্পদের সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও বাংলাদেশে মৌলিক সুযোগ-সুবিধাসহ আশ্রয় প্রদানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রাষ্ট্রনায়কোচিত ভূয়সী প্রশংসা করেন।

স্বদেশে গণহত্যার শিকার রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী যেন নিরাপদে মিয়ানমারে প্রত্যাবর্তন করতে পারেন, সেজন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের আরও কার্যকর ভূমিকা রাখার লক্ষ্যে জনমত গঠনে স্পেশাল র‌্যাপোর্টিয়ার মোরালেসের সহায়তা কামনা করেন রাষ্ট্রদূত।